
প্রবাসীদের বিদেশ যাত্রা ও কর্মসংস্থান প্রক্রিয়ায় দুর্নীতি ও ভোগান্তি কমাতে ডিজিটালাইজেশনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল।
তিনি বলেন, "প্রবাসী অ্যাপসের মাধ্যমে শত শত হাজার কোটি টাকা প্রবাসীদের কাছ থেকে আদায় করা হতো। বিদেশ গমনে ইচ্ছুক কর্মীদের সঙ্গে অনেক ধরনের দুর্নীতি হতো। সেটি বন্ধ করার জন্য আমরা প্রাণান্ত চেষ্টা করেছি।"
ড. আসিফ নজরুল জানান, এই উদ্যোগে আইওএম ও আইএলও-এর সহযোগিতা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। তিনি বলেন, "এ জন্য ওভারসিজ অ্যামপ্লয়মেন্ট প্লাটফর্ম নামে সম্পূর্ণ আলাদা একটি অনলাইন প্ল্যাটফর্ম চালু করেছি। সব বিদেশ গমন শতভাগ ডিজিটালাইজ করেছে। এ জন্য দুর্নীতি, হয়রানি ও ভোগান্তি হওয়ার সুযোগ অনেক কমেছে। এরপরও মেশিনের পেছনে তো মানুষ থাকে। আমাদের মনে রাখতে হবে, সেসব মানুষগুলোকে এই দায়িত্ব পালন করতে হবে।"
এই মন্তব্যগুলো তিনি বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস ও জাতীয় প্রবাসী দিবস-২০২৫ উপলক্ষে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে করেছেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
ড. আসিফ নজরুল আরও জানান, এবার প্রবাসীরা প্রথমবারের মতো ভোট দিতে সক্ষম হবেন। তিনি বলেন, "ভোটের জন্য যারা নিবন্ধন করেছেন, তারা প্রথমবারের মতো ভোট দিতে পারবেন। সবার কাছে অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে বলতে চাই, প্রবাসীদের প্রতি গুরুত্ব দেয়ার যে দৃষ্টিভঙ্গি, সেটি প্রতিফলন করে ঢাকা এয়ারপোর্টে প্রথমবারের মতো অনেক রুটিন কাজ করেছি আমরা। আমাদের রুটিন কাজের বাইরে প্রবাসীদের জন্য প্রথমবারের মতো কিছু পদক্ষেপ নিতে পেরেছি। এগুলো অবশ্যই যথেষ্ট নয়।"
প্রবাসী কল্যাণ সংক্রান্ত কূটনৈতিক অগ্রগতির কথাও তুলে ধরেন আসিফ নজরুল। তিনি জানান, বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো সৌদি আরবের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক চুক্তি করেছে। তিনি বলেন, "চুক্তির সঙ্গে সঙ্গে ওদের ইম্প্যাক্ট বোঝা যায় না। কিন্তু অবশ্যই একটি ভালো ইম্প্যাক্ট আসবে। আমাকে সৌদি মিনিস্টার বলেছেন, তোমাদের অনেক সরকার অনেক চেষ্টা করেছে, কিন্তু এটি হয়নি। আমাদের বাংলাদেশি মিশনের মানুষরা বলেছেন, পাকিস্তান বা ইন্ডিয়ার সঙ্গে ওই ধরনের কোনো চুক্তি হয়নি। তবে বাংলাদেশের সঙ্গে হয়েছে।"
এছাড়া মালয়েশিয়ায় কর্মরত প্রবাসীদের সুবিধার কথা উল্লেখ করে আসিফ নজরুল বলেন, "আমরা যাওয়ার পর শুনতাম যে, মালয়েশিয়ায় থাকা শ্রমিকরা দেশে আসতে পারে না। আসলে তারা ফিরে যেতে পারে না। কেননা, তাদের সিংগেল ভিসা প্রদান করা হতো। অনেক রিকুয়েস্ট করে এটাকে আমরা মাল্টিপল ভিসা করতে পেরেছি। প্রথমবারের মতো মাল্টিপল ভিসা হয়েছে।"