
ব্রাজিলে ২০২২ সালের নির্বাচনে পরাজয়ের পর ক্ষমতায় টিকে থাকতে অভ্যুত্থানের পরিকল্পনায় নেতৃত্ব দেওয়ার অভিযোগে সাবেক প্রেসিডেন্ট জাইর বলসোনারোকে কঠোর সাজা দিয়েছে দেশটির সর্বোচ্চ আদালত। মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি আলেকজান্দ্রে ডি মোরেস তার বিরুদ্ধে ২৭ বছর তিন মাসের কারাদণ্ড ঘোষণা করেন। এ রায়ের মাধ্যমে মামলার বিচার প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ শেষ হলো—অর্থাৎ আর কোনো ধরনের আপিলের সুযোগ নেই।
৭০ বছর বয়সী ডানপন্থী নেতা বলসোনারো ২০২২ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বামপন্থী প্রতিদ্বন্দ্বী লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভার কাছে পরাজিত হন। ফলাফলকে তিনি স্বীকার করতে অস্বীকৃতি জানান এবং পরবর্তীতে ক্ষমতা ধরে রাখতে অভ্যুত্থান সংগঠনের পরিকল্পনায় অংশ নেওয়ার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হন।
রায় অনুযায়ী, বলসোনারো রাজধানী ব্রাসিলিয়ার ফেডারেল পুলিশের কারাগারেই তার সাজা ভোগ করবেন। তাকে উচ্চ নিরাপত্তা বা সামরিক কারাগারে নেওয়ার আবেদন আদালত নাকচ করে দিয়েছে। গত শনিবার থেকেই তিনি ওই কমপ্লেক্সে আটক অবস্থায় রয়েছেন।
তার আইনজীবীরা গৃহবন্দি থেকে সাজা কাটানোর আবেদন করলেও বিচারপতি মোরেস তা গ্রহণ করেননি। তিনি জানান, বলসোনারো পূর্বে পায়ে পরানো অ্যাঙ্কল ব্রেসলেট ভাঙার চেষ্টা করেছিলেন—যা পালানোর প্রচেষ্টা হিসেবে বিবেচিত।
তবে আদালত সাবেক প্রেসিডেন্টের জন্য পূর্ণকালীন চিকিৎসা সুবিধা নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছে। আদালতে জমা দেওয়া তার চিকিৎসা দলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, তিনি শারীরিকভাবে দুর্বল এবং নিবিড় চিকিৎসা নজরদারির প্রয়োজন রয়েছে।
এর আগে চলমান ফৌজদারি মামলার বিচার বন্ধ করতে যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপ চাওয়ার অভিযোগে সতর্কতা লঙ্ঘনের দায়ে তাকে গৃহবন্দি করা হয় এবং পালিয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় তার পায়ে অ্যাঙ্কল ব্রেসলেট পরানো হয়।