
কওমি মাদ্রাসার দাওরায়ে হাদিস সনদধারীদের বিভিন্ন সরকারি ও আধাসরকারি পদে নিয়োগের সুপারিশ জানিয়ে তিনটি পৃথক ডিও লেটার পাঠিয়েছেন ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন। তিনি ধর্মীয় শিক্ষকসহ বিভিন্ন পদে এই সনদধারীদের অন্তর্ভুক্তির প্রস্তাব দিয়েছেন।
মঙ্গলবার (৫ অক্টোবর) শিক্ষা উপদেষ্টা, আইন উপদেষ্টা এবং প্রতিরক্ষা সচিবের কাছে পৃথক তিনটি আধাসরকারি চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আবুবকর সিদ্দীক নিশ্চিত করেছেন।
শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরারের উদ্দেশে পাঠানো চিঠিতে ধর্ম উপদেষ্টা উল্লেখ করেন, “২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে জাতীয় সংসদে ‘আল-হাইআতুল উলয়া লিল-জামি’আতিল কওমিয়া বাংলাদেশ’ এর অধীন কওমি মাদ্রাসার দাওরায়ে হাদিস (তাকমীল) সনদকে ইসলামিক স্টাডিজ ও আরবি বিষয়ে মাস্টার্স ডিগ্রির সমমান প্রদান আইন পাস হয় এবং একই দিন এটি বাংলাদেশ গেজেটের অতিরিক্ত সংখ্যায় প্রকাশিত হয়।”
চিঠিতে তিনি আরও বলেন, আইন প্রণীত হওয়ার পর দীর্ঘ সময় পার হলেও কওমি শিক্ষার্থীরা এ আইনের সুফল পাচ্ছেন না। এতে আইনের মূল উদ্দেশ্য ব্যাহত হচ্ছে এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যে হতাশা ও ক্ষোভ সৃষ্টি হচ্ছে।
ড. খালিদ হোসেন শিক্ষা উপদেষ্টার সহযোগিতা চেয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক (ধর্ম) পদে দাওরায়ে হাদিস সনদধারীদের নিয়োগের প্রস্তাব দেন। পাশাপাশি, নিকাহ রেজিস্ট্রার হিসেবে লাইসেন্স প্রদানের ক্ষেত্রে এই সনদধারীদের অগ্রাধিকার দেওয়ার জন্য আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টাকে উদ্যোগ নেওয়ার অনুরোধ জানান।
এছাড়া, সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীতে ধর্মীয় শিক্ষক পদে দাওরায়ে হাদিস সনদধারীদের নিয়োগের সুপারিশ জানিয়ে প্রতিরক্ষা সচিবের কাছেও তিনি একটি ডিও লেটার পাঠিয়েছেন।