
ফ্যাটি লিভার প্রতিরোধের সহজ তিন উপায়
লিভার আমাদের শরীরের সবচেয়ে বড় অরগান। সেই সাথে এর সমস্যাও বড় বড়। এর থেকে মৃত্যুও হতে পারে। ফ্যাটি লিভারের প্রতিরোধ ডাক্তারের হাতে না। নিজের হাতে। ফ্যাটি লিভার ডিজিসের চিকিৎসায় করণীয় বিষয়ে কথা বলেছেন সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের লিভার বিশেষজ্ঞ ডাক্তার রোকসানা বেগম। ফ্যাটি লিভারের কারণ: রক্তে অতিরিক্ত চর্বি, অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস, বিভিন্ন মেডিসিনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া, অতিরিক্ত ওজন বা খুব দ্রুত ওজন কমানো, পেটে অতিরিক্ত মেদ, বেশি পরিমাণ রিফাইন্ড শর্করা গ্রহণ, মদ্যপান বা জেনেটিক্স কারণে একজন মানুষ ফ্যাটি লিভারে আক্রান্ত হতে পারেন। মূলত, শর্করা ও ফ্যাট বিপাক ক্রিয়ার নানা অসামঞ্জস্যতার ফলে এই রোগ হয়। ওজন নিয়ন্ত্রণ: ফ্যাটি লিভার থেকে মুক্তি পেতে ওজন কমানো সবচেয়ে কার্যকর পদ্ধতি। যাদের ওজন বেশি, তারা যদি মাত্র ৭-১০ শতাংশ ওজন কমাতে পারেন তবে ফ্যাটি লিভার থেকে খুব দ্রুতই মুক্তি সম্ভব। তবে মনে রাখবেন, না খেয়ে বা কোনো মেডিসিনের মাধ্যমে খুব দ্রুত ওজন কমানোর চেষ্টা করবেন না, এতে লাভের চেয়ে ক্ষতিই বেশি। আপনার ওজন যেমন ১ দিনে বা ৭ দিনে বাড়েনি তাই, ওজন কমানোর ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে সময় দিতে হবে। সঠিক খাবার গ্রহণ সেই সঙ্গে নিয়মিত ব্যায়াম আপনাকে আপনার কাঙ্ক্ষিত ওজন অর্জনে সহায়তা করবে।পানি: যকৃত বা লিভার ভালো রাখার সবচেয়ে ভালো উপায় হচ্ছে পানি পান করা। লিভার ভালো রাখতে অবশ্যই সঠিক পরিমাণে বিশুদ্ধ পানি পান করা আবশ্যক। সুতরাং, অস্বাস্থ্যকর পানীয় যেমন কার্বোনেটেড বেভারেজ বা রাস্তার মোড়ে থাকা শরবত পানের অভ্যাস থাকলে আজ থেকে বাদ দিন এবং বিশুদ্ধ পানি পান করুন এবং আপনার যকৃতকে ভালো রাখুন। খাদ্যভাসে পরিবর্তন: যে কোনো রোগ থেকে বাঁচার জন্য খাদ্যভাসে পরিবর্তন আনার কোনো বিকল্প নেই। একজন মানুষের ওজন, উচ্চতা, পরিশ্রমের ধরন, শারীরিক অবস্থা বিবেচনা করে নিয়মিত সুষম ও পুষ্টিকর খাবার খাওয়া উচিত। বিভিন্ন রঙের শাকসবজি, ফল, লাল আটার রুটি বা লাল চালের ভাত এবং সঠিক পরিমাণে প্রোটিন, খাদ্য তালিকায় প্রতিদিন রাখতে হবে। চিনি ও চর্বি জাতীয় খাবার বাদ দিতে হবে।নিয়মিত স্বাস্থ্যসম্মত ও পুষ্টিকর খাবার সঠিক পরিমাণে গ্রহণ করলে ডায়াবেটিস, ওজন নিয়ন্ত্রণ বা লিপিড প্রোফাইল ঠিক রাখা কোনো কঠিন বিষয় নয়। আর এই কাজগুলো সঠিকভাবে করতে পারলে লিভার থেকে ফ্যাট খুব সহজে দূর হবে। মনে রাখবেন, লিভার ভালো রাখতে ফিট থাকার কোনো বিকল্প নেই।

২৯ জন সিভিল সার্জনকে ওএসডি
সারা দেশের ২৯টি জেলার সিভিল সার্জনকে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। রোববার (২ মার্চ) স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের উপসচিব সনজীদা শরমিন স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ‘বদলি বা পদায়নকৃত কর্মকর্তারা আগামী ৬ মার্চের মধ্যে বদলিকৃত কর্মস্থলে যোগদান করবেন। অন্যথায় বর্তমান কর্মস্থলে ৯ মার্চ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে অবমুক্ত মর্মে গণ্য হবেন।’ ওএসডির আদেশ পাওয়া সিভিল সার্জনরা হলেন বরিশালের সিভিল সার্জন ডাক্তার মারিয়া হাসান, কুষ্টিয়ার সিভিল সার্জন ডাক্তার মো. আকুল উদ্দিন, শরিয়তপুরের সিভিল সার্জন ডাক্তার আবুল হাদি মোহাম্মদ শাহ পরান, সিলেটের সিভিল সার্জন ডাক্তার মনিসর চৌধুরী, নোয়াখালীর সিভিল সার্জন ডাক্তার ইফতেখার, পিরোজপুরের সিভিল সার্জন ডাক্তার মিজানুর রহমান, কক্সবাজারের সিভিল সার্জন ডাক্তার আসিফ আহমেদ হাওলাদার, ঝালকাঠির সিভিল সার্জন ডাক্তার এইচএম জহিরুল ইসলাম, ফেনীর সিভিল সার্জন ডাক্তার মো. শিহাব উদ্দিন, পাবনার সিভিল সার্জন ডাক্তার শহীদুল্লাহ দেওয়ান। এছাড়াও এ তালিকায় আছেন শেরপুরের সিভিল সার্জন ডাক্তার মুহাম্মদ জসিম উদ্দিন, জামালপুরের সিভিল সার্জন ডাক্তার মো. ফজলুল হক, পটুয়াখালীর সিভিল সার্জন ডাক্তার এসএম কবির হোসেন, মেহেরপুরের সিভিল সার্জন ডাক্তার মো. মহীউদ্দিন, নেত্রকোণার সিভিল সার্জন ডাক্তার অনুপম ভট্টাচার্য, টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জন ডাক্তার মিনহাজ উদ্দিন মিয়া, ঠাকুগাঁওয়ের সিভিল সার্জন ডাক্তার নূর নেওয়াজ আহমেদ, গাইবান্ধার সিভিল সার্জন ডাক্তার কানিজ সাবিহা, জয়পুরহাটের সিভিল সার্জন ডাক্তার রুহুল আমিন, গাজীপুরের সিভিল সার্জন মাহমুদা আখতার, কিশোরগঞ্জের সিভিল সার্জন ডাক্তার সাইফুল ইসলাম। ওএসডি তালিকায় আরও আছেন বরগুনার সিভিল সার্জন ডাক্তার প্রদীপ চন্দ্র মন্ডল, নওগাঁর সিভিল সার্জন ডাক্তার নজরুল ইসলাম, রংপুরের সিভিল সার্জন ডাক্তার মোস্তফা জামান চৌধুরী, নীলফামারীর সিভিল সার্জন ডাক্তার হাসিবুর রহমান, মানিকগঞ্জের সিভিল সার্জন ডাক্তার মোকছেদুল মোমিন, লালমনিরহাটের সিভিল সার্জন নির্মলেন্দু রায়, পঞ্চগড়ের সিভিল সার্জন ডাক্তার মোস্তাফিজুর রহমান ও কুড়িগ্রামের সিভিল সার্জন ডাক্তার মনজুর এ মোর্শেদ।

