
ওমান উপসাগরে অবৈধভাবে জ্বালানি পরিবহনের অভিযোগে একটি তেলবাহী ট্যাংকার আটক করেছে ইরান।
শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) ইরানি গণমাধ্যমের বরাতে এ তথ্য জানায় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দু। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, জাহাজটিতে ভারত, শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশের মোট ১৮ জন নাবিক ছিলেন।
ইরানের দক্ষিণাঞ্চলীয় হরমুজগান প্রদেশের এক কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে ইরানি গণমাধ্যম জানায়, ‘ওমান সাগরের উপকূলে ছয় মিলিয়ন লিটার অবৈধ ডিজেল জ্বালানি বহনকারী একটি তেলবাহী জাহাজে অভিযান চালানো হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, অভিযানের সময় ট্যাংকারটির সব নেভিগেশন ব্যবস্থা বন্ধ পাওয়া যায়।
উপসাগরীয় জলসীমায় অবৈধ জ্বালানি পরিবহনের অভিযোগে জাহাজ জব্দের ঘটনা ইরানের জন্য নতুন নয়। দেশটি নিয়মিতই এ ধরনের অভিযান পরিচালনার ঘোষণা দিয়ে থাকে। সংশ্লিষ্টদের মতে, ইরানে খুচরা জ্বালানির দাম বিশ্বের অন্যতম কম হওয়ায় প্রতিবেশী ও অন্যান্য দেশে পাচার করা অত্যন্ত লাভজনক হয়ে উঠেছে।
এর আগেও গত মাসে উপসাগরীয় জলসীমায় অনুমোদনহীন কার্গো বহনের অভিযোগে একটি তেলবাহী জাহাজ আটক করেছিল ইরান। সে সময় তেহরান স্পষ্ট করে জানায়, ওই পদক্ষেপ কোনো দেশের বিরুদ্ধে প্রতিশোধমূলক ছিল না। সর্বশেষ এই ট্যাংকার জব্দের ঘটনা এমন এক প্রেক্ষাপটে ঘটল, যখন এর মাত্র দুই দিন আগে যুক্তরাষ্ট্র ভেনেজুয়েলার উপকূলের কাছে একটি তেলবাহী জাহাজ আটক করে।
ওয়াশিংটনের দাবি, ওই জাহাজের ক্যাপ্টেন ভেনেজুয়েলা ও ইরান থেকে তেল পরিবহন করছিলেন। উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি বিভাগ ২০২২ সালে ভেনেজুয়েলার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ, ভেনেজুয়েলার সঙ্গে ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পস (আইআরজিসি) এবং হিজবুল্লাহ’র যোগাযোগ রয়েছে।