
নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের মিছিলে যুক্ত থাকার অভিযোগে গুলশান থানায় দায়ের করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় মেজর সাদিকুল হকের স্ত্রী সুমাইয়া জাফরিনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আওলাদ হোসাইন মুহাম্মদ জোনাইদ পুলিশের আবেদন মঞ্জুর করেন। আদালতে গ্রেপ্তার দেখানোর পর সুমাইয়া জাফরিন কান্নায় ভেঙে পড়েন, তবে তিনি কোনো বক্তব্য দেননি।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী শামসুদ্দোহা সুমন বলেন, “আজ তাকে (জাফরিন) আদালতে আনা হয়। গুলশান থানার ডিবির পরিদর্শক মো. মোজাম্মেল হক মামুন তাকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন। পরে আদালত আবেদনটি মঞ্জুর করেন।”
গত ৬ আগস্ট রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার একটি কনভেনশন সেন্টারে ছাত্রলীগের গোপন বৈঠকের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে তাকে ডিবি হেফাজতে নেয়। পরদিন আদালত তার রিমান্ড মঞ্জুর করে। এই ঘটনায় মেজর সাদিকুল হকও সেনা হেফাজতে রয়েছেন।
আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, মামলার অন্যান্য গ্রেপ্তার আসামির জবানবন্দি ও স্থানীয় তদন্তে জানা গেছে, সুমাইয়া তাহমিদ জাফরিন (২৬) মিছিলে সক্রিয়ভাবে অংশ নেন। তিনি নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠনের অর্থ জোগানদাতা, পরামর্শদাতা ও নির্দেশদাতা হিসেবে কাজ করেছেন এবং সরকারের বিরোধী কার্যক্রমে যুক্ত ছিলেন। এছাড়া, ঢাকা শহরের বিভিন্ন স্থানে সরকারের বিরোধী কার্যকলাপে তার সক্রিয় অংশগ্রহণের তথ্য পাওয়া গেছে।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, গত ২২ এপ্রিল সকাল ৭টায় গুলশান-১ এর জব্বার টাওয়ারের পাশে ৩০–৩৫ জনের একটি মিছিল করা হয়, যেখানে ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা দেশবিরোধী স্লোগান দেন। ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হলেও বাকিরা পালিয়ে যায়। ওই দিনই পুলিশ বাদী হয়ে গুলশান থানায় মামলা দায়ের করে।