
গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির শারীরিক অবস্থা এখনও ‘অত্যন্ত আশঙ্কাজনক’ বলে জানিয়েছে তার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ড।
শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সমন্বয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ডের পক্ষ থেকে ওসমান হাদির সর্বশেষ স্বাস্থ্য পরিস্থিতি গণমাধ্যমকে জানানো হয়।
ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালের আইসিইউ ও এইচডিইউ বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট ও কো-অর্ডিনেটর ডা. মো. জাফর ইকবালের পাঠানো বার্তায় বলা হয়, মি. হাদির চিকিৎসার জন্য বিভিন্ন বিভাগের মোট ১৩ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নিয়ে একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে।
বোর্ডের তথ্যে জানানো হয়, শুক্রবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের পর উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালের ক্রিটিকাল কেয়ার ইউনিটে স্থানান্তর করা হয়।
চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, তার ব্রেন ‘মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে’। একই সঙ্গে তার ফুসফুসে ইনজুরি রয়েছে এবং ভেন্টিলেটর সাপোর্ট অব্যাহত রাখতে হচ্ছে।
মেডিকেল বোর্ড জানায়, তার কিডনির কার্যক্ষমতা আবার ফিরে এসেছে। শরীরে রক্ত জমাট বাঁধা ও রক্তক্ষরণের যে ভারসাম্যহীনতা তৈরি হয়েছিল, সেটিও অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আসছে।
তবে এখনও তার রক্তচাপ ও হৃদস্পন্দন স্বাভাবিক নয়, ওঠানামা করছে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। এসব বিবেচনায় ওসমান হাদির সার্বিক অবস্থা ‘অত্যন্ত আশঙ্কাজনক’ বলে উল্লেখ করেছে মেডিকেল বোর্ড।
উল্লেখ্য, শুক্রবার দুপুরে ঢাকায় গুলিবিদ্ধ হন শরিফ ওসমান হাদি। তিনি জাতীয় সংসদের ঢাকা-৮ আসনে সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছিলেন। ওই দিন রাত থেকেই তিনি বেসরকারি এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এদিকে, হাদির ওপর হামলার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবিতে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছে তার সংগঠন। পুলিশ জানিয়েছে, দোষীদের গ্রেপ্তারে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, গত বছরের আগস্টে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর দেশের রাজনীতিতে আলোচিত ব্যক্তিত্ব হিসেবে উঠে আসেন শরিফ ওসমান হাদি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে পড়াশোনা শেষ করার পর তিনি বেসরকারি একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতাও করেছেন।