
বিশ্বের বিভিন্ন গণমাধ্যমগুলো গুরুত্বসহকারে জানাচ্ছে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুর খবর। তবে তার মৃত্যুর পর বাংলাদেশে ছড়ানো সহিংস ঘটনার তথ্যও প্রকাশিত হয়েছে।
আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের ছাত্র-নেতৃত্বাধীন আন্দোলনের অন্যতম নেতা শরিফ ওসমান বিন হাদি সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। ঢাকায় গুলিতে গুরুতর আহত হওয়ার পর তাকে সিঙ্গাপুরে চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়েছিল।
সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, চিকিৎসকদের সর্বোচ্চ চেষ্টা সত্ত্বেও তার আঘাত গুরুতর হওয়ায় তিনি মৃত্যুবরণ করেছেন।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুব নেতা শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুর পর ১৮ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার রাতে বাংলাদেশের বিভিন্ন শহরে সহিংস বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। দেশের পরিস্থিতি আগামী জাতীয় নির্বাচনের প্রেক্ষাপটে আরও অস্থিতিশীল হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। নির্বাচনে অংশগ্রহণের পরিকল্পনা ছিল হাদির।
৩২ বছর বয়সী শরিফ ওসমান হাদি ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ছিলেন এবং ছাত্র-নেতৃত্বাধীন আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশ নিয়েছিলেন।
গত শুক্রবার ঢাকায় নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করার সময় মুখোশধারী একদল হামলাকারী তাকে মাথায় গুলি করে আহত করে। গুরুতর অবস্থায় চিকিৎসাধীন থাকার পর বৃহস্পতিবার রাতেই তার মৃত্যু হয়।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া এই যুব নেতার মৃত্যুর পর বাংলাদেশে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছে।
হাদিকে গত সপ্তাহে ঢাকায় হামলাকারীরা গুলি করেছিল। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয় এবং সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি জীবন হারান।
এই হামলার ঘটনা ঘটেছে ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানের পর প্রথম জাতীয় নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার ঠিক এক দিন পর। শরিফ ওসমান হাদি ওই নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার পরিকল্পনা করেছিলেন।