
ঢাকার উত্তর বাড্ডা এলাকায় পুলিশ বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) জড়ো করা ‘মার্চ টু ইন্ডিয়ান হাইকমিশন’ কর্মসূচি আটকে দিয়েছে। এই কর্মসূচি আয়োজন করা হয়েছিল শেখ হাসিনাসহ জুলাই গণহত্যাকারীদের দেশে ফেরত আনা এবং ভারতীয় প্রক্সি রাজনৈতিক দল, মিডিয়া লীগ ও সরকারি কর্মকর্তাদের নানা ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে।
বিকেল চারটায় রামপুরা ব্রিজে শুরু হওয়া মিছিলে চব্বিশের জুলাই গণঅভ্যুত্থানের স্পিরিট ধারণ করা ‘জুলাই ঐক্য’-এর নেতা-কর্মীসহ কয়েকশ শিক্ষার্থী অংশ নেন। পরে তারা মিছিল নিয়ে ইন্ডিয়ান হাইকমিশনের দিকে রওনা দেয়, কিন্তু উত্তর বাড্ডার হোসেন মার্কেটের সামনে পুলিশ তাদের আটক করে।
পুলিশের বাধার পর অবস্থান নিয়ে নেতা-কর্মীরা স্লোগান দিতে থাকেন। তাদের স্লোগান ছিল—“দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা” এবং “ভারতীয় আধিপত্য, মানি না, মানব না।”
ঢাকা মহানগর পুলিশের বাড্ডা জোনের সহকারী কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান জানান, হোসেন মার্কেটের সামনে মিছিলকে থামানো হয়েছে এবং সেখানে তারা বক্তব্য প্রদান করেছেন।
কর্মসূচির প্রভাবে ঢাকার কুড়িলের যমুনা ফিউচার পার্কে অবস্থিত ভারতীয় ভিসা আবেদন কেন্দ্র (আইভ্যাক) কয়েক ঘণ্টার জন্য বন্ধ ঘোষণা করে। আইভ্যাকের ওয়েবসাইটে বলা হয়, “নিরাপত্তার কারণে” দিনের কার্যক্রম স্থগিত রাখা হয়েছে।
এদিকে ‘জুলাই ঐক্য’র এই কর্মসূচি নিয়ে দিল্লিতে বাংলাদেশের হাইকমিশনারকে তলব করে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। বুধবার প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “কিছু উগ্রবাদী গোষ্ঠী ঢাকার ভারতীয় মিশনকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তা পরিস্থিতি তৈরির ঘোষণা দিয়েছে। ভারত এই ধরনের মিথ্যা বয়ান সম্পূর্ণরূপে প্রত্যাখ্যান করছে।”
ভারত আরও উল্লেখ করেছে, “বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার এ বিষয়ে বিস্তারিত তদন্ত করেনি এবং কোনো প্রমাণও পাঠায়নি।” এর আগে সোমবার ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করা হয়েছিল।