
চীনের চাকরি ছেড়ে তরুণী চলে এলেন হিরো আলমের কাছে
চীনের চাকরি ছেড়ে দেশে চলে এসেছেন, দেশে ফিরেই শুরু করলেন হিরো আলমের সঙ্গে মিউজিক ভিডিওর কাজ। কিশোরগঞ্জের মেয়ে সাইকা সুবহা তান্নু। ২০১৯ সালে চলে যান চীনের হাংঝু শহরে, মায়ের কাছে। মা সেখানেই চাকরি করেন। এরপর তান্নুও সেখানে একটি অ্যাকোয়ারিয়াম কম্পানিতে চাকরি নেন। নিজ মনে চাকরিই করছিলেন। শোবিজ দুনিয়ার প্রতি আকর্ষণ ছিল এই তরুণীর। তাই কাজের ফাঁকে ফাঁকে ছোট ছোট ভিডিও বানাতেন। নিজেই সেসব দেখতেন। সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করতেন। মানুষজন নানা প্রতিক্রিয়া জানাতেন। সেসব তার মনে আলোড়ন তৈরি করত। দেশের কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের খেয়াল করতেন তান্নু। ইচ্ছা ছিল দেশে এসে ফিরে মিডিয়ায় কাজ করবেন। এভাবেই পরিচয় হয় আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলমের সঙ্গে। তাকে নিজের ইচ্ছার কথা বলেন। হিরো আলমের ইতিবাচক সাড়া পাওয়ায় চীন থেকে চলে আসেন ঢাকায়।দেখা করেছেন হিরো আলমের সঙ্গে। এরই মধ্যে তার সঙ্গে কাজও শুরু করেছেন। আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম বলেন, ‘এরই মধ্যে আমরা দুজন মিলে মিউজিক ভিডিও করেছি। চায়না ভাষার গানে করা মিউজিক ভিডিওতে আমি ও তান্নু মডেল হয়েছি। দর্শকরা তাড়াতাড়ি দেখতে পারবেন।’ সাইকা সুবহা তান্নু বলেন, ‘আমার আসলে শোবিজের প্রতি এক ধরনের আগ্রহ ছিল। আমি চীনের হাংঝু শহরে পরিবারের সঙ্গেই ছিলাম। সেখানেই চাকরি করতাম। হিরো আলমের সঙ্গে পরিচয় হওয়ার পর আমি দেশে আসি। এখন তাঁর সঙ্গেই কাজ করছি। আমার তো ভিসা রয়েছে। যদি দেখি আমার ইচ্ছার সেভাবে বিকাশ ঘটছে না তাহলে চলে যাবো। তবে আমার ইচ্ছা আছে, এখানে ভালো কিছু করার।’ হিরো আলম বলেন, ‘তান্নুর সঙ্গে আমি অনেকগুলো কাজ করব। তাঁর কাজের প্রতি আগ্রহ আছে। সে চীন থেকে চাকরি ছড়ে দিয়ে আমার সঙ্গে কাজ করতে আসছে, এটা অনেক বড় ব্যাপার। কাজ শুরু করলাম। দেখা যাক কী হয়।’

আইসিউতে অভিনেত্রী তানিন সুবহা, শোবিজ অঙ্গনেও উদ্বেগ
বুকে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন চিত্রনায়িকা তানিন সুবহা। সোমবার (২ জুন) হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে রাজধানীর আফতাবনগরের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হয়। সেখানে থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাসায় ফেরেন অভিনেত্রী। তবে সন্ধ্যার দিকে আবারও অসুস্থ হয়ে পড়লে তাৎক্ষণিকভাবে বনশ্রীর একটি হাসপাতালে নেওয়া হয় তানিনকে। সেখানে অবস্থার আরও অবনতি হলে ধানমন্ডির একটি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। বর্তমানে সেখানেই নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রয়েছেন এই নায়িকা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তানিন সুবহার মা তাসলিমা। তিনি জানান, সোমবার হঠাৎ অভিনেত্রীর বুকে ব্যথা শুরু হয়। এরপর বেশ কয়েকবার বমি করলে অবস্থার অবনতি হয়। হাসপাতালের চিকিৎসকদের পরামর্শে বর্তমানে তানিনকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয়েছে। বর্তমানে তার শারীরিক অবস্থা সংকটাপন্ন। এদিকে মেয়ের সুস্থতার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন তানিন সুবহার মা তাসলিমা। অভিনেত্রীর অসুস্থতার খবরে শোবিজ অঙ্গনেও উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে। প্রসঙ্গত, শোবিজাঙ্গনে তানিন সুবহার মিডিয়ায় অভিষেক ঘটে ২০১৫ সালে আজাদ কালামের পরিচালনায় ‘জমজ’ নাটকে মোশাররফ করিমের বিপরীতে। এরপর তিনি মীর সাব্বিরের ‘আলাল দুলাল’, সেলিম রেজার ‘সেয়ানা জামাই’, নাহিদ হাসানের ‘ম্যারেজ মিডিয়া ডটকম’ আরও বেশকিছু খণ্ড নাটকে অভিনয় করেছেন। তার অভিনীত সিনেমাগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘অবাস্তব ভালোবাসা’, ‘মাটির পরী’, ‘স্বপ্নের সাথী’, ‘দেমাগ’, ‘তুই আমার’ প্রভৃতি।

