জুলাই সনদে স্বাক্ষর করল আরও এক দল
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- প্রকাশঃ ০৩:১২ পিএম, ১৯ অক্টোবর ২০২৫

ঐতিহাসিক ‘জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫’-এ যোগ দিলো আরও একটি রাজনৈতিক দল—গণফোরাম।
রোববার (১৯ অক্টোবর) জাতীয় সংসদের এলডি হলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে দলটি আনুষ্ঠানিকভাবে সনদে স্বাক্ষর করে। এ আয়োজনের উদ্যোগ নেয় জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।
কমিশনের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গণফোরামের পক্ষে সনদে স্বাক্ষর করেছেন দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সুব্রত চৌধুরী এবং সাধারণ সম্পাদক ডা. মো. মিজানুর রহমান। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সভাপতি পরিষদের সদস্য অ্যাডভোকেট এ. কে. এম. জগলুল হায়দার আফ্রিক, মহিলা গণফোরামের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাগরিকা ইসলাম ও সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা হাসান।
অনুষ্ঠানে ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, “বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলন ও সংস্কৃতি বিকাশের দীর্ঘ সংগ্রামে গণফোরাম সবসময় সক্রিয় ভূমিকা রেখেছে। রাষ্ট্র কাঠামো সংস্কারের প্রক্রিয়ায় দলটির সম্পৃক্ততা প্রশংসনীয়।” তিনি দলটির অংশগ্রহণের জন্য কমিশনের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানান।
স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কমিশনের সদস্য ড. ইফতেখারুজ্জামান, ড. বদিউল আলম মজুমদার, সফর রাজ হোসেন এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।
এর আগে শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় অনুষ্ঠিত মূল স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ২৫টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা জুলাই সনদে স্বাক্ষর করেন। সেই সময় গণফোরামের প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকলেও সনদে সই করেননি। দলটি জানিয়েছিল, শিগগিরই তারা স্বাক্ষর করবে — এবং রবিবার সেই প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন ঘটায়।
স্বাক্ষরকারী রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে রয়েছেন—বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর, এবি পার্টির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মজিবুর রহমান ভূঁইয়া মঞ্জু, এবং আরও অনেকে।
এছাড়া জেএসডি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন, জাকের পার্টি, লেবার পার্টি, নেজামে ইসলাম পার্টি, খেলাফত মজলিস, জাতীয় গণফ্রন্টসহ একাধিক দলের প্রতিনিধিরাও ঐতিহাসিক এ সনদে স্বাক্ষর করেছেন।
এই স্বাক্ষরের মাধ্যমে গণফোরামের যোগদান “জুলাই জাতীয় সনদ” প্রক্রিয়াকে আরও শক্তিশালী করেছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।