দেশে প্রথম বার জিকা ভাইরাসের ক্লাস্টার শনাক্ত, আক্রান্ত ৫
বাংলাদেশে প্রথম বারের মতো জিকা ভাইরাসের ক্লাস্টার শনাক্ত হয়েছে। আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র বাংলাদেশ (আইসিডিডিআরবি) ৫ জনের মধ্যে এই ভাইরাস পেয়েছে। সোমবার (৩ মার্চ) সংস্থাটি তাদের ফেসবুক পেজ এবং ওয়েবসাইটে এ সংক্রান্ত তথ্য দিয়েছে। আইসিডিডিআরবির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘২০২৩ সালে সংগ্রহ করা নমুনা পর্যালোচনা করে এ তথ্য পেয়েছেন তারা। বিজ্ঞানীরা সমগ্র জিনোম সিকোয়েন্সিং এবং তুলনামূলক বিশ্লেষণ ব্যবহার করে প্রকাশ করেছেন যে, বাংলাদেশি এই স্ট্রেইন এশিয়ান লাইনেজের অন্তর্গত। এতে আক্রান্ত হলে মাইক্রোসেফালি ও অন্যান্য স্নায়বিক রোগের মতো গুরুতর সংকট দেখা দিতে পারে।’ আইসিডিডিআরবি তাদের ওয়েবসাইটে বলছে, ‘বাংলাদেশের গ্রীষ্মমণ্ডলীয় জলবায়ু, এর উষ্ণ তাপমাত্রা এবং দীর্ঘ বর্ষাকাল এডিস মশার জন্য সর্বোত্তম প্রজনন পরিস্থিতি তৈরি করে। এ কারণে মশাবাহিত অনেক রোগ হয়। ডেঙ্গু ছাড়াও এখানে চিকুনগুনিয়া দেখা গিয়েছিল। এবার জিকা ভাইরাসও শনাক্ত হলো।’ জানা গেছে, ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়ার মতো জিকাও ছড়ায় এডিস মশার মাধ্যমে। এর লক্ষণ ডেঙ্গুর মতো হলেও আশি শতাংশের ক্ষেত্রেই তা ধরা পড়ে না। ভাইরাস শরীরে থাকে বছর ধরে। এমনকি জিকা ভাইরাসে আক্রান্তের সঙ্গে যৌন সম্পর্কের মাধ্যমেও ছড়ায় এই রোগ। জিকা আক্রান্ত হয়ে গর্ভবতী হলে অথবা গর্ভবতী জিকা আক্রান্ত হলে নানা শারীরিক ত্রুটি নিয়ে জন্ম নেয় শিশু। ১৯৪৭ সালে উগান্ডায় বানরের শরীরে প্রথম ধরা পড়ে জিকা ভাইরাস। ১৯৫২ সালে প্রথম শনাক্ত হয় মানবদেহে। এরপর তা ছড়িয়ে পড়ে বিশ্বের অনেক দেশে।

মাইগ্রেনের ব্যথা কমায় যেসব খাদ্য
সাধারণত মাইগ্রেনের সমস্যায় মাথার ভেতরের অংশ, বাম, ডান বা উভয় পাশ ব্যথা হয়ে থাকে। এ সমস্যার সম্মুখীন হলে অনেকে ওষুধ খান। তবে কখনও কখনও ওষুধেও কাজ করে না মাইগ্রেন। তাই জেনে নিন, মাইগ্রেনের ব্যথা কমাতে পারে এমর কিছু খাবারের নাম। বিভিন্ন কারণেই আপনার মাইগ্রেনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। সূর্যের প্রখর তাপদাহ কিংবা একটানা কম্পিউটার বা মোবাইলের সামনে বসে থাকা এর একটি কারণ হতে পারে। এছাড়াও ঘুম কম হওয়া, দুশ্চিন্তা, চোখের ক্লান্তি, সাইনাস প্রদাহ কিংবা মস্তিষ্কের রক্তনালিতে কোনো সমস্যা দেখা দিলেও মাথাব্যথা হতে পারে। অনেক সময় তীব্র মাথা ব্যথার সঙ্গে বমি ভাব, চোখে যন্ত্রণা এমনকী মুখ ও চোয়ালেও ব্যথাও রোগীর মধ্যে দেখা যায়। নিউরোলজিস্টরা মনে করেন, অগোছালো জীবনযাত্রা ও অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভাসের জন্য মাইগ্রেনের সমস্যা বাড়ে। এ সমস্যা একেবারে নিরাময় সম্ভব নয়। তবে নিয়ন্ত্রিত জীবনযাত্রা ও খাদ্যাভাসে এই সমস্যা থেকে অনেকটাই মুক্তি পাওয়া যায়।ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম জি নিউজের প্রতিবেদন অনুসারে আসুন জেনে নিই, মাইগ্রেনের ব্যথা কমাতে ডায়েট লিস্টে যেসব খাবার রাখতে পারেন-বাঁধাকপির ম্যাগনেশিয়াম, ওমেগা ৩ ও ফাইবার, বাঁধাকপির স্যুপ ও স্মুথি বা সালাদ। এসব খাবার মাইগ্রেনের ব্যথা কমায়। এ ছাড়া রয়েছে গাজর ও মিষ্টি আলু।গাজর ও মিষ্টি আলুতে রয়েছে বিটা ক্যারোটিন। আরও রয়েছে ভিটামিন সি, বি২, বি৬, নিয়াসিন, ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম, কপার, ম্যাঙ্গানিজ ও ফসফরাস, যা ব্যথা দূর করে।মাইগ্রেনের ব্যথা নিয়ন্ত্রণে চেরি ফলের জুসও বেশ উপকারী। চেরিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পলিফেনলস নামের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। চেরি স্ট্রেস দূর করে, মাথাব্যথা কমায়।মাইগ্রেনের ব্যথা নিয়ন্ত্রণে আরেকটি বিশেষ খাবার হচ্ছে মাশরুম। মাশরুমে ম্যাগনেশিয়াম ও রিবোফ্লোবিন থাকায় মাইগ্রেন কমে।আদার অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি গুণ মাইগ্রেনের ব্যথা কমায়। তাই মাইগ্রেনের ব্যথা কমাতে আদা পানি খেতে পারেন। অথবা আদা কুচি চিবোতেও পারেন।প্রসঙ্গত, চকলেট, অ্যালকোহল, ডিম, দুধ বা দুগ্ধজাত দ্রব্য, পেঁয়াজ, টমেটো, ময়দার রুটি মাইগ্রেনের অ্যাটাকের সময় ভুলেও খাবেন না। ব্যথা হলে প্রচুর পরিমাণে পানি খান।

জুলাই বিপ্লবোত্তর মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা
জুলাই বিপ্লবোত্তর মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছেন আন্দোলনে অংশ নেওয়া বাংলাদেশের স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা। শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবির) সিরাজুল ইসলাম লেকচার হলে ‘জুলাই-আগস্ট বিপ্লব পরবর্তী আন্ডারগ্রাজুয়েট পোস্ট গ্রাজুয়েট শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা’ নিয়ে গবেষণা শীর্ষক বিশেষ সেমিনার এ তথ্য জানানো হয়। বৈজ্ঞানিক সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাবির প্রো-ভিসি (শিক্ষা) ড. মামুন আহমেদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাবির সাইকোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সৈয়দ তানভীর রহমান, ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. এস এম আবুল কালাম আজাদ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাইকিয়াট্রি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. সেলিনা ফাতেমা বিনতে শহীদ এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র উমামা ফাতেমা। সেশন চেয়ার হিসেবে অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাবির এডুকেশনাল অ্যান্ড কাউন্সেলিং সাইকোলজি বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মেহজাবীন হক। গবেষণাপত্র উপস্থাপন করেন ক্নিনিকাল সাইকোলজিস্ট সাদিয়া শারমিনসহ দুজন গবেষক। গবেষণা ফলাফলে প্রাপ্ত তথ্য পর্যালোচনা করে তিনি জানান, জুলাই বিপ্লবোত্তর মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছে বাংলাদেশের স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা। জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের ফলে বাংলাদেশের স্নাতক ও স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থীরা, যারা অন্তত ৫ দিন এই আন্দোলনে গিয়েছিলেন, তাদের মধ্যে অনেকেই মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছেন বলে গবেষণায় উঠে এসেছে। ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর মাসজুড়ে ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট ও রাজশাহী বিভাগে গবেষণার কাজ পরিচালিত হয়। গবেষণার উদ্দেশ্য ছিল জুলাই-আগস্ট বিপ্লব পরবর্তী বিপ্লোবত্তর মানুষের মানসিক স্বাস্থ্য পরিমাপ করা। মানসিক স্বাস্থ্যর অনেক দিক থাকলেও এঙ্কসাসি, ডিপ্রেশন অ্যান্ড পোস্ট ট্রমাটিক স্ট্রেস ডিসঅর্ডারকে (পিটিএসডি) সামনে রেখে এই গবেষণার কাজ পরিচালনা করা হয়। যেখানে ৩৭৫ জন শিক্ষার্থীর যাদের বয়স ১৭-২৮ বছর তাদের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করতে ২৬ জন ডাটা সংগ্রহকারীদের প্রায় ৩ মাস সময় লেগেছিল। অনুষ্ঠানে মামুন আহমেদ জুলাই বিপ্লবের সময় মানুষের আত্মত্যাগ ও সার্বিক পরিস্থিতি কীভাবে মানসিক আঘাতের কারণ হয়ে দাঁড়ায় তা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, জুলাই-আগস্টের ঘটনা প্রচণ্ড মানসিক আঘাত ও বিষণ্ণতার কারণ হয়েছিল। আন্দোলনে আহত কিংবা প্রিয়জন হারানো ব্যক্তিরা এখনও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। এমনকি যারা বাসায় থেকে সব দেখেছেন, তারাও ওইসব ঘটনা দেখে মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।’ উমামা ফাতেমা বলেন, ‘জুলাই অভ্যুত্থানে যথেষ্ট অবদান রাখা সত্ত্বেও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের যথাযথ স্বীকৃতি দেওয়া হচ্ছে না, যা তাদের মানসিকভাবে আঘাত করছে। এ ছাড়া বিপ্লবে প্রথম সারিতে থাকা মেয়েদের অবদান যথেষ্ট প্রশংসিত হচ্ছে না, যা তাদের মনে হতাশার সৃষ্টি করছে।’ তিনি স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে কাউন্সেলিং পরিষেবা প্রকল্পের ওপর গুরুত্ব দেন এবং বাড্ডা, বাসিলা, যাত্রাবাড়ীসহ বিভিন্ন রেড জোনে গবেষণা চালানোর আহ্বান জানান।