রুনা খানের কণ্ঠে উঠে এলো দৌলতদিয়াপল্লীর অভিজ্ঞতা
যৌনকর্মীর চরিত্রে অভিনয় করে বেশ প্রশংসিত হয়েছেন চিত্রনায়িকা রুনা খান। ‘নীলপদ্ম’-তে একজন দৌলতদিয়ার যৌনকর্মী হিসেবে অভিনয় করেন অভিনেত্রী। ছবিটি এবারের ঢাকা চলচ্চিত্র উৎসবের ২৩তম আসরে ‘বাংলাদেশ প্যানারোমা’ জায়গা পেয়েছে। সম্প্রতি ওটিটি প্ল্যাটফরম আইস্ক্রিনের ঈদ উপলক্ষে আয়োজিত একটি সংবাদ সম্মেলনে হাজির ছিলেন রুনা খান। সেখানেই দৌলতদিয়ার অভিজ্ঞতার কথা জানালেন এই অভিনেত্রী। রুনা খান বলেন, ‘প্রায় ২০ বছর ধরে কাজ করছি। কখনো দৌলতদিয়া যাওয়া হয়নি কাজের সুবাদে। এই প্রথম যাওয়া হলো। ওখানে যারা বসবাস করে, সেখানকার মেয়েদের এতো গল্প, এতো জীবনের গল্প, এতো ভিন্ন ভিন্ন জীবনের গল্প যে একটা জায়গায় গিয়ে ওদের গল্প মিলে যায়, সেটা হলো ওরা সবাই ওই পল্লীর অধিবাসী। এছাড়া বাকী পূর্বের গল্পগুলো আলাদা আলাদা। একেকটা জীবনের একেকটা কাহিনী।’ রুনা খান আরো জানান, ‘যে কয়টা দিন আমরা ওখানে শুটিং করেছি, সেই কটা দিন আমাকে আমাদের টিমকে কাজে যে পরিমাণ সহায়তা করেছে। যে পরিমাণ আন্তরিকতা আমাদের দেখিয়েছে সেটা আসলে মনে রাখার মতো।’
.png)
আন্তর্জাতিক ফ্যাশন শোতে প্রকৃতি সুরক্ষার বার্তা দিলেন রিফাত
আন্তর্জাতিক ফ্যাশন অঙ্গনে নিজের স্থান শক্ত করতে বদ্ধ পরিকর বাংলাদেশের তরুণ মডেল ইমাম মাহমুদ রিফাত। বিভিন্ন ইন্টারন্যাশনাল পেজেন্টে অংশ নেয়া রিফাত বর্তমানে ফিলিপাইনে অবস্থান করছেন। সেখানে একটি আন্তর্জাতিক ফ্যাশন শো এবং ফটোশুটে অংশগ্রহণের জন্য গিয়েছেন। বেশকিছু আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ফ্যাশন ডিজাইনারের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা হচ্ছে তার। কেবল মডেলিং নয়, রিফাত এবার কাজ করছেন একটি মহৎ উদ্যোগের সঙ্গেও। জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা ও প্রকৃতি সুরক্ষার বার্তা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে এই আন্তর্জাতিক ফ্যাশন প্রজেক্টের মাধ্যমে তিনি পরিবেশবান্ধব পোশাক, সচেতনতা বৃদ্ধিমূলক বার্তা এবং প্রকৃতি-বান্ধব জীবনের পক্ষে কথা বলছেন। রিফাত বলেন, ‘আমি মনে করি, একজন মডেল হিসেবে আমার কেবল ফ্যাশনকে তুলে ধরা নয়, বরং সমাজ ও পৃথিবীর প্রতিও দায়িত্ব রয়েছে। তাই আমি এই আন্তর্জাতিক মঞ্চে জলবায়ু পরিবর্তন ও প্রকৃতির সুরক্ষার বার্তা ছড়িয়ে দিতে চেয়েছি।’ তিনি আরও জানান, ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রিতে পরিবেশবান্ধব পদক্ষেপ নেওয়ার সময় এখনই। ডিজাইনারদের সঙ্গেও তিনি পরিবেশবান্ধব কালেকশন নিয়ে কাজ করছেন, যাতে করে ফ্যাশন ও টেকসই ভবিষ্যৎ একসাথে চলতে পারে। বাংলাদেশি মডেলিং জগতে রিফাতের এই আন্তর্জাতিক পদচারনা নতুন প্রজন্মের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হতে পারে। আগামী দিনে তাকে আরও বড় মঞ্চে দেখার অপেক্ষায় তার ভক্তরা। এর আগে রিফাত মুম্বাই ফ্যাশন উইক, আমেরিকান ব্র্যান্ড Skyforest-এর মডেল হওয়া মিস্টার ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের হয়ে অংশগ্রহণ কওে খ্যাতি অর্জন করেছেন। এবার তার এই নতুন দায়িত্বশীল ভূমিকা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি আরও উজ্জ্বল করেছে বলে মনে করেন তিনি।

চুনসহ ৩০টি পান খেয়ে বিপাকে পড়েছিলেন পূজা!
