
অবৈধ সম্পদ ও অর্থপাচারের অভিযোগে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর ও তার স্ত্রী সিতারা আলমগীরের নামে থাকা ৩৩টি ব্যাংক হিসাব সাময়িকভাবে অবরুদ্ধ করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) দুদকের দায়ের করা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. সাব্বির ফয়েজ এ আদেশ দেন।
আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. রিয়াজ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এদিন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ শাহজাহান মিরাজ হিসাবগুলো অবরুদ্ধের আবেদন করেন।
আবেদনে উল্লেখ করা হয়, আসামিরা তাদের নামে খোলা ব্যাংক হিসাব থেকে অর্থ তুলে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছেন। পাশাপাশি এসব হিসাব ব্যবহার করে অবৈধ উপায়ে অর্জিত অর্থ পাচারের ঝুঁকিও রয়েছে। সুষ্ঠু তদন্ত নিশ্চিত করতে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন-২০১২ এর ধারা ১৪ এবং দুর্নীতি দমন কমিশন বিধিমালা-২০০৭ এর বিধি ১৮ অনুযায়ী হিসাবগুলো অবরুদ্ধ করা প্রয়োজন।
এর আগে, গত ১২ নভেম্বর তাদের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, আসামিরা ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত অর্থের উৎস, প্রকৃতি, মালিকানা ও অবস্থান গোপন করার চেষ্টা চালিয়েছেন। ২০০৯ থেকে ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দীর্ঘ সময় ধরে একাধিক ব্যাংক হিসাবে দেশি-বিদেশি মুদ্রা স্থানান্তর ও রূপান্তরের মাধ্যমে মানিলন্ডারিং সংঘটিত হয়েছে।
অভিযোগ অনুযায়ী, পদ্মা ব্যাংক (সাবেক ফারমার্স ব্যাংক), যমুনা ব্যাংক, আইএফআইসি ব্যাংকসহ বিভিন্ন ব্যাংকে নিজেদের এবং ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামে খোলা ৭৯টি হিসাবে মোট ২১৬ কোটি ১ লাখ ৬৩ হাজার টাকা এবং ৬,১৮৮.৫৯ মার্কিন ডলার জমা করা হয়। একই সময়ে উত্তোলন করা হয় ২০৯ কোটি ১৭ লাখ ৬৩ হাজার টাকা এবং ৬,০০০.০২ মার্কিন ডলার।