জঙ্গলীয় কায়দায় চলছে ইসি: নাসীরুদ্দীন
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- প্রকাশঃ ০২:৪৩ পিএম, ১৯ অক্টোবর ২০২৫

নির্বাচন কমিশনের কার্যক্রমকে ‘জঙ্গলীয় কায়দা’ বলে আখ্যায়িত করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী।
রোববার (১৯ অক্টোবর) নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ অভিযোগ করেন।
নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, “শাপলা প্রতীক না দেওয়ার বিষয়ে কমিশনকে লিখিতভাবে ব্যাখ্যা দিতে হবে। জঙ্গলীয় কায়দায় চলছে ইসি। যে যখন, তার ক্ষমতা তখন। গণতান্ত্রিক যাত্রায় কোনো পরিবার কিংবা ধর্মীয় উপাসনালয়ের কাছে নির্বাচন কমিশনকে বর্গা দিতে চাই না। নির্বাচন কমিশন সর্বজনীন।”
তিনি আরও বলেন, “নির্বাচন কমিশন কোনো দলের নয়। ইসিকে ক্যান্টনমেন্ট বানানো যাবে না। শাপলা রাষ্ট্রীয় প্রতীক বলেছে ইসি—এমন বক্তব্য রাজনীতিতে অস্থিরতা তৈরি করছে।”
এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক আরও দাবি করেন, স্বচ্ছ ভোটার তালিকা ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। আগামী নির্বাচনকে কীভাবে নিরপেক্ষ করা যায়, সে বিষয়েও ইসির সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, “শাপলা প্রতীক শেষ পর্যন্ত দেওয়া হবে।”
জুলাই সনদ ইস্যুতে তিনি বলেন, “জুলাই সনদ নামে যে নাটক সংসদে হয়েছে, তারা এখন ঘুমাচ্ছে। গণভোটের কোনো নির্দেশনা ইসিতে আসেনি। চুপিসারে পাস করা জুলাই সনদ এনসিপি মানবে না। নির্বাচন কমিশনাররা যেখান থেকে আসছেন, তারা তাদের পারপাস সার্ভ করছেন। অদৃশ্য শক্তি থেকে ইসিকে মুক্ত করতে হবে।”
এদিকে বৈঠক শেষে দলটির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, “ইসির রিমোট কন্ট্রোল আগারগাঁওয়ে নেই।”
তিনি অভিযোগ করেন, “নির্বাচন কমিশনের কর্মকাণ্ডে মনে হচ্ছে একটি ইনস্টিটিউশনাল অটোক্রেসি তৈরি হচ্ছে। যে প্রতীকগুলো কমিশনের শিডিউলে রয়েছে, সেগুলো কোন নীতির ভিত্তিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে—তার কোনো স্পষ্টতা নেই। শাপলাকে অন্তর্ভুক্ত না করার ক্ষেত্রেও কোনো নীতিমালা নেই।”
হাসনাত আব্দুল্লাহ আরও বলেন, “নির্বাচন কমিশনের আচরণ দেখে মনে হচ্ছে, মধ্যযুগীয় রাজা-বাদশাদের মতো ক্ষমতার ব্যবহার চলছে। আইন নয়, ইচ্ছাই এখানে নীতি হয়ে দাঁড়িয়েছে।”
তিনি যুক্ত করেন, “আমাদের দলের প্রতীক শাপলা সাংস্কৃতিক ও সামাজিকভাবে গ্রহণযোগ্য। এটি জনগণের অনুভূতির সঙ্গে সম্পর্কিত। কিন্তু ইসি যে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে, তা জনগণের ইচ্ছার পরিপন্থী এবং স্বৈরাচারী।”