ডিজিএফআইয়ের লোগোর সঙ্গে মিল থাকায় শাপলা না দেওয়া বৈষম্যমূলক: এনসিপি
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- প্রকাশঃ ০৩:১৪ পিএম, ০৪ অক্টোবর ২০২৫

জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) দাবি করেছে, তাদের দলীয় প্রতীকের জন্য শাপলা বরাদ্দ না দেওয়া বৈষম্যমূলক এবং নির্বাচন কমিশনের স্বচ্ছতার ওপর প্রশ্ন তোলে। শুক্রবার (৩ অক্টোবর) দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামের বরাত দিয়ে মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী এ বিষয়টি ফেসবুকে ব্যাখ্যা প্রকাশ করেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, নির্বাচন কমিশনের প্রতীক তালিকা প্রস্তুত ও চূড়ান্ত করতে ১৫০টি প্রতীক অন্তর্ভুক্ত করার জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়। আমাদের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে ওই কমিটির বৈঠকে ৪ জুন শাপলা প্রতীকের থাকা নিশ্চিত করা হয়। এরপর ২২ জুন এনসিপি রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধনের জন্য আবেদন করে এবং শাপলাকে দলের প্রতীকের জন্য সংরক্ষণের আবেদন জানায়।
নাহিদ ইসলামের ব্যাখ্যা অনুযায়ী, সাধারণ মানুষও এ প্রতীককে এনসিপির সঙ্গে মানিয়ে নিতে শুরু করে। তবে ৯ জুলাই সংবাদমাধ্যমের তথ্য থেকে এনসিপি জানতে পারে, নির্বাচন কমিশন নীতিগতভাবে শাপলাকে নির্বাচনী প্রতীক হিসেবে অন্তর্ভুক্ত না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ১৩ জুলাই দলের প্রতিনিধিদল প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য কমিশনারদের সঙ্গে বৈঠক করে লিখিতভাবে জানায়, শাপলা জাতীয় প্রতীকের অংশ হিসেবে উল্লেখ করা আইনগতভাবে সঠিক নয় এবং এই বিষয়ে কমিশনের অবস্থান আইনি ভিত্তিহীন।
এনসিপি উল্লেখ করে, শাপলা জাতীয় প্রতীকের চারটি স্বতন্ত্র উপাদানের একটি মাত্র। নির্বাচন কমিশন ইতিমধ্যেই বিএনপিকে ধানের শীষ, জেএসডিকে তারা, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টিকে কাঁঠাল এবং তৃণমূল বিএনপিকে সোনালী আঁশ বরাদ্দ দিয়েছে। সেক্ষেত্রে শাপলাকে রাজনৈতিক দলকে বরাদ্দ দিতে কোনও আইনি বাধা থাকা উচিত নয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, কমিটির সঙ্গে বিভিন্ন বৈঠক ও ১৩ জুলাইয়ের আবেদনের পরও নির্বাচন কমিশন শাপলাকে অন্তর্ভুক্ত না করার বিষয়ে কোনো ব্যাখ্যা দেয়নি। এটি এনসিপির প্রতি বিরূপ মনোভাব এবং স্বেচ্ছাচারী দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ করে।
নাহিদ আরও অভিযোগ করেন, শুধুমাত্র ডিজিএফআই-র লোগোর সঙ্গে কিছুটা মিল থাকার কারণে শাপলা প্রতীকের বরাদ্দ বন্ধ করা হয়েছে, যা বৈষম্যমূলক। নির্বাচন কমিশনের এ ধরনের মনোভাব তাদের নিরপেক্ষতা প্রশ্নবিদ্ধ করে এবং বৃহৎ রাজনৈতিক দলের চাপের কারণে পরিচালিত হচ্ছে কি না এমন সন্দেহ সৃষ্টি হয়।
গত ২৩ সেপ্টেম্বর কমিশনের সিনিয়র সচিব সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, শাপলা প্রতীক তালিকায় অন্তর্ভুক্ত নয়, তাই এনসিপিকে বরাদ্দ দেওয়া যাবে না। নাহিদ মন্তব্য করেন, এটি অনভিপ্রেত ও দুঃখজনক সিদ্ধান্ত।
এনসিপি আশা করছে, নির্বাচন কমিশন ২০০৮ সালের বিধিমালা অনুযায়ী সংশোধনী আনার মাধ্যমে শাপলা, সাদা শাপলা বা লাল শাপলা থেকে যেকোনো একটি প্রতীক বরাদ্দ করবে এবং স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ ও অবাধ নির্বাচনের পরিবেশ নিশ্চিত করবে।