
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, স্বাধীন বাংলাদেশের আত্মপরিচয়ে যে দীর্ঘদিনের সংকট ছিল, সেটি নিরসনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন দলের প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। শুক্রবার (৭ নভেম্বর) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় ছাত্রদলের আয়োজিত আলোকচিত্র প্রদর্শনী উদ্বোধনের পর তিনি এ মন্তব্য করেন।
রিজভী বলেন, ১৯৭৫ সালের পর ক্ষমতায় আসা বাহাত্তরের নেতাদের সময়ে জাতীয় পরিচয় নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছিল। “তারা যে জাতীয়তার কথা বললেন, সেটি ভূখণ্ডের বা পতাকার প্রতিনিধিত্বহীন; তাই তা সার্বজনীন জাতীয়তা হতে পারেনি। শহীদ জিয়াউর রহমান সেই সংকট নিরসন করেন,” তিনি বলেন।
তিনি আরও বলেন, “‘বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ’ শব্দবন্ধে আমাদের ভূগোল, মাটি, পানি, বৃক্ষ ও প্রাণীর সকলের প্রতিনিধিত্ব রয়েছে। এই নামই আমাদের আত্মপরিচয়কে বিশ্ববাজারে তুলে ধরেছে।” রিজভী জোর দিয়ে বলেন, বহুদলীয় গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক পথচলা জিয়াউর রহমানের মাধ্যমেই নিশ্চিত হয়েছিল।
অনুষ্ঠানে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম বলেন, ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর জিয়াউর রহমান জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে জাতীয়তাবাদের ভিত্তি গড়ে তোলেন। তিনি আরও বলেন, ২০২৪ সালের অভ্যুত্থানের পর যে জনআকাঙ্ক্ষা তৈরি হয়েছিল, তা এখনো পুরোপুরি বাস্তবায়িত হয়নি এবং ৫ আগস্টের পর থেকে একটি গোষ্ঠী সমাজে বিভাজন সৃষ্টি করছে।
কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন বলেন, ৭ নভেম্বরের ঘটনার মাধ্যমে একটি নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছিল; তরুণ প্রজন্ম সব ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে যেতে শিখেছে। তিনি জানান, ভবিষ্যতে যারা গণতন্ত্র নস্যাৎ করতে চায়, তাদের ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করা হবে।