
মেক্সিকোতে ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূতকে হত্যার ষড়যন্ত্রের অভিযোগকে ভিত্তিহীন ও অযৌক্তিক বলে প্রত্যাখ্যান করেছে ইরান। তেহরানের দাবি, এই অভিযোগ যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের একটি ‘রাজনৈতিক চাল’, যার উদ্দেশ্য ইরানের সঙ্গে অন্যান্য দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক নষ্ট করা।
সোমবার (১০ নভেম্বর) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা এক প্রতিবেদনে জানায়, ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইসমাঈল বাঘায়ি এসব অভিযোগকে ‘হাস্যকর ও মনগড়া’ বলে অভিহিত করেছেন।
বাঘায়ি বলেন, “আমরা মনে করি ইসরায়েল এমন এক হাস্যকর অভিযোগ এনে ইরানের সঙ্গে অন্যান্য দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক নষ্ট করতে চাচ্ছে।”
এর আগে গত সপ্তাহে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মার্কিন ও ইসরায়েলি কর্মকর্তারা দাবি করেন, ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পসের (আইআরজিসি) কুদস ফোর্স ২০২৪ সালের শেষের দিকে মেক্সিকোতে ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত আইনাত ক্রানজ নেইগারকে হত্যার পরিকল্পনা করেছিল। তাদের দাবি, ষড়যন্ত্রটি আগেই নস্যাৎ করা হয়েছে এবং বর্তমানে কোনো নিরাপত্তা ঝুঁকি নেই, যদিও অভিযোগের পক্ষে কোনো প্রমাণ উপস্থাপন করা হয়নি।
ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে মেক্সিকোর নিরাপত্তা সংস্থাগুলোকে ধন্যবাদ জানিয়ে দাবি করে, ইরানের পরিচালিত একটি সন্ত্রাসী নেটওয়ার্ক মেক্সিকোতে তাদের রাষ্ট্রদূতের ওপর হামলার চেষ্টা করেছিল, যা স্থানীয় নিরাপত্তা বাহিনী ব্যর্থ করে দেয়।
তবে মেক্সিকোর পররাষ্ট্র ও নিরাপত্তা মন্ত্রণালয় এক যৌথ বিবৃতিতে জানিয়েছে, “রাষ্ট্রদূতের ওপর কোনো হামলার চেষ্টা হয়েছে—এমন কোনো তথ্য আমাদের হাতে নেই। মেক্সিকো কোনো দেশের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত করেনি।”
মেক্সিকোতে ইরানের দূতাবাসও এই অভিযোগকে ‘বড় মিথ্যা ও গণমাধ্যমে প্রভাব বিস্তারের প্রচেষ্টা’ বলে মন্তব্য করেছে। বিবৃতিতে বলা হয়, “মেক্সিকোর স্বার্থের বিরুদ্ধে কিছু করা মানে আমাদের নিজেদের স্বার্থের বিরুদ্ধাচরণ করা।”
বাঘায়ি শেষ পর্যন্ত বলেন, “অভিযোগটি এতটাই হাস্যকর যে, আমাদের মনে হয়েছে এটি নিয়ে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়ারও প্রয়োজন নেই।”