
আসন্ন সহিংসতার আশঙ্কা তুলে ধরে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস অভিযোগ করেছেন, টার্গেট কিলিংয়ের উদ্দেশ্যে একটি গোষ্ঠী ৭০ জনের তালিকা প্রস্তুত করেছে। তিনি জানান, নিয়মিতভাবে বিএনপির নেতা-কর্মীরা হুমকিমূলক ফোন পাচ্ছেন।
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
মির্জা আব্বাস বলেন, ‘আমরা শুনলাম আপনারা ৭০ জনের নাকি লিস্ট করেছেন যে হত্যা করবেন। প্রায়ই আমরা ফোন পাই। আমার বহু নেতা-কর্মী ফোন পেয়েছে, (হুমকি দেওয়া হয়েছে) সাবধান হয়ে যান। আমরা বিএনপি সকল রকম হত্যাকাণ্ড থেকে দূরে থাকতে চাই, দূরে আছি, দূরে থাকবো। কিন্তু হত্যাকাণ্ড চালানোর চেষ্টা করবে বিএনপি সকল সময় তাদের প্রতিরোধ করবে।’
তিনি আরও বলেন, গুলিবর্ষণের সঙ্গে জড়িতরা একটি চিহ্নিত গোষ্ঠী, যারা কখনোই দেশকে শান্তিতে থাকতে দিতে চায় না। তাদের বক্তব্য অনুযায়ী, আগামী নির্বাচনে তারা ‘৫৪ বছরের প্রতিশোধ’ নিতে চায়—কিন্তু কার বিরুদ্ধে এই প্রতিশোধ, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের মানুষ নাকি নতুন প্রজন্ম, সে প্রশ্ন তোলেন তিনি।
বিএনপির এই নেতা বলেন, বর্তমানে এক শ্রেণির তথাকথিত বুদ্ধিজীবী শুধু ‘বিএনপি ঠেকাও’ স্লোগানে ব্যস্ত, অথচ দেশকে এগিয়ে নেওয়ার কোনো দিকনির্দেশনা তাদের বক্তব্যে নেই।
মির্জা আব্বাস দাবি করেন, ১৯৭১ সাল থেকে শুরু হওয়া হত্যাকাণ্ডের ধারাবাহিকতা এখনও থামেনি এবং সেই সময়ের গোষ্ঠী আবারও বাংলাদেশে সক্রিয় হয়েছে।
ওসমান হাদির ওপর হত্যাচেষ্টার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, এটি ছিল সম্পূর্ণ অপ্রয়োজনীয় একটি ঘটনা। তার ভাষায়, ‘একটি মানুষকে এভাবে হত্যাচেষ্টার কোনো প্রয়োজন ছিল না। বাংলাদেশে বহু নির্বাচন হয়েছে, আরও হবে। কিন্তু এই ধরনের কাজ যারা করে, তারা একটি চিহ্নিত দল। তারা বাংলাদেশের মানুষকে কোনোদিনই শান্তিতে থাকতে দেবে না।’