
কৃষ্ণ সাগরে তুরস্কের বসফরাস প্রণালীর কাছে রাশিয়ার দুটি তেল ট্যাঙ্কারে বিস্ফোরণ ও আগুনের ঘটনা ঘটেছে। তুর্কি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, জাহাজে থাকা ক্রুদের উদ্ধার করতে অভিযান শুরু করা হয়েছে।
তুরস্কের পরিবহন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মিশর থেকে রাশিয়ার দিকে যাওয়ার পথে শুক্রবার ২৭৪ মিটার দীর্ঘ কাইরোস ট্যাঙ্কারটি বিস্ফোরিত হয়। দ্রুত ব্যবস্থা হিসেবে দুটি উদ্ধারকারী নৌকা পাঠানো হয় এবং ২৫ জন ক্রুকে নিরাপদে উদ্ধার করা হয়েছে।
তুরস্কের সমুদ্র বিষয়ক অধিদপ্তর জানিয়েছে, কাইরোস নভোরোসিস্ক বন্দরের দিকে যাচ্ছিল। তুরস্কের উপকূল থেকে ২৮ নটিক্যাল মাইল দূরে বিস্ফোরণ ঘটে। এর পাশাপাশি কৃষ্ণ সাগরের আরও পূর্বে, উপকূল থেকে প্রায় ৩৫ নটিক্যাল মাইল দূরে বিরাট নামের আরেকটি ট্যাঙ্কারেও বিস্ফোরণ ঘটে। সেখানে থাকা ২০ জন কর্মী সুস্থ অবস্থায় আছেন এবং উদ্ধারকারী ইউনিট ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে।
সংবাদমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালে ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর রাশিয়ার বিরুদ্ধে আরোপিত নিষেধাজ্ঞাভুক্ত জাহাজের তালিকায় কাইরোস ও বিরাট উভয়ই অন্তর্ভুক্ত।
একজন তুর্কি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবিসি নিউজকে জানিয়েছেন, দুটি ট্যাঙ্কারই মাইন, ড্রোন বা ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে আক্রান্ত হতে পারে।
তুরস্কের পরিবহন ও অবকাঠামো মন্ত্রী আব্দুলকাদির উরালোগলু বলেছেন, “প্রাথমিক রিপোর্টে মনে হচ্ছিল কাইরোস একটি মাইনে আঘাত পেয়েছে। পরে বিরাটের বিস্ফোরণের বিষয়টি জানা যায়। আমাদের ক্রুরা ইঙ্গিত দিচ্ছে, এগুলোও বহিরাগত হস্তক্ষেপের কারণে ঘটেছে। বাহ্যিক হস্তক্ষেপের ক্ষেত্রে প্রথমে যা আসে, তা হলো মাইন, ক্ষেপণাস্ত্র, সামুদ্রিক জাহাজ বা ড্রোন। তবে নিশ্চিত তথ্য এখনো নেই।”
প্রসঙ্গত, ইউক্রেন যুদ্ধ চলাকালীন ইউক্রেন রাশিয়ান জাহাজের বিরুদ্ধে নৌ হামলা চালিয়েছে, বিশেষ করে বিস্ফোরক-ভর্তি সামুদ্রিক ড্রোন ব্যবহার করে। তবে সেই হামলা মূলত উত্তর কৃষ্ণ সাগরের জলসীমায় সীমাবদ্ধ ছিল।