গাজায় ইসরায়েলি হামলায় আরও ৮১ ফিলিস্তিনি নিহত


February 4 2025/gettyimages-2205141773.jpg

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় একদিনে কমপক্ষে আরও ৮১ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৪০০ -এর বেশি মানুষ। গত প্রায় ২১ মাসের ধারাবাহিক হামলায় উপত্যকাটিতে এ পর্যন্ত সাড়ে ৫৬ হাজারের কাছাকাছি মানুষের প্রাণ গেছে।

শনিবার (২৮ জুন) স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

গাজায় এক সপ্তাহের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে পৌঁছানো সম্ভব—মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের এমন বক্তব্যের দিনেও ফিলিস্তিনিদের মৃত্যু থামেনি।

গাজার প্রত্যক্ষদর্শী ও সেখানকার আল-শিফা হাসপাতালের কর্মী সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, শহরের একটি স্টেডিয়ামের পাশে হামলায় শিশুসহ ১১ জনের প্রাণ গেছে। স্টেডিয়ামটিতে তাঁবু টানিয়ে বাস্তুচ্যুতরা ব্যবহার করে থাকেন। ফুটেজে সেখানকার মানুষদের খালি হাতে ও কোদাল দিয়ে মৃতদেহ খুঁজে বের করতে দেখা গেছে।

ইসরায়েলি হামলায় আল-মাওয়ারি এলাকার আবাসিক ভবন ও তাবুতে বেশ কয়েকজন শিশুসহ ১৪ জন নিহত হয়েছেন। সেখানকার জাফা স্কুলের পাশে তুফাহ এলাকায় বিমান থেকে বোমা বর্ষণে অন্তত ৮ জনের মৃত্যুর খবর জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

সেখানকার উদ্ধারকাজের ব্যাপারে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, অ্যাম্বুলেন্সগুলো ও বেসামরিক প্রতিরক্ষা কর্মীরা হামলায় ধ্বংসস্তূপের নিচে ও বিভিন্ন সড়কে আটকে পড়া মানুষদের কাছে পৌঁছাতে বেগ পাচ্ছেন, কারণ ক্ষতিগ্রস্ত কিছু এলাকায় যাতায়াত প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে।

দুই মাসের যুদ্ধবিরতি ভেঙে গত মার্চে গাজায় ইসরায়েল নতুন দফায় হামলা চালায়। এর আগে ১৯ জানুয়ারি শুরু হওয়া এ যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে তিনটি ধাপ ঠিক করা হলেও তার প্রথম ধাপ পার করতে পারেনি।

দ্বিতীয় ধাপে যুদ্ধবিরতি, ইসরায়েলে বন্দি ফিলিস্তিনি ও গাজায় জিম্মিদের উভয়ে উভয়কে ফিরিয়ে দেওয়া এবং গাজা থেকে ইসরায়েলি বাহিনী পুরোপুরি সরিয়ে নেওয়া।

এখন ট্রাম্পের বক্তব্যে আশা দেখছেন কাতারের মধ্যস্থতাকারীরা। তারা মনে করছেন, যুক্তরাষ্ট্রের চাপে এবার একটি চুক্তিতে পৌঁছানো যাবে। যেভাবে সদ্যই ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে ১২ দিনের সংঘাতের সমাপ্তি ঘটেছে। সূত্র: বিবিসি

ঢাকাওয়াচ২৪ এর খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন ।
ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন [email protected] ঠিকানায়।
×