ইয়ারফোন ব্যবহারে বাড়ছে বিপদ, সমাধানের উপায়
হেডফোন বা ইয়ারফোনের চাহিদা বাড়ছে। বিশেষ করে তরুণরা এটি বেশি ব্যবহার করছেন। অনেকেরই ধারণা, সাধারণ হেডফোনের তুলনায় নয়েজ ক্যানসেলিং’ হেডফোন বা ইয়ারফোন অনেক বেশি সুরক্ষিত। তবে চিকিৎসকরা বলছেন অন্য কথা। ‘নয়েজ ক্যানসেলিং’ হেডফোনের স্পিকার এমনভাবে তৈরি, যাতে বাইরের শব্দ ভেতরে না ঢোকে। অর্থাৎ এই হেডফোন কানে দিলে আপনি বাইরের কোলাহল বা শব্দ শুনতে পাবেন না। ট্রেনে বা বিমানে যারা লম্বা সফর করেন, তারা এমন হেডফোন বা ইয়ারফোনই বেশি ব্যবহার করেন। অনেককেই বলতে শুনবেন, ‘নয়েজ ক্যানসেলিং’ ইয়ারফোন ব্যবহার করলে ক্লান্তি কেটে যায়, ঘুমও নাকি ভালো হয়। কিন্তু গবেষণায় দেখা গেছে, এমন হেডফোনও কানের জন্য ক্ষতিকর। হেডফোন বা ইয়ারফোনে ‘অ্যাকটিভ নয়েজ কন্ট্রোল’ প্রযুক্তি ব্যবহার করার কথা বলা হচ্ছে ঠিকই, কিন্তু তা আদৌ বিজ্ঞানসম্মত নয়। বাইরের শব্দ না ঢুকলেও এমন হেডফোনে উচ্চস্বরে কেউ যদি গান চালিয়ে শোনেন, তাহলে কানের ক্ষতি হতে বাধ্য। একটানা এমন হেডফোন ব্যবহার করলে মস্তিষ্কের ওপরে চাপ পড়বে। ক্ষতি হবে স্নায়ুরও। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কোনো রকম হেডফোন বা ইয়ারফোনকেই সুরক্ষিত বা নিরাপদ নয়। সবটাই বিজ্ঞাপনী চমক। তরুণদের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা মাত্র। নয়েজ ক্যানসেলিং হেডফোন বা ইয়ারফোন বলে যা বিক্রি হয়, তার সবগুলো বিজ্ঞানসম্মতভাবে তৈরি হয় না। ফলে শব্দমাত্রা যদি ৮০ ডেসিবেল ছাড়িয়ে যায়, তা হলে কানের ক্ষতি হবেই। কতটা ক্ষতি হয় কানের: সারাক্ষণ হেডফোন কানে গুঁজে রাখলে একটানা শব্দে অন্তঃকর্ণের ককলিয়া অংশটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কানের কোষগুলো নষ্ট হতে থাকে। শুকিয়ে যেতে থাকে কানের ফ্লুইড। কান যেহেতু সারা শরীরের ভারসাম্য বজায় রাখতে পারে, তাই কানের ক্ষতি হওয়া মানে তার প্রভাব পড়বে মস্তিষ্ক ও স্নায়ুতেও। যেকোনো হেডফোনই যদি ১৫ মিনিটের বেশি কানে রাখা হয়, তাহলে অন্তঃকর্ণের যে পরিমাণ ক্ষতি হবে, তা সহজে সারানো সম্ভব হবে না। এ বিষয়ে ইএনটি ও হেড-নেক সার্জারি বিভাগের এক চিকিৎসক বলেন, ‘হেডফোন বা ইয়ারফোন যত উন্নত প্রযুক্তিরই হোক না কেন, তাতে একটানা গান শুনলে বা কথা বললে, কানের সূক্ষ্ম কোষ নষ্ট হয়ে যায়। প্রচণ্ড কম্পাঙ্কের শব্দকে কানের কোষগুলো ইলেকট্রিকাল ইমপালসে বদলে দেয়। তখন কানের কোষগুলো হয় হঠাৎই কাজ করা কমিয়ে দেয়, না হলে একেবারেই বন্ধ করে দেয়। এর নানা রকম প্রভাব পড়ে শরীরে।’ এ ক্ষেত্রে কানের ক্ষতি হতে পারে দুই রকমভাবে। চিকিৎসকের কথায় এক, ‘টেম্পোরারি থ্রেশহোল্ড শিফ্ট’ অর্থাৎ, কম সময়ের জন্য কানে শুনতে না পাওয়া অথবা কান ভোঁ-ভোঁ করা। এই সমস্যা তাড়াতাড়ি ঠিক হয়ে যায়। দুই, ‘পার্মানেন্ট থ্রেশহোল্ড শিফ্ট’, যাতে পাকাপাকিভাবে কানের ক্ষতি হয়। বধিরতা চিরস্থায়ী হয়ে যেতে পারে। সমাধান কিসে: হেডফোন বা ইয়ারফোনের ব্যবহার বন্ধ করা সম্ভব নয়। কর্মক্ষেত্রেও অনেককেই তা ব্যবহার করতে হয়। বিশেষ করে কলসেন্টারে যারা কাজ করেন, তাদের সর্বক্ষণ হেডফোন ব্যবহার করতে হয়। সে ক্ষেত্রে সমাধানের উপায় হিসেবে চিকিৎসকেরা পরামর্শ দিলেন, হেডফোন বা ইয়ারফোনের ব্যবহার কমাতে হবে। কাজের জায়গায় ব্যবহার করতে হলে একটানা করবেন না। ২০ মিনিট অন্তর কানকে বিশ্রাম দিন। অন্তত ১৫-২০ মিনিটের জন্য হেডফোন খুলে রাখুন বা ইয়ারফোনে কিছু শোনা বন্ধ করুন। কাজের জায়গা থেকে ফিরে আর হেডফোন, ইয়ারফোন বা ব্লু-টুথ স্পিকার কানে লাগিয়ে রাখবেন না। ফোনে কথা বলতে হলে এমনিই বলুন। তাতেও ক্ষতি কম হবে। দরকার যখন নেই, তখন এ সবের ব্যবহার করবেন না। খুব প্রয়োজন ছাড়া কানে উচ্চস্বরের শব্দ সব সময়ে ঢুকতে থাকলে ভবিষ্যতে বড়সড় শারীরিক সমস্যার মুখোমুখি হতে হবে। শ্রবণশক্তি নষ্টও হয়ে যেতে পারে।

মাইগ্রেনের ব্যথা হলে খাওয়া ঠিক নয় যেসব খাবার
অনেকেরই মাইগ্রেনের সমস্যা আছে। একমাত্র ভুক্তভোগীরাই জানে এ ব্যথা কতটা মারাত্মক। অনেকের ক্ষেত্রে এই ব্যথা একবার শুরু হলে তিন দিনের আগে সারতেই চায় না। মাইগ্রেনে আক্রান্ত ব্যক্তিদের প্রায় সময় বমি বমি লাগে, নাকে গন্ধ পান না। এসময় তাদের খেতে কষ্ট হয়, ক্লান্ত লাগে, মেজাজ পরিবর্তন হবে। হাত, পায়ে ব্যথা হয়। আবার আলোর দিকে তাকাতেও তাদের সমস্যা হয়। কোন কোন খাবার খাবেন না পুরুষের তুলনায় নারীদের মধ্যে মাইগ্রেনে আক্রান্তের প্রবণতা বেশি। কারও যদি পারিবারিক ইতিহাসে দেখা যায়,মাইগ্রেনের সমস্যা ছিল, তাহলে সেই ব্যক্তিও মাইগ্রেনের সমস্যার শিকার হবেন। মাইগ্রেন হলে কিছু কিছু খাবার খাওয়া ঠিক নয়। তা না হলে মাথাব্যথায় ভুগতে হতে পারে। যেমন- চা, কফি: মাইগ্রেনের সমস্যা থাকলে চা, কফি বেশি একদমই খাওয়া ঠিক নয়। এতে ক্যাফেইন থাকে। অতিরিক্ত পরিমাণে ক্যাফেইন খেলে আপনার মাইগ্রেনের ব্যথা বাড়তে থাকবে। তাই এ ব্যাপারে সতর্ক থাকুন। অ্যালকোহল: যারা মাইগ্রেনের সমস্যায় ভুগছেন কিংবা মাথা ব্যথার ঝুঁকি কমাতে চান, তারা ভুলেও অ্যালকোহল খাবেন না। এতে আপনার মাথা যন্ত্রণা বাড়তে থাকবে। চকোলেট: চকোলেটে ক্যাফেইন এবং বিটা-ফেনাইলথাইলামাইন থাকে। এসব উপাদান আপনার মাইগ্রেনের ব্যথাকে বাড়িয়ে দিতে পারে। এ কারণে চকোলেট খেলে অল্প মাত্রায় খান। এটি খেলে আপনার রক্তে শর্করার মাত্রাও বাড়তে থাকবে। পেঁয়াজ: অনেকের পেঁয়াজ খেলেও মাইগ্রেনের ব্যথা বাড়ে। পেঁয়াজে এমন কিছু যৌগ রয়েছে, যা মাথাব্যথার কারণ হতে পারে। পিনাট বাটার: নিয়মিত চীনা বাদাম, মাখন কিংবা পিনাট বাটার খেলেও অনেক সময় মাথাব্যথা হতে পারে। এগুলো আবার অনেক সময় মাইগ্রেনের সমস্যাকে বাড়িয়ে দেয়। যদি আপনি মাইগ্রেনে আক্রান্ত থাকেন, তাহলে এই খাবারগুলি এড়িয়ে চলুন। তাছাড়াও মাইগ্রেনের রোগীদের চিকিৎসকের পরামর্শ মতন ওষুধ খাওয়া দরকার।

বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজে শিক্ষার্থীদের কমপ্লিট শাটডাউন
রিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজের (শেবাচিম) শিক্ষক সংকট নিরসনে কমপ্লিট শাটডাউন ঘোষণা করেছেন শিক্ষার্থীরা। সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টায় কলেজের অ্যাকাডেমিক ভবনের গেটে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ ব্যানার টানিয়ে দেয় তারা। শিক্ষার্থী মো. নাইম ও মো. আজিম জানিয়েছেন, কলেজ প্রতিষ্ঠার পর থেকে এক দিনের জন্য শিক্ষকের শতভাগ পদ পূরণ হয়নি। অবসর থেকে শুরু করে বিভিন্ন কারণে শিক্ষক বদলিতে এ সংকট আরও প্রখর হয়ে দেখা দেয়। বিশেষ করে ৫ আগস্টের পর ৩টি বিভাগের বিভাগীয় প্রধানকে সরিয়ে দিলে ওই বিভাগ ৩টি একেবারে শিক্ষকশূন্য হয়ে পড়ে। এ ছাড়া প্রতিটি বিভাগে শিক্ষক সংকট রয়েছে। যার প্রভাব ফেলছে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ায়। তা ছাড়া শিক্ষক সংকট নিরসনে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা থেকে শুরু করে মন্ত্রণালয়কে অবহিত করা হলেও আশ্বাস ছাড়া আর কিছু পাওয়া যায়নি। এ কারণে আন্দোলনে যেতে বাধ্য হয়েছেন বলে জানান শিক্ষার্থীরা। তারা আরও জানান, বর্তমানে ৩৩৪ পদের বিপরীতে ১৭৩টি পদ শূন্য। যা প্রয়োজনের তুলনায় একেবারে অপ্রতুল। যে কারণে রুটিনমাফিক ক্লাসও হচ্ছে না। শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সহকারী অধ্যাপক ডাক্তার শিহাব উদ্দিন বলেন, ‘বিভিন্ন সময় অধ্যক্ষের মাধ্যমে শিক্ষক সংকটের বিষয়টি মন্ত্রণালয়কে অবহিত করা হয়। এরপর অধ্যক্ষ মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করলে সেখান থেকে শিক্ষক সংকট নিরসনে পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানানো হয়। কিন্তু শিক্ষক সংকট আর দূর হয় না, যার প্রভাব ফেলছে শিক্ষার্থীদের পড়ালেখায়।’ তিনি আরও বলেন, ‘বিশেষ করে শিক্ষার্থীদের পাঠদান, অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম পরিচালনা এবং চিকিৎসাসেবায় সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে।’ শিক্ষার্থীদের দাবির প্রতি একাত্মতা প্রকাশ করে শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকেও অধ্যক্ষের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে বলে জানান শিহাব উদ্দিন। শেবাচিমের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডাক্তার মোহাম্মদ ফয়জুল বাশার বলেন, ‘শিক্ষক সংকটের কারণে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সঙ্গে আমিও একমত। এ সংকট বর্তমানে তীব্র আকার ধারণ করেছে। ফেইস-৩-এ তিনটি বিষয়, সেই ৩টি বিষয়ে বিশেষজ্ঞ শিক্ষক শূন্য। কমিউনিটি মেডিসিনে কোনও বিশেষজ্ঞ শিক্ষক নেই। এমনকি পোস্ট গ্রাজুয়েশনেও শিক্ষক নেই। মাইক্রোবায়োলজি ও প্যাথলজি বিভাগের বিশেষজ্ঞ শিক্ষক শূন্য। আর শিক্ষক সংকট কলেজের জন্মলগ্ন থেকেই চলে আসছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে তিনজন শিক্ষককে বদলি করা হয়েছে। তাদের বদলির আদেশ প্রত্যাহার এবং শূন্যপদ পূরণ করা হবে। এ বিষয়ে মহাপরিচালকের সঙ্গে কথা হয়েছে। তিনি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। আমিও মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি, তারাও বিষয়টি ইতিবাচকভাবে দেখছেন। সেখান থেকে জানানো হয়েছে, দ্রুত সময়ের মধ্যে বদলিকৃতদের আদেশ প্রত্যাহার এবং শূন্যপদ পূরণ করা হবে। আমার বিশ্বাস, দ্রুত সময়ের মধ্যে এ সংকট কেটে যাবে।’

পিরিয়ডের ব্যথা কমবে ঘরোয়া পাঁচ উপায়ে
বেশির ভাগ নারীরই পিরিয়ডের সময় অসহ্য যন্ত্রণার তিক্ত অভিজ্ঞতা রয়েছে। এই যন্ত্রণা বিশেষ করে শুরু হয় তলপেট থেকে, যা পরে কোমর, ঊরু ও পা পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে। অনেকের সারা শরীর ব্যথা কিংবা বমিও হতে দেখা যায়। এই যন্ত্রণা থেকে রেহাই পেতে কিছু ঘরোয়া উপায় অনুসরণ করা যেতে পারে- হালকা ব্যায়াম: বিশেষজ্ঞরা পিরিয়ডের সময় বিভিন্ন ধরনের যোগাসন, বিশেষ করে প্রাণায়াম এবং শবাসন করতে পরামর্শ দিয়ে থাকেন। এ ধরনের ব্যায়াম পিরিয়ডের ব্যথা কমানোর পাশাপাশি শরীরকে অনেকটাই শিথিল করে। ক্যামোমাইল চা: জার্নাল অব অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড কেমিস্ট্রিতে প্রকাশিত একটি সমীক্ষা অনুসারে, ক্যামোমাইল চা-তে ব্যথা উপশমকারী বৈশিষ্ট্য বর্তমান। এটি জরায়ুকে শিথিল করতে এবং প্রোস্টাগ্ল্যান্ডিনের উৎপাদন হ্রাস করতে অত্যন্ত সহায়ক। তাই এ সময় পান করতে পারেন ক্যামোমাইল চা। যারা ক্যামোমাইল চা পান করতে চান না, তারা এর পরিবর্তে গ্রিন টি লেবু মিশিয়ে পান করতে পারেন। আদা: পিরিয়ডের ব্যথা কমানোর ক্ষেত্রে আদার কথা আয়ুর্বেদে উল্লেখ রয়েছে। আদা কার্যকরভাবে পিরিয়ডের ব্যথা কমাতে পারে। এটি প্রোস্টাগ্ল্যান্ডিনের মাত্রা কমায়, অনিয়মিত পিরিয়ডকে নিয়মিত করে এবং ক্লান্তির বিরুদ্ধে লড়াই করতেও সহায়তা করে। হিটিং প্যাড: পিরিয়ডের সময় হিটিং প্যাড বা হট ব্যাগ গর্ভাশয়ের মাংসপেশির মোচড় থেকে স্বস্তি দেয়। এ সময় পিঠের ব্যথা কম করার জন্য পিঠের নিচের অংশে হিটিং প্যাড রাখা যেতে পারে। হালকা গরম পানিতে গোসলের পাশাপাশি গরম তরল পদার্থ পান করলেও স্বস্তি পাওয়া যায় অনেকটাই। নারকেল বা তিলের তেলের মালিশ: আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে, নারকেল বা তিলের তেলে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি গুণ ও লিনোলিক অ্যাসিড থাকে। তাই পিরিয়ডের সময় তলপেটে নারকেল বা তিলের তেলে ম্যাসাজ করলে মাংসপেশিতে ব্যথা অনেকটাই কমে যায়।

