
আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনের জন্য ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্যানেল আগামী ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রস্তুত করার নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। তবে পর্যাপ্ত সংখ্যক কর্মকর্তা নিয়োগ করতে না পারলে, যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বেসরকারি ব্যাংকের কর্মীদের নিয়োগ দেওয়ার সুযোগ রাখা হয়েছে।
নির্বাচন কমিশনের উপসচিব মোহাম্মদ মনির হোসেন সম্প্রতি জেলাভিত্তিক নির্বাচন কর্মকর্তাদের একটি চিঠির মাধ্যমে এ নির্দেশনা দিয়েছেন। চিঠিতে বলা হয়েছে, নির্বাচনের জন্য ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্যানেল তৈরি করার সময় বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রাথমিকভাবে বাদ দেওয়া হবে। তবে প্রয়োজন পড়লে তাদের প্রয়োজনীয় যাচাই-বাছাই শেষে নিয়োগ দেওয়া যাবে। একই সঙ্গে, ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্যানেল ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫-এর মধ্যে প্রস্তুত করার বিষয়টি পুনর্ব্যক্ত করা হয়েছে।
এর আগে ২৩ নভেম্বর বিএনপি ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইসলামী ব্যাংক বা অনুরূপ প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের ভোটগ্রহণ কর্মকর্তার দায়িত্ব না দেওয়ার লিখিত প্রস্তাব ইসিকে দিয়েছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে দলটির নেতারা তাদের প্রস্তাব জমা দেন।
প্রস্তাবে বলা হয়েছে, নির্বাচনের নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করতে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা বা পোলিং পারসোনেল যেমন প্রিজাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার, পোলিং অফিসার হিসেবে দলীয়ভাবে চিহ্নিত প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের নিয়োগ দেওয়া যাবে না। উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে ইসলামী ব্যাংক, আল-আরাফাহ ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক হাসপাতাল, ইবনে সিনা হাসপাতাল ইত্যাদি।
এদিকে, বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, ইতোমধ্যে ইসলামী ব্যাংক সারাদেশে প্রায় পাঁচ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারীর নিয়োগ বাতিল করেছে এবং শূন্য পদগুলো দ্রুত পূরণের জন্য দলীয় লোক নিয়োগের চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
বিএনপির প্রস্তাব জমা দেওয়ার তিনদিন পর বাংলাদেশের জামায়াতে ইসলামীও ইসলামী ব্যাংকসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের জাতীয় নির্বাচনে দায়িত্ব না দেওয়ার আহ্বানকে কেন্দ্র করে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল।