
বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফন ঘিরে রাজধানী ঢাকায় সর্বোচ্চ নিরাপত্তা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) রাত ৮টার পর থেকে এভারকেয়ার হাসপাতাল, জাতীয় সংসদ ভবন ও জিয়া উদ্যান এলাকায় বিজিবি মোতায়েনসহ গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা লক্ষ্য করা যায়।
এর আগে মঙ্গলবার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত এক সমন্বয় সভা শেষে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম সাংবাদিকদের জানান, বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফন উপলক্ষে ঢাকা মহানগর পুলিশসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ১০ হাজারের বেশি সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন। পরিস্থিতির প্রয়োজন হলে কিছু এলাকায় সেনাবাহিনী সহায়ক হিসেবে নিয়োজিত থাকবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
নিরাপত্তা প্রস্তুতি সম্পর্কে শফিকুল আলম বলেন, পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট ও অন্যান্য নিরাপত্তা সংস্থা পূর্ববর্তী অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে সার্বিক বিষয়টি নতুন করে মূল্যায়ন করেছে। সাম্প্রতিক সময়ে বড় পরিসরের জানাজা আয়োজনের অভিজ্ঞতা থাকায় বাহিনীগুলোর প্রাথমিক প্রস্তুতি ছিল, এবার তা আরও বিস্তৃত ও সমন্বিতভাবে বাস্তবায়ন করা হয়েছে।
এদিকে মঙ্গলবার ৩০ ডিসেম্বর দুপুরে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানান, বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা বুধবার ৩১ ডিসেম্বর দুপুর ২টায় জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় অনুষ্ঠিত হবে। বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ের সামনে থেকে এক জরুরি বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ তথ্য জানান।
এর আগে মঙ্গলবার ৩০ ডিসেম্বর ভোর ৬টায় রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বেগম খালেদা জিয়া মৃত্যুবরণ করেন। তিনি গত ২৩ নভেম্বর ফুসফুসের সংক্রমণজনিত শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। পরে তার নিউমোনিয়া ধরা পড়ে এবং কিডনি, লিভার, আর্থ্রাইটিস ও ডায়াবেটিসের পুরনো জটিলতাও তীব্র আকার ধারণ করে। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে স্থানান্তর করা হয়।
বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে অন্তর্বর্তী সরকার ৩১ ডিসেম্বর থেকে ২ জানুয়ারি পর্যন্ত তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। একইসঙ্গে ৩১ ডিসেম্বর সারা দেশে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।