বিশ্ব শিশু ক্যান্সার দিবস আজ
আজ ১৫ ফেব্রুয়ারি, বিশ্ব শিশু ক্যান্সার দিবস। শিশু ক্যান্সার সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে ২০০২ সালে চাইল্ড ক্যান্সার ইন্টারন্যাশনাল (সিসিআই) দিবসটি পালন করে আসছে। সারা বিশ্বে শিশু মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ ক্যান্সার। প্রতিবছর ক্যান্সার আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা বাড়ছে।শিশুদের সাধারণত থ্যালাসেমিয়া বা ব্লাড ক্যান্সার বেশি হয়। এ ছাড়া লসিকাগ্রন্থি, কিডনি এবং চোখের ক্যান্সারেও শিশুরা আক্রান্ত হয়। বিশেষজ্ঞদের দাবি— বেশির ভাগ শিশুর ক্যান্সার নিরাময়যোগ্য। শনাক্ত করা গেলে ও উন্নত চিকিৎসা পেলে ৭০ শতাংশ রোগী সেরে ওঠে। কিন্তু মাত্র ২০ শতাংশ রোগী উন্নত চিকিৎসার সুযোগ পান।বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সুনির্দিষ্ট কোনো কারণ না থাকলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রে জীনগত কারণ, ভাইরাস, খাদ্যে ভেজাল, ক্যামিকেলস, পরিবেশগত সমস্যায় শিশুদের ক্যান্সার হয়। তবে প্রাথমিকভাবে এই রোগ শনাক্ত করা গেলে বেশিরভাগ শিশুরই ভালো হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। এই অবস্থায় শিশুদের ক্যান্সার মোকাবিলায় সবার আগে সচেতনতা বাড়ানোর পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।

বার্ন ইনস্টিটিউটের পরিচালক হলেন ডা. নাসির উদ্দীন
জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন ডা. মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন। এর আগে, তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক পদে কর্মরত ছিলেন। বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সেবা বিভাগের পারসোনেল-১ শাখার উপসচিব মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত বিসিএস (স্বাস্থ্য) ক্যাডার বা স্বাস্থ্য সার্ভিসের বর্ণিত চিকিৎসককে তার নামের পার্শ্বে বর্ণিত পদ ও কর্মস্থলে বদলি বা পদায়ন করা হলো। পদায়ন হওয়া কর্মকর্তা হলেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন (৪১৩৬৫)। তাকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ও বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক পদে বদলি ও পদায়ন করা হয়েছে। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বদলি বা পদায়নকৃত কর্মকর্তা আগামী তিন কর্মদিবসের মধ্যে বদলি হওয়া কর্মস্থলে যোগদান করবেন। অন্যথায় পরবর্তী কর্ম দিবসে বর্তমান কর্মস্থল থেকে তাৎক্ষণিক অব্যাহতি (Stand release) মর্মে গণ্য হবেন।অবমুক্তির সময় তিনি বর্তমান কর্মস্থল হতে ছাড়পত্র গ্রহণ করবেন এবং এইচআরএম ডাটাবেজ থেকে মুভ আউট হবেন এবং যোগদানের পর ন্যস্তকৃত বিভাগে বা কর্মস্থলে মুভ ইন হবেন। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে জনস্বার্থে এ আদেশ জারি করা হয়েছে বলেও প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।

দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি চলবে, বললেন ম্যাটস শিক্ষার্থীরা
চার দাবি আদায়ের লক্ষ্যে ঢাকার শাহবাগের জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সোমবারও (১০ ফেব্রুয়ারি) অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুল (ম্যাটস) শিক্ষার্থীরা। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি চলবে বলে জানিয়েছেন তারা। সাধারণ ম্যাটস শিক্ষার্থী ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক মুজাহিদুল ইসলাম সোমবার সকালে সমকালকে এ তথ্য জানান। গতকাল রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) শূন্য পদে নিয়োগসহ চার দাবিতে ম্যাটস শিক্ষার্থীদের সচিবালয়ে অভিমুখী লংমার্চে লাঠিপেটা ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়েছে পুলিশ। এতে নারী শিক্ষার্থীসহ ১১ জন আহত হন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে তাদের চিকিৎসা দেওয়া হয়। রোববার বিকেলে শাহবাগ থেকে সচিবালয় অভিমুখে রওনা দেন শিক্ষার্থীরা। শিক্ষা ভবনের সামনে গেলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। পরে সেখানে দু’পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। এক পর্যায়ে পুলিশ তাদের লাঠিপেটা করে। পুলিশের তাড়া খেয়ে আন্দোলনকারীরা কদম ফোয়ারা ও মৎস্য ভবন হয়ে রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের দিকে চলে যান। শিক্ষার্থীদের চার দাবির মধ্যে রয়েছে অবিলম্বে শূন্য পদে নিয়োগ ও নতুন পদ সৃষ্টি; প্রতিষ্ঠানের নাম ও কোর্স কারিকুলামের সংশোধন; ক্লিনিক্যাল বিষয়ে উচ্চশিক্ষা এবং স্বতন্ত্র শিক্ষা বোর্ড প্রতিষ্ঠা। গত জানুয়ারিতেও ম্যাটস শিক্ষার্থীরা এসব দাবিতে কারওয়ান বাজার ও জাতীয় জাদুঘরের সামনে অবরোধ ও বিক্ষোভ করেন। দেশে ১৬টি সরকারি ও ৫১টি বেসরকারি অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুল আছে। এসব ট্রেনিং স্কুল থেকে তিন বছরের কোর্স সম্পন্ন করলে শিক্ষার্থীরা ডিপ্লোমা ইন মেডিকেল ফ্যাকাল্টি ডিগ্রি পান। তারা বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ‘স্বাস্থ্য সহকারী’ হিসেবে চাকরির সুযোগ পান।

উপদেষ্টার ‘আশ্বাস’, ম্যাটস শিক্ষার্থীদের ‘ভুয়া ভুয়া’ স্লোগান
কাল সোমবার (১০ জানুয়ারি) উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসারের শূন্য পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের আশ্বাস দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম। তবে সাত দিনের বিরতির পর ফের আশ্বাসের ঘোষণায় ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা ‘ভুয়া ভুয়া’, ‘আশ্বাস নয় ঘোষণা চাই’ স্লোগান দিতে থাকেন। রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেল পৌনে ৩টার দিকে স্বাস্থ্য উপদেষ্টার প্রতিনিধি হিসেবে আন্দোলনরত মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুল (ম্যাটস) শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলতে আসেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ও ছাত্র প্রতিনিধি মুহাম্মদ তুহিন ফারাবী। এ সময় স্বাস্থ্য উপদেষ্টার প্রতিনিধি হিসেবে কথা বলতে চাইলে শিক্ষার্থীদের অনেকে ভুয়া স্লোগান দিতে থাকেন। পরে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের স্লোগান থামানোর আহ্বান জানান সাধারণ ম্যাটস শিক্ষার্থী ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় সমন্বয়করা। এরপর উপস্থিত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে কথা বলেন তুহিন ফারাবী। তিনি বলেন, ‘স্বাস্থ্য উপদেষ্টা আমাকে আপনাদের সঙ্গে কথা বলতে পাঠিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, তিনি আপনাদের দাবির সঙ্গে সম্পূর্ণ একমত পোষণ করেছেন। এমনকি আগামীকালের মধ্যে দশম গ্রেডে নিয়োগের সার্কুলার দেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছেন। আমরা আশা করি, এক দিনের জন্য আপনারা ধৈর্য ধরবেন। আশা করি, এবার আপনাদের হতাশ হয়ে ফিরতে হবে না।’ তুহিন ফারাবী বলেন, ‘আমিও একজন শিক্ষার্থী। আমি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কোনো লোক নই। বৈষম্যের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে গিয়ে আমাদের অনেক অত্যাচার-নির্যাতন শিকার হতে হয়েছে। এই শাহবাগে আন্দোলন করতে গিয়ে ছাত্রলীগের হাতে আমাকে ভয়াবহ নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে। এমনকি আমাকে পিটিয়ে ছাদ থেকেও ফেলে দিয়েছিল। সুতরাং আমরা কখনোই বৈষম্য জিইয়ে রাখার পক্ষে নই। আপনারা দাবি পূরণ করেই ঘরে ফিরুন, এটা আমিও চাই। তবে এ আন্দোলনকে কেন্দ্র করে স্বৈরাচারের দোসরদের পরিস্থিতি ঘোলা করার কোনো সুযোগ দেওয়া যাবে না।’ স্বাস্থ্য উপদেষ্টার এ প্রতিনিধি আরও বলেন, ‘সড়ক ছেড়ে আপনাদের উঠে যেতে আমি বলব না। শুধু বলব শাহবাগের এই মোড় রোগীদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ঢাকা মেডিকেল, বিএসএমএমইউ, বারডেমসহ অসংখ্য হাসপাতালের রোগী এ মোড় দিয়ে যাতায়াত করেন। সুতরাং, রোগীদের ভোগান্তির বিষয়টিও আপনাদের মাথায় রাখতে হবে।’