এবার ঈদুল আজহায় মুক্তি পাবে পূজা চেরী অভিনীত ‘টগর’ সিনেমা। আলোক হাসান পরিচালিত এ সিনেমায় তার সঙ্গে জুটি হিসেবে দেখা যাবে আদর আজাদকে। সিনেমাটিতে পূজার চরিত্রের নাম জয়িতা, যা অভিনেত্রীর বাস্তবে ডাক নাম। শৈশবে সবাই তাকে জয়িতা বলেই ডাকত। অভিনেত্রীর ভাষ্যে, নামটা আমার মা রেখেছিলেন। ক্লাস ফাইভ পর্যন্ত নাম ছিল, জয়িতা রায় পূজা। পরে বাবা নামটা পূজা চেরী রয় করে দেন। তবে বেশির ভাগই পূজা নামে ডাকে, এ ছাড়া পরিবারের ঘনিষ্ঠজনেরা জয়িতা নামে ডাকে।চরিত্রটি প্রসঙ্গে পূজা বললেন, সিনেমার গল্পটি আমার পছন্দের। সেখানে আমার চরিত্রটি একদমই আলাদা। দর্শক হয়তো এটুকু বুঝতে পারবে, মেয়েটি বঞ্চিত হয়, লাঞ্ছিত হয়, কিন্তু মুখ বুজে সহ্য করে না, প্রতিবাদী একটি মেয়ে; এসব সত্ত্বেও আসল রহস্য দর্শক সিনেমা হলে গিয়েই দেখুক। চরিত্রটির জন্য পান খাওয়াও শিখেছেন পূজা। তিনি বলেন, সিনেমার প্রয়োজনে আমার আলাদা কথা বলার ধরন, আলাদা বডি ল্যাঙ্গুয়েজ, মেয়েটি নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের। সেগুলো মাথায় রেখে একসময় মনে হয়, আমার চরিত্রটি পান খেতে পারে। পুরো গল্পে মুখে পান থাকবে, ঠোঁট লাল হয়ে থাকবে—এমনটা দর্শক দেখবেন। পরিচালকের সঙ্গে পরামর্শ করে এটা আমিই যুক্ত করেছি চরিত্রে। সব সময় ডজন ডজন পান এনে রাখা হতো।প্রথম দিকে পান খেতে পারছিলাম না, পিক ফেলতে পারছিলাম না। এগুলো শিখতে হয়েছে। পান খেয়ে ওই সময়ে আমি আর কিছুই খেতে পারিনি। পুরো মুখের অবস্থা খুবই খারাপ হয়ে গিয়েছিল। একদিন চুনসহ ৩০টি পান খেতে হয়েছে। এখন পান খেতে আর ভয় পাই না।

টিকটক চেনেন না গায়িকা কিন্তু ভাইরাল তাঁর গান
হুটহাট পুরোনো গানগুলো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যাচ্ছে এখন। প্রায় ত্রিশ বছর আগে গাওয়া ওড়িয়া ভাষার গান ‘ছি ছি ছি রে ননি ছি’ ভাইরাল হয়েছিল কয়েক মাস আগে। আর সম্প্রতি প্রায় সব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফর্মে ভাইরাল হয়েছে ‘প্রিটি লিটিল বেবি’ গানটি। জানলে অবাক হতে হয় যে ‘প্রিটি লিটিল বেবি’ নামের এই গান গাওয়া হয়েছিল প্রায় ৬৩ বছর আগে, ১৯৬২ সালে। এটি ষাটের দশকের দারুণ জনপ্রিয় একটি রোমান্টিক গান। গেয়েছিলেন পপ কিংবদন্তি কনি ফ্রান্সিস। এখন তাঁর বয়স ৮৭ বছর। সম্প্রতি তাঁর এক বন্ধু তাঁকে গানটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে ট্রেন্ডি হয়ে ওঠার সংবাদ জানিয়েছেন। এটি শুনে তিনি বেশ অবাক হয়েছেন। ফ্লোরিডার পার্কল্যান্ডে নিজ বাড়িতে এখন বসবাস করছেন কনি ফ্রান্সিস। আমেরিকান সংগীত ও বিনোদন ম্যাগাজিন ‘বিলবোর্ড’ এ বিষয়ে কথা বলতে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল। কনি প্রথমে নিজের গাওয়া গানটি রেকর্ড করার কথা মনে করতে পারেননি। পরে তিনি শুনে নিশ্চিত হন যে গানটি তিনিই গেয়েছিলেন। সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘চেনার জন্য গানটি আবার শুনতে বাধ্য হয়েছিলাম’। কাইলি জেনার এবং কিম কার্দাশিয়ান থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ শিশু, পাখি কিংবা বিড়ালছানার ছবি ও ভিডিওর ব্যাকগ্রাউন্ডে এই গানের প্রথম লাইন ‘ইউ ক্যান আস্ক দ্য ফ্লাওয়ারস’ যুক্ত করে দিচ্ছেন। এভাবেই গানটি প্রায় ১৫ মিলিয়ন টিকটক ভিডিওতে ব্যবহৃত হয়েছে। গানটি স্পটিফাইতে ২০ মিলিয়নের বেশি বার স্ট্রিম করা হয়েছে। এই তথ্য কনিকে জানানো হলে তিনি প্রশ্ন করেন, ‘টিকটক কী?’ কনি ফ্রান্সিস ছিলেন ষাটের দশকের অন্যতম জনপ্রিয় পপগায়িকা। তাঁর পুরো নাম কনচেটা রোজমেরি ফ্রাঙ্কোনেরো। তিনি প্রথম নারী হিসেবে বিলবোর্ড হট ১০০-এর শীর্ষে উঠেছিলেন। তাঁর গানগুলো বিভিন্ন ভাষায় রেকর্ড করা হয়েছে এবং তিনি ১৫টি টপ ১০ হিট অর্জন করেছেন। ‘প্রিটি লিটিল বেবি’ গানটি তাঁর অ্যালবাম ‘কনি ফ্রান্সিস সংস সেকেন্ড হ্যান্ড লাভ অ্যান্ড আদার হিটস’ এ অন্তর্ভুক্ত ছিল। গানটি যৌথভাবে সুর করেছিলেন ডন স্টার্লিং ও বিল নাউম্যান এবং প্রযোজনা করেছিলেন জিম ভিনিউ ও নোরো উইলসন। কনি ২০১৭ সালে তাঁর আত্মজীবনী ‘অ্যামং মাই সার্ভেন্স: দ্য রিয়্যাল স্টোরি ভলিউম–১’ এ লেখেন, ১৯৬১ সালের আগস্টে মাত্র চার দিনে ৪০টি গান রেকর্ড করেন তিনি। সেগুলোর মধ্যে একটি ছিল এই ‘প্রিটি লিটল বেবি’। পঞ্চাশের দশক থেকে নব্বইয়ের দশক পর্যন্ত ছিল সংগীত জগতে কনির আধিপত্য। জনপ্রিয়তার সিঁড়ি বেয়ে প্রিটি লিটিল বেবি ২০২৪ সালের ১০ এপ্রিল। ‘প্রিটি লিটল বেবি’ গানটি যুক্তরাষ্ট্রে সাপ্তাহিক মাত্র ১৭ হাজার বার স্ট্রিম হয়। এক মাসের মধ্যে সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ২৪ লাখে। গানটি টিকটকে ১০ বিলিয়ন ভিউ পায়। সে জন্য অ্যাপটির ভাইরাল ও টপ ৫০ এর তালিকার শীর্ষে উঠে আসে। এরপর গানটি সাধারণ স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মেও জনপ্রিয়তা পায়। সেটি বিশ্বব্যাপী ১ দশমিক ৪ কোটি বার শোনা হয়। ফলে গানটি স্পটিফাইয়ের গ্লোবাল টপ ১০০ এর তালিকায় ৬৭ নম্বরে উঠে আসে। এই সাফল্যের পর কনির রেকর্ড কোম্পানি রিপাবলিক/ইউএমই গানটি সুইডিশ, জাপানিজ এবং অন্যান্য ভাষার সংস্করণগুলো আবার প্রকাশ করে। কনি ফ্রান্সিসের গাওয়া আরেকটি বিখ্যাত গান ‘হুজ সরি নাউ’। গানটি তাঁকে আন্তর্জাতিক খ্যাতি এনে দেয়। অথচ সেই গান তাঁর বাবা জোর করে রেকর্ড করান। ‘বিলবোর্ড’কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, তিনি সেই রেকর্ডিং সেশনে আগে তিনটি অন্য গান রেকর্ড করেছিলেন এই ভেবে যে নির্ধারিত চার ঘণ্টার মধ্যে যেন হুজ সরি নাউ গানটি রেকর্ড করার সময় না থাকে। বাবার অনুরোধে শেষ পর্যন্ত গানটি তিনি করেন। এর আগে প্রায় সব গানের রেকর্ডিংয়েই কনি কাউকে না কাউকে অনুকরণ করতেন। ১৪ বছর বয়স থেকেই তিনি ডেমো রেকর্ড করতেন। তখন প্রকাশকেরা তাঁকে প্যাটি পেইজ, কাই স্টার কিংবা টেরেসা ব্রুয়ারের মতো করে গাইতে বলতেন। কিন্তু কনি জানান, সেই প্রথমবার ‘হুজ সরি নাউ’ গানটি গাওয়ার সময় তিনি কাউকে অনুকরণ করেননি। গেয়েছিলেন একেবারে নিজের মতো করে। ‘বিলবোর্ড’কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কনি জানান, তিনি আজও মঞ্চকে মিস করেন। তিনি কি আবারও মঞ্চে ফিরে যেতে চান, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সেই দিনগুলো শেষ হয়ে গেছে। সেই জাহাজটা চলে গেছে।’ কনি তাঁর গানটি শোনার জন্য নতুন শ্রোতাদের ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, ‘বিষয়টি আমার জীবনে একটি নতুন শিক্ষা দিয়েছে।’ কনি ফ্রান্সিস কিছু চলচ্চিত্রেও অভিনয় করেছেন। তাঁর ব্যক্তিগত জীবন ছিল সংগ্রামময় ও ট্র্যাজিক। ১৯৭৪ সালে তিনি ধর্ষণের শিকার হন, যা তাঁর মানসিক ও ক্যারিয়ারে গভীর প্রভাব ফেলে। মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যার কারণে তিনি দীর্ঘদিন চিকিৎসাধীন ছিলেন। তাঁর ভাইকে হত্যার ঘটনার পর তিনি আরও ভেঙে পড়েন। সূত্র: বিলবোর্ড

