
সাবেক নেত্রী ও নোবেল শান্তি পুরস্কারজয়ী অং সান সু চির স্বাস্থ্যের অবস্থা নিয়ে সম্প্রতি উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তার ছেলে কিম আরিস। এই উদ্বেগের পরিপ্রেক্ষিতে মিয়ানমারের সামরিক শাসকরা জানিয়েছে যে কারাবন্দি সু চি ভালো আছেন। ২০২১ সালে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত হন এই গণতন্ত্রপন্থি নেতা।
মঙ্গলবার সেনাবাহিনী পরিচালিত মিয়ানমার ডিজিটাল নিউজে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অং সান সু চি সুস্থ আছেন। তবে তার বর্তমান অবস্থার কোনও প্রমাণ বা বিস্তারিত তথ্য এই বিবৃতিতে দেয়া হয়নি।
এর আগে, বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কিম আরিস জানিয়েছিলেন যে তিনি তার ৮০ বছর বয়সী মায়ের স্বাস্থ্য সম্পর্কে খুব কম তথ্য পেয়েছেন এবং আশঙ্কা করছেন, হয়তো তার অজান্তেই মায়ের মৃত্যু হতে পারে।
সেনাবাহিনীর বিবৃতির পর, বুধবার রয়টার্সকে আরিস বলেছেন, “সেনাবাহিনী দাবি করেছে, তার মা সুস্থ আছেন। তবে তারা কোনো প্রমাণ, সাম্প্রতিক ছবি, চিকিৎসা যাচাইকরণ এবং পরিবার, ডাক্তার বা আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের প্রবেশাধিকার দিতে অস্বীকার করেছে। সত্যিই যদি তিনি সুস্থ থাকেন তবে তারা সেটা প্রমাণ করুক।”
মিয়ানমার সরকারের এক মুখপাত্র এই বিষয়ে মন্তব্য করতে চাইলে কোনো উত্তর দেননি।
এর আগে, গত বছরের অক্টোবর মাসে এশিয়া টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কিম আরিস জানিয়েছেন, তার মা কমপক্ষে দুই বছর ধরে কারো দেখা পাননি। তিনি বলেন, সু চিকে রাজধানী নেইপিদোর একটি নিঃসঙ্গ কারাগারে রাখা হয়েছে এবং অন্যান্য বন্দিরাও তাকে দেখেননি। মায়ের হৃদরোগ, হাড় ও মাড়ি সংক্রান্ত স্বাস্থ্য সমস্যার তথ্য তিনি কেবল খণ্ডিত ও পরোক্ষ সূত্র থেকে জানতে পেরেছেন।
টোকিওতে দেওয়া ওই সাক্ষাৎকারে আরিস আরও বলেন, “তার (সু চি) দীর্ঘদিনের স্বাস্থ্য সমস্যা রয়েছে। গত দুই বছরের বেশি সময় ধরে কেউ তাকে দেখেনি। তার আইনজীবীদের সঙ্গে যোগাযোগের সুযোগ দেওয়া হয়নি, পরিবারের সঙ্গে তো নয়ই। আমার জানা মতে, তিনি এরই মধ্যে মারা গেছেন, এমন সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যায় না।”