চার দাবিতে ম্যাটস শিক্ষার্থীদের শাহবাগ অবরোধ
উচ্চ শিক্ষার সুযোগ, অনতিবিলম্বে উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার শূন্য পদে নিয়োগ প্রদানসহ চার দফা দাবিতে ঢাকার শাহবাগ মোড় অবরোধ করেছেন মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুল (ম্যাটস) শিক্ষার্থীরা। দাবি মানার ঘোষণা না পেলে শাহবাগ মোড় ছাড়বেন না বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা। রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে তারা শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন বলে জানা গেছে। এর আগে তারা ফার্মগেট এলাকায় জড়ো হন। সেখান থেকে তারা শাহবাগের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন। সাধারণ ম্যাটস শিক্ষার্থী ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক আহমাদুল্লাহ মানসুর বলেন, ‘বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে জুলাই বিপ্লব সংগঠিত হলেও ম্যাটস শিক্ষার্থীর দীর্ঘ দিনের বৈষম্যের অবসান হয়নি। সব বৈষম্য অবসানের লক্ষ্যে গত ২২ জানুয়ারি চার দফা দাবিতে আমরা ঢাকার শাহবাগে গণজমায়েত করলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ৭ কার্যদিবসের মধ্যে দাবি পূরণের লিখিত প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু ৭ দিন পার হলেও তার দৃশ্যমান কিছুই বাস্তবায়ন হয়নি।’ তিনি আরও বলেন, ‘যেহেতু মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তরগুলো এ ব্যাপারে আন্তরিকতার সঙ্গে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি, সেহেতু আমরা এ কর্মসূচি নিয়েছি। আজকের এই মুভমেন্টের সব দায়ভার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর ও বাংলাদেশ রাষ্ট্রীয় চিকিৎসা অনুষদকে নিতে হবে।’ জানা গেছে, বর্তমানে সারা দেশে ১৬টি সরকারি ম্যাটস ও প্রায় ২০০টি বেসরকারি ম্যাটস ডিপ্লোমা মেডিকেল ডিগ্রি (ডিএমএ) কোর্স পরিচালনা করে আসছে। বাংলাদেশ শিক্ষা পরিসংখ্যান ২০২২ এবং বিএমডিসির সর্বশেষ তথ্যমতে বাংলাদেশে বর্তমানে ডিপ্লোমা মেডিকেল শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ৬০ হাজার এবং বিএমডিসি নিবন্ধিত ডিএমএফ’র সংখ্যা প্রায় ৩০ হাজার। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের হিসেব অনুযায়ী প্রায় ৫ হাজার ৫০০ জন ডিপ্লোমা চিকিৎসক উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার পদে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, ইউনিয়ন উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র, ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রসহ জেলা সদর হাসপাতালে কর্মরত আছেন। ম্যাটস শিক্ষার্থীদের দাবি, বর্তমানে ডিপ্লোমা মেডিকেল কোর্স সম্পূর্ণ করে প্রায় ৫০ হাজার দক্ষ জনবল কর্মসংস্থানহীন বেকার হয়ে পড়েছেন। গত এক যুগের বেশি সময় ধরে নিয়োগ বন্ধ রয়েছে, নিয়োগবিধি সংশোধনের নামে তালবাহানা করে নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ রেখেছে। কিন্তু স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা বিভাগে উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার পদে শূন্য পদ রয়েছে ২৫০০টি। এতে করে একদিকে প্রান্তিক জনগোষ্ঠী চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে, অন্যদিকে ম্যাটস থেকে পাশকৃত বেকারের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে।

বিএসএমএমইউয়ে নতুন নামের ব্যানার, বাদ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) আগের নামের বদলে নতুন নামের ব্যানার টানানো হয়েছে। ব্যানারে এর নাম দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএমইউ)। শনিবার (৮ জানুয়ারি) সকালে ক্যাম্পাসে এসে বিভিন্ন ব্লকের সামনে এসব ব্যানার দেখতে পায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিয়ে বিএসএমএমইউয়ে কর্মরত চিকিৎসক, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নতুন নামের এই ব্যানার টানিয়েছেন। তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এ বিষয়ে কিছু জানাতে পারেনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলরের একান্ত সচিব ডাক্তার মো. রুহুল কুদ্দুস বিপ্লব বলেন, ‘নতুন নামের ব্যানার আজ সকালে এসে দেখতে পেলাম। তারা যে নাম দিয়েছেন, এটাসহ আরও কিছু নাম বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের প্রস্তাবনায় রয়েছে। নাম পরিবর্তন নিয়ে মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা চলমান আছে। আগামী ২-৩ দিনের কর্ম দিবসের মধ্যে এ নিয়ে দাপ্তরিক সিদ্ধান্ত আসতে পারে।’ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডাক্তার একে আজাদ বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের নামের বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। অনেকগুলো নাম আমাদের প্রস্তাবনায় রয়েছে। ছাত্রদের সঙ্গে পরামর্শ করেই কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে অচিরেই নতুন প্রজ্ঞাপন আসবে।’ এর আগে বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাত ১২টার দিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বঙ্গবন্ধু নাম সম্বলিত সাইনবোর্ড খুলে ফেলেন প্রতিষ্ঠানটিতে কর্মরত একদল চিকিৎসক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী। শুরুতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সি ব্লক ভবনে টানানো সাইনবোর্ড ও পরবর্তী আরও একাধিক স্থান থেকেও বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম থেকে বঙ্গবন্ধুর নাম খুলে ফেলেন তারা।