বিচ্ছেদের সুর, গত বছর থেকেই আলাদা থাকছেন যশ-নুসরাত
নানা কারণেই খবরের শিরোনামে থাকেন টলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী, প্রাক্তন সাংসদ নুসরাত জাহান ও তার স্বামী অভিনেতা যশ দাশগুপ্ত। ব্যক্তিগত জীবন থেকে রাজনীতি, বিগত কয়েক বছরে বারবারই চর্চায় এসেছেন এই জুটি। গত কয়েকদিন ধরে ফের আলোচনায় তারকা দম্পতি। শোনা যাচ্ছে, দুজনের পথচলা নাকি আলাদা হয়ে গেছে। বিচ্ছেদের পথে হাঁটছেন অভিনেতা-অভিনেত্রী। জল্পনার শুরু ইনস্টাগ্রামে যশের এক পোস্ট থেকে। ইনস্টাগ্রামে একটি স্টোরি দিয়েছেন যশ। তিনি লেখেন ‘তোমার পাশে একমাত্র তুমিই থাকো।’ এই লেখা অনেক কিছু ইঙ্গিত দেয়। কিন্তু আলোচনা আরও বেশি দানা বেঁধেছে নুসরাতের ইনস্টাগ্রামের প্রোফাইল দেখার পরে। ইনস্টাগ্রাম ঘেটে দেখা যায়, অভিনেতা-অভিনেত্রী পরস্পরকে ‘আনফলো’ করেছেন ইনস্টাগ্রাম থেকে। তার পর থেকেই তাদের বিচ্ছেদের জল্পনা তুঙ্গে। এ দিনই নুসরাত তার ইনস্টাগ্রামে ছেলে ঈশানের ছবি পোস্ট করেছেন। আর যশ পোস্ট করেন তার বড় ছেলের ছবি। যা উস্কে দিয়েছে যশ-নুসরাতের বিচ্ছেদের জল্পনা। যদিও অনেকে মনে করছেন, এটা তাদের কোনও ‘পাবলিসিটি স্টান্ট’। তবে তেমনটাও নাকি নয়। টলিপাড়ার নতুন চর্চা, গত ডিসেম্বর থেকেই নাকি এক ছাদের নিচে থাকছেন না এই জুটি। শুধুমাত্র কাজের জন্য একসঙ্গে সময় কাটাচ্ছিলেন, বাকি সময় নাকি আলাদা আলাদাই থাকছেন তারা। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যশের প্রাক্তনকে কেন্দ্র করেই নাকি সব অশান্তির সূত্রপাত। যশ যখন মুম্বাই ছিলেন, সেসময়ই নাকি তার পিছনে গুপ্তচরও লাগিয়েছিলেন নুসরাত। আর সেখান থেকেই সব সন্দেহের শুরু। এরপর একসঙ্গে থাকার জন্য নুসরাত নাকি তাকে বেশ কিছু শর্ত দিয়েছেন। যদিও যশ সেসব মানতে রাজি হননি। এরপরই আলাদা হয়ে গেছেন দু’জন। থাকছেন না এক ছাদের নিচে। এদিকে, ডিসেম্বর মাসেই নাকি যশ তার পুরোনো আবাসনে ফিরে গেছেন। অন্যদিকে নুসরাত থাকছেন তার পাম আভিনিউয়ের বাড়িতে। সম্প্রতি, আগের সংসারের বড় ছেলেকে নিয়ে থাইল্যান্ডে ঘুরতে গেছেন যশ। অন্যদিকে নুসরাত গিয়েছিলেন উত্তরবঙ্গে। সঙ্গে ছিল ছেলে ঈশান ও পরিবার। প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ১৯ জুন ব্যবসায়ী নিখিল জৈনর সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছিলেন নুসরাত জাহান। তুরস্কে বসেছিল তাদের বিয়ের রাজকীয় অনুষ্ঠান। কলকাতায় এসেও হয় গ্র্যান্ড রিসেপশন পার্টি। এরপর ২০২০-র শেষ দিকে নিখিলের সঙ্গে দূরত্ব-বিচ্ছেদ হয়ে, যশ দাশগুপ্তকে বিয়ে করেন তিনি। ২০২১ সালে তিনি জন্ম দেন পুত্র সন্তানের। যশ-নুসরাতের সম্পর্ক, জুটির সন্তান ঈশানের জন্ম নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় ওঠে সেসময়। এর আগেও বহুবার সম্পর্কে জড়িয়ে ছিলেন নুসরাত।

ভবিষ্যতে কার কাছে থাকতে চান বুবলী?
ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা শবনম বুবলী। তিনি ‘বসগিরি’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে দর্শকদের মনে জায়গা করে নিয়েছেন, এবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজের ভবিষ্যতের পরিকল্পনার কথা ভক্তদের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, ভবিষ্যতে প্রকৃতির খুব কাছে থাকতে চান এবং পুরোদমে কৃষিকাজে মনোনিবেশ করবেন। সম্প্রতি নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একাধিক ছবি পোস্ট করে বুবলী এই ইচ্ছার কথা জানান। ছবিগুলোতে তাকে কাঁঠাল গাছের পাশে বাগান পরিচর্যায় ব্যস্ত এবং জমিতে নিড়ানি দিতে দেখা গেছে। প্রকৃতির সবুজ পরিবেশে তার এই নতুন অবতার ভক্তদের নজর কেড়েছে। ছবিগুলোর ক্যাপশনে বুবলী লিখেছেন, ‘ভবিষ্যতে পুরো দমে কৃষি কাজ করবো, ফুল, ফল, শাক সবজি চাষ করবো, হাঁস মুরগি, গরু ছাগল পালবো। কারণ প্রকৃতি একটু বেশীই সুন্দর, তাই প্রকৃতির খুব কাছে থাকতে চাই।’ বুবলীর এই ভিন্নধর্মী পরিকল্পনার প্রশংসা করেছেন তার ভক্তরা। কমেন্ট বক্সে একজন নেটিজেন লিখেছেন, ‘মাশাআল্লাহ অনেক অনেক দোয়া রইলো এতো সুন্দর পরিকল্পনার জন্য।’ আরেকজন মন্তব্য করেছেন, ‘অসাধারণ চিন্তাভাবনার সাথে সুন্দর ব্যক্তিত্বের কোমলতা ফুটে উঠেছে।’ অভিনয়ের পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও বুবলী বেশ সক্রিয়। প্রায়শই তিনি তার ব্যক্তিগত জীবন ও ভাবনা ভক্তদের সঙ্গে ভাগ করে নেন। তার এই নতুন পরিকল্পনা নিঃসন্দেহে তাকে আরও বেশি মাটির কাছাকাছি নিয়ে যাবে বলে মনে করছেন ভক্তরা।

নিরপরাধ শিল্পীকে ধরে নিয়ে যাওয়া রীতিমতো অন্যায়: আবুল হায়াত
‘কোনো শিল্পী যদি অপরাধ করে থাকে, সেটা তদন্ত হবে, বিচার হবে; কিন্তু অপরাধ যদি না থাকে, তাহলে তাকে নিয়ে যাওয়া ন্যক্কারজনক, এটা রীতিমতো অন্যায়। কারণ, যদিও এটা পুরোনো কথা, রাজনীতি করার অধিকার সবার আছে। কে কতটা করছেন, এ কারণে দেশের ক্ষতি হচ্ছে কি না, সংগঠনের ক্ষতি হচ্ছে কি না, এগুলো খতিয়ে দেখার ব্যাপার আমাদের সংগঠনেরও আছে, সরকারেরও দরকার। এই সব ব্যপারগুলো এখন ওপরে আসছে, সংগঠনকে এ বিষয়গুলো দেখতে হবে।’ শনিবার (৩১ মে) রাজধানীর পার্বত্য চট্টগ্রাম কমপ্লেক্সে অনুষ্ঠিত অভিনয়শিল্পী সংঘের অভিষেক অনুষ্ঠানে কথাগুলো বলেন প্রবীণ অভিনেতা আবুল হায়াত। তিনি বলেন, ‘আইনি সমস্যা ইদানীং খুব প্রয়োজনীয় হয়ে পড়ে আমরা দেখছি। আইনি বিষয়ে আমাদের আরও শক্ত হতে হবে। কথা নেই বার্তা নেই, শিল্পীদের হাতকড়া পরিয়ে নিয়ে যায়, এক হাজার জনের মধ্যে সে নাকি আসামি, মানুষ খুন করেছে। তাকে সঙ্গে সঙ্গে নিয়ে জেলখানায় ধরে রিমান্ডে দিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এ জিনিসগুলো নিয়েও আমাদের লিগ্যাল কমিটির কাজ করতে হবে, অনেক করণীয় আছে।” আবুল হায়াত বলেন, “এই বয়সে এসে আমার গুরুদের স্মরণ করি, সৈয়দ হাসান ইমাম, গোলাম মোস্তফা, সিরাজুল ইসলাম, মাসুদ আলী খান, আবুল খায়ের- এ লোকগুলোকে প্রতিদিন স্মরণ করি। কারণ, তাদের সঙ্গে আড্ডা দিয়েছি, আড্ডা দিয়ে শিখেছি। একটা দৃশ্য করার আগে খায়ের বা মোস্তফা ভাই বা হাসান ইমাম ভাই বলতেন, ‘এই তুমি এই পাঠ করছ? আমার কাছে আসো, রিহার্সাল দাও’’। এখনকার কাউকে বলতে পারব? আমার তো ভয় করে কাউকে বলতে, কী জানি বলে ফেলে। আবার অপমানিত হতে পারি।” নতুন অভিনয়শিল্পীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা যারা নতুন আছেন, তাদের উদ্দেশে বলছি, আপনাদের ভেতর জানার আগ্রহ দরকার। যদি মনে করেন, সব জেনে এসেছেন এখানে, তাহলে সেটা ভুল ধারণা। সিনিয়রদের সঙ্গে যোগাযোগের প্রয়োজন আছে। সিনিয়ররা যখন মেকাপরুমে থাকেন, তখন তাঁদের সঙ্গে কী ধরনের ব্যবহার করা উচিত, কোন ধরনের কথাবার্তা বলা উচিত। সারাক্ষণ আড্ডা দিতে পারেন, আড্ডা দেন, তা থেকেও শিখতে পারেন।’ এদিন অগ্রজ-অনুজ শিল্পী ও তাদের পরিবারের উপস্থিতিতে এক মিলনমেলায় রূপ নেয় রাজধানীর পার্বত্য চট্টগ্রাম কমপ্লেক্সে। সাবেক ও বর্তমান কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ছাড়াও অগ্রজ শিল্পীরা এতে বক্তব্য দেন।

শ্রীলীলার গায়েহলুদ, পাত্র কি কার্তিক আরিয়ান?
বলিউডের হার্টথ্রব কার্তিক আরিয়ান ও দক্ষিণী সুন্দরী শ্রীলীলাকে ঘিরে প্রেমের গুঞ্জন অনেক দিনের। দুজনের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা নিয়ে বলিপাড়ায় বহু কানাঘুষো চললেও এবার যেন গুঞ্জনের আগুনে ঘি ঢালল একটি ছবি, যা দেখে নেটিজেনদের চোখ কপালে! সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে শ্রীলীলার ‘গায়েহলুদের’ দৃশ্য! হলুদ মাখানো হচ্ছে তাকে, চারপাশে সাজসজ্জা, কপালে লাল টিপ, সিঁথিতে সিঁদুর। পোশাকে দক্ষিণী ঐতিহ্য, গলায় হালকা গয়না, চুলে ফুল। পুরো দৃশ্য দেখে যেন একেবারে নববধূর সাজে ধরা দিয়েছেন শ্রীলীলা। আর সেখান থেকেই জোর গুঞ্জন, তাহলে কি সত্যিই বিয়ে করছেন তিনি? আর সেই পাত্র কি কার্তিক আরিয়ান? গুঞ্জন আরও জোরদার হয়েছে এই কারণে যে, অনুরাগ বসুর আসন্ন ছবিতে এই দুই তারকা প্রথমবার স্ক্রিন শেয়ার করছেন। ছবির শুটিং চলাকালীন তাদের ঘনিষ্ঠতা নিয়ে আগেই জল্পনা ছড়িয়েছিল। কার্তিকের পরিবারের একাধিক অনুষ্ঠানে শ্রীলীলাকে দেখা গিয়েছিল বলেও জানিয়েছেন ঘনিষ্ঠ মহলের কেউ কেউ। ফলে নেটিজেনদের প্রশ্ন ‘শুটিংয়ের বাইরে কি নতুন কোনো সম্পর্ক গড়েছে?’ তবে বিপরীত মতও রয়েছে। অনেকেই বলছেন, এসব আসলে ছবির প্রচারের কৌশল। বিয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত হুট করে নেওয়ার লোক নন কার্তিক। আবার কেউ কেউ এটিকে শ্রীলীলার জন্মদিনের আয়োজন বলেও মনে করছেন। যদিও অভিনেত্রীর জন্মদিন ১৪ জুন, আর সেই সময়ও এখনো আসেনি। আরেক প্রশ্ন উঠছে, ‘যদি এটি জন্মদিন হয়, তবে কেন সিঁথিতে সিঁদুর?’ আবার কেউ বলছেন, ‘দক্ষিণ ভারতে অবিবাহিত নারীরাও সাজসজ্জায় সিঁদুর ও কুমকুম ব্যবহার করেন।’ তবে এই ব্যাখ্যা দিয়েও ধোঁয়াশা পুরোপুরি কাটছে না। সব মিলিয়ে একটি ছবিতে পুরো বলিউডে আলোড়ন! তবে প্রেম, বিয়ে, প্রচারণা নাকি কেবলই একটা সাংস্কৃতিক আয়োজন, এসবের কোনো নিশ্চিত উত্তর মেলেনি। আর সে উত্তর দিতে পারেন শুধু কার্তিক কিংবা শ্রীলীলা।

