দেশের গণতন্ত্র উত্তরণ প্রক্রিয়ায় সারা বিশ্বের সমর্থন রয়েছে: মির্জা ফখরুল
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- প্রকাশঃ ১০:১০ এম, ০৪ অক্টোবর ২০২৫
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানিয়েছেন, নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশের গণতন্ত্র উত্তরণের প্রক্রিয়ায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে।
শুক্রবার (৩ অক্টোবর) রাতে যুক্তরাষ্ট্র থেকে এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে দেশে ফেরেন ফখরুল। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের টার্মিনালে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, আমাদের বার্তা একটাই গণতন্ত্রে ফিরে যাওয়ার জন্য ফেব্রুয়ারিতে যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, সেই নির্বাচনে আমাদের নেতা তারেক রহমান যেভাবে নির্দেশ দিয়েছেন, আমরা সেই অনুযায়ী প্রস্তুতি নেব। আজকের গণতন্ত্র উত্তরণের বিষয়টিতে গোটা পৃথিবীর সমর্থন রয়েছে। বিশেষ করে গণতান্ত্রিক বিশ্বের সমর্থন এখানে সম্পূর্ণভাবে উপস্থিত।
ফখরুল ২৩ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে জাতিসংঘের ৮০তম সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে অংশগ্রহণ করতে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সফরসঙ্গী হিসেবে যাত্রা করেছিলেন। প্রধান উপদেষ্টা ২ অক্টোবর দেশে ফেরলেও ফখরুল একদিন পর দলের কার্যক্রম শেষে দেশে ফিরেছেন।
প্রধান উপদেষ্টার প্রতিনিধি দলে ছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা হুমায়ুন কবির, জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের, এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন এবং সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক তাসনিম জারা।
জাতিসংঘ অধিবেশনে অন্যান্য দেশের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলাপ আলোচনা হয়েছে কি না জানতে চাইলে ফখরুল বলেন, আমাদের সবার সঙ্গে আলাপ হয়েছে। যারা অংশগ্রহণ করেছেন, তাদের সঙ্গে আলাপ-চার্চা হওয়াই স্বাভাবিক।
সফরকে সফল উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টার আমন্ত্রণে আমরা জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিয়েছি। আমাদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করেছি। আমি মনে করি, এটি একটি সফল সফর হয়েছে। এই প্রথমবারের মতো অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা জাতীয় ঐক্য প্রদর্শনের জন্য প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। ফলে বাংলাদেশের কথা বিশ্বের কাছে পৌঁছেছে।
ফখরুল আরও বলেন, নিউইয়র্কে অধিবেশনের পাশাপাশি অন্যান্য বৈঠকগুলোও বাংলাদেশের জন্য এবং গণতন্ত্রের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়েছে।
যদিও বিমানবন্দরে কিছু হেনস্থার ঘটনা ঘটেছে, সে বিষয়ে ফখরুল মন্তব্য করেন, আমরা এগুলোকে বড় করে দেখি না। এটি হলো আওয়ামী লীগের একটি সংস্কৃতি এ ধরনের ঘটনা সৃষ্টিই তাদের স্বভাব।