বিশ্ব ক্যানসার দিবস আজ
বিশ্ব ক্যানসার দিবস আজ মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি)। প্রতি বছর ৪ ফেব্রুয়ারি সারাবিশ্বে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি পালন করা হয়। এবার দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘ইউনাইটেড বাই ইউনিক’। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য মতে, রোগের মধ্যে বিশ্বে দ্বিতীয় সর্বাধিক মৃত্যুর কারণ ক্যানসার। প্রতি বছর এতে মারা যায় প্রায় এক কোটি মানুষ। বিশেষজ্ঞরা বলে থাকেন, সচেতনতা ও সুষ্ঠু জীবনযাত্রা দিয়ে একটি বড় অংশের ক্ষেত্রে ঠেকিয়ে রাখা যায় এ মারণরোগ। তাই, ক্যানসার নিয়ে আশঙ্কার বদলে সচেতনতার প্রসার বেশি জরুরি। আর সেই কারণেই, প্রতি বছর ৪ ফেব্রুয়ারি পালিত হয় বিশ্ব ক্যানসার দিবস। চিকিৎসকরা মনে করেন, নিয়মিত পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে ক্যানসার তাড়াতাড়ি ধরা পড়ে এবং সেক্ষেত্রে চিকিৎসা সহজ হয়। ক্যানসার ছড়িয়ে পড়লে শরীরের বিভিন্ন স্থানে লক্ষণ বা উপসর্গ দেখা দিতে পারে। সাম্প্রতিক গবেষণায় জানা গেছে, দেশে বর্তমানে প্রতি লাখে ক্যানসারে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১০৬ জন। এছাড়াও প্রতি বছর নতুন করে ক্যানসার আক্রান্ত হচ্ছেন ৫৩ জন। মোট মৃত্যুর ১২ শতাংশই ক্যানসারের রোগী।বিশ্ব ক্যানসার দিবস পালন শুরু হয়েছিল ২০০০ সালে। ফ্রান্সের প্যারিসে ‘ওয়ার্ল্ড সামিট এগেইনস্ট ক্যানসার’-এর মঞ্চ থেকে এ প্রচেষ্টা শুরু হয়।
 25/asma.jpg)
শীতকালে যেসব অ্যালার্জি বাড়ে
শীতে অ্যালার্জিসহ নানা রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। শীতে ত্বকের শুষ্কভাব চুলকানি, ত্বক লালচে হয়ে ফুলে যাওয়া বা ফুসকুড়ির সমস্যা বেড়ে যায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, অ্যালার্জি আছে এমন ব্যক্তিদের জন্য শীত-বর্ষা দুই মৌসুমই সবচেয়ে খারাপ। এ সময় ত্বকের অ্যালার্জি বা শ্বাস প্রশ্বাসের অ্যালার্জি বেড়ে যায়। শীতে ধুলাবালি, ঠান্ডা আবহাওয়ারি কারণে কোল্ড অ্যালার্জিসহ চর্মরোগও বেড়ে যায়। এ সময় অ্যালর্জির প্রভাবে চোখও সংক্রমিত হতে পারে। যেমন- কনজেক্টিভাইটিস, চুলকানি, ফুসকুড়ি ইত্যাদি অ্যালার্জেন সংক্রমণের কারণে হয়। জেনে নিন শীতে কী ধরনের অ্যালার্জি হতে পারে- ত্বকের অ্যালার্জি শীতে ত্বকের অ্যালার্জি বেড়ে যায়। যেখানে দূষণের মাত্রা খুব বেশি, সেখানে চলাফেরার মাধ্যমে রোগীর শরীরে অ্যালার্জি বেড়ে যেতে পারে। এছাড়া সস্তা সিনথেটিক পদার্থ দিয়ে তৈরি শীত পোশাক বা গ্লাভস ত্বকের সংস্পর্শে আসার কারণেও ছত্রাকের সংক্রমণ বাড়িয়ে তোলে। ফলে শরীরের বিভিন্ন ভাঁজ যেমন- হাঁটু বা কনুইতে গিয়ে পৌঁছায় বিভিন্ন ছত্রাক। এর ফলে অ্যালার্জির সৃষ্টি হয়। এছাড়া পোষা প্রাণী, পরাগ বা ধূলিকণার সংস্পর্ষে আসলে হিস্টামিনস নামক রাসায়নিক উপাদানের উৎপাদন বেড়ে যায়। ফলে অ্যালার্জির ট্রিগার করে থাকে। এর থেকে বাঁচতে এজন্যই বিশেষজ্ঞরা অ্যান্টি হিস্টামাইন জাতীয় ওষুধ মৌসুমী অ্যালার্জির চিকিৎসায় ব্যবহার করে। ট্যাবলেট, ক্যাপসুল, তরল, অনুনাসিক স্প্রে ও আইড্রপসসহ বিভিন্নভাবে পাওয়া যায় এটি। হাইপারপিগমেন্টেশন শীতে আরও একটি সাধারণ এলার্জি হলো হাইপারপিগমেন্টেশন। যা ত্বকে বিশেষ করে মুখে গাঢ় প্যাঁচ সৃষ্টি করে। সাধারণত ত্বকের মেলানোসাইট (মেলানিন উত্পাদনকারী কোষ) যখন সূর্যের প্রত্যক্ষ সংস্পর্শে আসে, তখন হাইপারপিগমেন্টেশনের সৃষ্টি হয়। শীতে যেহেতু সব সময় সূর্যের দেখা পাওয়া যায় না, তাই যখন হঠাৎ সূর্যের সংস্পর্শে যাওয়া হয় তখন এই অ্যালার্জির সৃষ্টি হয়। ব্রণ ও একজিমা শীতে ব্রণ ও একজিমার ঝুঁকি বেড়ে যায়। আর্দ্রতা ও পরিবর্তিত আবহাওয়া ত্বকে চুলকানি, লালচে ভাব, ব্রণ ও একজিমা সৃষ্টি করতে পারে। সঠিক চিকিত্সা ও ত্বকের যত্ন নিলে অনেক সময় এগুলো সেরে যায়। তবে বেশি সমস্যা হলে অবশ্যই ত্বক বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে পারেন। সূত্র: বোল্ডস্কাই

কোটা আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসা দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের ৮ সদস্যের দল
যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসা আট সদস্যের একটি দল জুলাই আন্দোলনে আহত ছাত্র-জনতার চিকিৎসা দিচ্ছে। বুধবার (২৯ জানুয়ারি) স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো সংবাদ বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়। বিবৃতিতে বলা হয়, ‘জুলাই আন্দোলনে আহত ছাত্র-জনতার চিকিৎসায় যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসা আট সদস্যের একটি দল মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) থেকে জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (নিটোর) চিকিৎসাসেবা দিয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে নিটোরে ভর্তিকৃত ৯৬ জন আহতের তারা চিকিৎসা দিচ্ছেন।’ নিটোরের পরিচালক ডাক্তার আবুল কেনান বলেন, ‘আহতরা বিদেশি চিকিৎসকদের সেবা পেয়ে আনন্দিত। এছাড়া, তিনজন চিকিৎসক ও তিনজন ফিজিওথেরাপিস্ট এ বিশেষজ্ঞ টিমকে সহায়তা করছেন। আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষজ্ঞ দল নিটোরে চিকিৎসাসেবা দেওয়ার কথা রয়েছে।’

এমবিবিএস ভর্তি: প্রমাণ দেখাতে আসেননি মুক্তিযোদ্ধা কোটার ৪৯ শিক্ষার্থী
২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস ভর্তিপরীক্ষার ৬০ হাজার ৯৫ জন উত্তীর্ণের ১৯৩ জন মুক্তিযোদ্ধা কোটার। এরমধ্যে কোটার পক্ষে প্রমাণ নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডাকে সাড়া দেননি ৪৯ শিক্ষার্থী। ধারণা করা হচ্ছে, এদের যৌক্তিক প্রমাণ নেই। বুধবার (২৯ জানুয়ারি) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডাক্তার রুবীনা ইয়াসমিন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘২৭, ২৮ ও ২৯ জানুয়ারি মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধার (বীরাঙ্গনা) সন্তান কোটায় আবেদনকারীদের প্রমাণসহ উপস্থিত হতে বলা হয়। ৪৯ জন এতে উপস্থিত হননি। এদের আগামী ২ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০টায় উপস্থিত হতে বলা হয়েছে। অন্যথায় তারা কোটার দাবিদার নন বলে গণ্য হবেন।’ এবারের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় মোট আবেদন করেন এক লাখ ৩৫ হাজার ৬৬৫ জন। এর মধ্যে এক লাখ ৩১ হাজার ৭২৯ জন পরীক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেন। গত রোববার (১৯ জানুয়ারি) ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর। এতে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ৬৮৬ জনের মধ্যে পাস করেন ১৯৩ জন। তাদের জন্য বরাদ্দ আসন ৫ শতাংশ বা ২৬৯টি। পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর ৯৪৬ জনের মধ্যে ২৮২ জন পাস করেছেন। তাদের জন্য ৩১টি আসন বরাদ্দ। সমতলের উপজাতি ২৫৫ জনের মধ্যে ৬৬ জন পাস করেছেন। তাদের জন্য আটটি আসন বরাদ্দ। গত ২১ জুলাই সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ রায় দেন, সরকারি চাকরিতে সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা থাকবে। ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর জন্য এক শতাংশ এবং শারীরিক প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের জন্য এক শতাংশ কোটা থাকবে। এরই ধারাবাহিকতায় ২৩ জুলাই প্রজ্ঞাপন জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। গত ২১ নভেম্বর বাংলাদেশ মেডিকেল এবং ডেন্টাল কাউন্সিল (বিএমডিসি) ২০২৫ সালের মেডিকেল কলেজে ভর্তির নীতিমালা প্রকাশ করে। এর ৯.১.১ ধারায় বলা হয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের গত বছরের ২৩ জুলাইয়ের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, ভর্তি পরীক্ষায় ৫ শতাংশ আসন মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনার সন্তানদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে।

ডেঙ্গুতে আরও একজনের মৃত্যু
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মশাবাহিত এ রোগে ১০ জনের মৃত্যু হলো। মারা যাওয়া ওই ব্যক্তি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় চিকিৎসাধীন ছিলেন। সোমবার ( ২৭ জানুয়ারি) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। এর আগে গত বুধবার (২২ জানুয়ারি) ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যুর তথ্য দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৩৪ জন। তাতে এ বছর হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১০৮৮ জনে। সোমবার সকাল পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় নতুন ভর্তি রোগীদের মধ্যে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকায় আট জন, ঢাকা বিভাগে নয় জন, ময়মনসিংহ বিভাগে দুই জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ছয় জন, খুলনা বিভাগে দুই জন, রাজশাহী বিভাগে চার জন ও বরিশাল বিভাগে তিন জন রোগী ভর্তি হয়েছেন। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ১৬২ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি ৮৫ জন, ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে রয়েছেন ৭৭ জন।

চিকিৎসার জন্য ভারতের বিকল্প হতে পারে চীন: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছেন, ‘ভারত ভিসা কম দেওয়ায় চিকিৎসা ক্ষেত্রে বাংলাদেশিদের জন্য বিকল্প দেশ হতে পারে চীন।’ রোববার (২৬ জানুয়ারি) চীন সফর শেষে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন তিনি। সংবাদ ব্রিফিংয়ে তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘চিকিৎসা ক্ষেত্রে বাংলাদেশিদের জন্য বিকল্প হতে পারে চীনের কুনমিং। সেখানে চিকিৎসা খরচ ও যাতায়াত খরচ তুলনামূলক কম। এ জন্য ভিসা ফি কমানোর কথা বলা হয়েছে চীনকে।’ এত দিন চিকিৎসার জন্য বাংলাদেশিদের সহজ গন্তব্য ছিল ভারত। তবে গত বছরের ৫ আগস্টের পর ভারতের পক্ষ থেকে তাদের দেশে বাংলাদেশিদের যাতায়াত সীমিত করা হয়েছে। চিকিৎসার জন্য অসুস্থ হয়েও ভিসা জটিলতার কারণে ভারত যেতে পারছেন না বাংলাদেশিরা। যদিও বৃহৎ অর্থনৈতিক মুনাফা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে ভারতীয়রা। গত কয়েক দিনের চীন সফর শেষে তাইতো পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বাংলাদেশের মানুষদের চিকিৎসার জন্য চীনে যাবার বিষয়ে ইঙ্গিত করলেন। তিনি বলেন, ‘বড় যে হাসপাতালটি করে দিতে চায় চীন, তার স্থান নির্বাচন নিয়ে আলোচনা চলছে। আমরা বলেছি, আমাদের হাতে পূর্বাচলে সুন্দর জায়গা রয়েছে। সেখানে আমরা জায়গা দেয়ার কথা তাদের বলেছি।’ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন,‘ চীনের সঙ্গে আলোচনায় ঋণের সুদ হার কমানো এবং পরিশোধের সময়সীমা বাড়ানোর বিষয়ে তাদের ইতিবাচক মনোভাব দেখা গেছে। তারা বিষয়টি দেখবে বলে আশ্বাস দিয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘ব্রহ্মপুত্র নদের বিষয়ে চীনের সঙ্গে একটি সমঝোতা সই হয়েছে। তবে, তিস্তার বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়নি।’

শাহবাগ সড়ক অবরোধ করে ম্যাটস শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
চার দাবি নিয়ে ঢাকার শাহবাগ মোড়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেইনিং স্কুলের (ম্যাটস) শিক্ষার্থীরা। বুধবার (২২ জানুয়ারি) দুপুর ১টার দিকে ‘সাধারণ ম্যাটস শিক্ষার্থী ঐক্য পরিষদ’র ব্যানারে সেখানে অবস্থান নেন তারা। এর আগে কারওয়ানবাজার থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে শাহবাগে পৌঁছান শিক্ষার্থীরা। আর তাদের অবরোধের কারণে শাহবাগ মোড়ের চারদিকেই যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ম্যাটস শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হচ্ছে- ১০ম গ্রেডে শূন্যপদে নিয়োগ, কর্মসংস্থান ও সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে নতুন পদ সৃষ্টি, কোর্স কারিকুলাম সংশোধন ও ইন্টার্নশিপ ভাতা প্রদান, প্রস্তাবিত এলাইড হেলথ প্রফেশনাল বোর্ড বাতিল করে স্বতন্ত্র মেডিকেল এডুকেশন বোর্ড এবং আন্তর্জাতিক মানদণ্ড ও বিএমঅ্যান্ডডিসি স্বীকৃত ক্লিনিক্যাল বিষয়ে উচ্চশিক্ষার সুযোগ তৈরি করা। বিক্ষোভে অংশ নেয়া শিক্ষার্থীরা বলছেন, ‘দীর্ঘ তিন মাস একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধ রেখে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন চালিয়ে গেলেও তাদের দাবিগুলো পূরণ করা হয়নি। এ কারণে সড়কে নেমে আন্দোলন করছেন তারা।’ এ ব্যাপারে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ খালিদ মনসুর বলেন, ‘আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে, তাদের বুঝিয়ে সরানোর চেষ্টা চলছে।’

মেডিকেল ভর্তিতে থাকছে মুক্তিযোদ্ধা কোটা, যাচাই-বাছাই ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত
২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের মেডিকেল ভর্তি কার্যক্রমে ৫ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা বিদ্যমান থাকছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। তবে, এ কোটা শুধু মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনাদের সন্তানদের জন্য প্রযোজ্য হবে, তাদের নাতি-নাতনি বা অন্য কারো জন্য প্রযোজ্য হবে না। এমনকি আগামী ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত মুক্তিযোদ্ধা কোটায় উত্তীর্ণদের কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করা হবে। সোমবার (২০ জানুয়ারি) স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেনের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘মেডিকেল কলেজের ২০২৪-২৫ সালের এমবিবিএস ভর্তি কার্যক্রমে ৫ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা বিদ্যমান বিধি অনুসারে শুধু মুক্তিযোদ্ধা এবং বীরাঙ্গনাদের সন্তানদের জন্য প্রযোজ্য হবে, তাদের নাতি-নাতনি বা অন্য কারো জন্য প্রযোজ্য হবে না। এ কোটার অধীনে সংরক্ষিত ২৬৯টি আসনের মধ্যে ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ১৯৩ জন প্রার্থী পাওয়া গেছে। অবশিষ্ট ৭৬টি আসন ইতোমধ্যে মেধা তালিকা থেকে পূরণ করা হয়েছে।’ বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়েছে, ‘মুক্তিযোদ্ধা কোটায় প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত ১৯৩ জনের পিতা/মাতার মুক্তিযোদ্ধা সনদপত্র, নিজের জন্ম নিবন্ধন সনদসহ যাবতীয় প্রমাণাদি ও একাডেমিক সার্টিফিকেট নিয়ে আগামী ২৯ জানুয়ারির মধ্যে মহাখালীতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পুরাতন ভবনের দোতলায় অবস্থিত মেডিকেল এডুকেশন শাখায় উপস্থিত হয়ে যাচাই-বাছাই করাতে হবে। যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়ায় কোনো ভুল বা অসত্য তথ্য পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীর ভর্তি বাতিল হবে এবং মেধা তালিকা থেকে সেই শূন্য আসন পূরণ করা হবে।’ যাচাই-বাছাই কার্যক্রম সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত এই ১৯৩ জনের ভর্তি সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যক্রম স্থগিত থাকবে এবং অবশিষ্টদের ভর্তিসহ মেডিকেল কলেজের অন্যান্য কার্যক্রম যথারীতি চালু থাকবে বলেও জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

মেডিকেলে কোটায় উত্তীর্ণ ১৯৩ জনের ভর্তি স্থগিত
মেডিকেল কলেজ ভর্তি পরীক্ষায় কোটায় উত্তীর্ণ ১৯৩ জনের ভর্তি প্রক্রিয়া স্থগিত করা হয়েছে। সোমবার (২০ জনুয়ারি) সন্ধ্যায় এ ফলাফল স্থগিত করা হয়। স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডাক্তার নাজমুল হোসেন গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় মুক্তিযোদ্ধা কোটায় পাস করা ১৯৩ জনের যাচাই-বাছাই ২৯ জানুয়ারির মধ্যে, সে পর্যন্ত তাদের ভর্তি প্রক্রিয়া স্থগিত থাকবে।’ প্রসঙ্গত, রোববার (১৯ জানুয়ারি) ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়। গেল শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এ বছর ৩৭ টি সরকারি মেডিকেল কলেজের ৫ হাজার ৩৮০টি আসনে এবং ৬৭টি অনুমোদিত বেসরকারি মেডিকেল কলেজের ৬ হাজার ২৯৩টি আসনে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। ‘বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল’ কর্তৃক প্রণীত নীতিমালার শর্তানুযায়ী, ভর্তি পরীক্ষার প্রাপ্ত নম্বর ও এসএসি/সমমান এবং এইচএসসি/সমমান পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ থেকে প্রাপ্ত নম্বর যোগ করে অর্জিত স্কোরের ভিত্তিতে মেধা ও পছন্দক্রম অনুযায়ী ৫ হাজার ৩৭২ জন পরীক্ষার্থীদের ৩৭টি সরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তির জন্য প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত করা হয়েছে। এ বছর এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য অনলাইনে মোট ১ লাখ ৩৫ হাজার ৬৬৫টি আবেদন জমা পড়ে। তার মধ্যে ১ লাখ ৩১ হাজার ৭২৯ জন পরীক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেয়। ভর্তি পরীক্ষার পাশ নম্বর ৪০। অংশগ্রহণকারী ১ লাখ ৩১ হাজার ৭২৯ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে মোট ৬০ হাজার ৯৫ জন ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। এ বছর পাশের হার ৪৫ দশমিক ৬২ শতাংশ। এর মধ্যে ছেলে পরীক্ষার্থী ছিল ২২ হাাজর ১৫৯ জন যা উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীর ৩৬ দশমকি ৮৭ শতাংশ। উত্তীর্ণ মেয়ে পরীক্ষার্থী সংখ্যা ৩৭ হাজার ৯৩৬ জন; যা উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীর ৬৩ দশমিক ১৩ শতাংশ। ভর্তি পরীক্ষায় প্রাপ্ত সর্বোচ্চ নম্বর ৯০ দশমিক ৭৫। সরকারি মেডিকেল কলেজে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ভর্তির সময়সীমা আগামী ২-৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তির অনলাইন আবেদন গ্রহণের বিজ্ঞপ্তি আগামী ২৩ জানুয়ারি প্রকাশিত হবে।