বিটিভির ঈদ আড্ডায় আসছেন শাকিব খান
দেশের জাতীয় টেলিভিশন বিটিভির ঈদ অনুষ্ঠানে আসছেন ঢালিউড মেগাস্টার শাকিব খান। আসন্ন কোরবানির ঈদের বিশেষ আড্ডায় নানা প্রসঙ্গে আলাপচারিতায় দেখা যাবে অভিনেতাকে। পবিত্র ঈদ-উল-আজহা উপলক্ষে বিটিভিতে প্রচারিত হতে যাওয়া বিশেষ অনুষ্ঠানটির শিরোনাম ‘ঈদ আড্ডায় শাকিব খান’। এ অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেছেন অভিনেত্রী মাসুমা রহমান নাবিলা। ঈদের অনুষ্ঠানে শাকিব খানকে দেখা যাবে সাদা কালো রংয়ের পোশাকে। ব্যক্তিগত ও ক্যারিয়ার নিয়ে আলোচনায় ভক্তদের নানা তথ্য জানাবেন এ চিত্রনায়ক। পাশাপাশি কোরবানির ঈদ ও ঈদের স্মৃতি নিয়ে নাবিলার সঙ্গে আড্ডায় মাতবেন শাকিব। মাহবুবা ফেরদৌসের প্রযোজনায় বিশেষ অনুষ্ঠানটি বিটিভিতে প্রচারিত হবে ঈদের দ্বিতীয় দিন রাত ১০টায়।প্রসঙ্গত, এবারের কোরবানি ঈদে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাচ্ছে শাকিব অভিনীত ও রায়হান রাফি পরিচালিত ঈদের সিনেমা ‘তাণ্ডব’। এ সিনেমায় দীর্ঘ ৯ বছর পর শাকিব খানের সঙ্গে অভিনয় করেছেন দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান।
.png)
এবার হিরো আলমের বিরুদ্ধে মামলা ঠুকে দিলেন রিয়ামণি
আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলমের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন তার স্ত্রী রিয়ামণি। গত সোমবার পারিবারিক আদালতে দেনমোহর ও ভরণপোষণের জন্য ১২ লাখ টাকা দাবি করে এই মামলা করেন তিনি। তিনি বলেন, আমাকে হিরো আলম ডিভোর্স দিয়েছে, মিডিয়ায় এমনটা বলে বেড়াচ্ছে। কিন্তু আমি এখনও তেমন কোনো কাগজ হাতে পাইনি। আমি এখন পর্যন্ত আইনত তার স্ত্রী। সে আমার খোঁজখবর নেয় না। তাই দেনমোহর ও ভরণপোষণের জন্য আদালতে মামলা করেছি। গত ১৭ এপ্রিল দুপুরে বগুড়ার এরুলিয়া এলাকায় নিজ বাড়িতে এক সংবাদ সম্মেলনে রিয়ামণির বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তুলে ধরে তার সঙ্গে সংসার না করার ঘোষণা দেন হিরো আলম। বগুড়া থেকে ঢাকায় ফিরেই রিয়ামণিকে ডিভোর্স দেবেন বলেও জানান হিরো আলম। সেই সংবাদ সম্মেলনে হিরো আলম অভিযোগ করেন, তার মুমূর্ষু বাবাকে হাসপাতালে রেখে তিনি এক মাস ধরে লড়াই করছিলেন। কিন্তু তার স্ত্রী রিয়ামণি এক দিনও খোঁজ নিতে আসেনি। এমনকি বাবার মৃত্যুর পর মরদেহ দেখতেও আসেনি। এমন স্ত্রীর সঙ্গে সংসার করতে চান না তিনি।

আবারও কাকে খোঁচা দিলেন বুবলী?
অপু বিশ্বাস ও শবনম বুবলীর ভার্চুয়াল যুদ্ধ নতুন কিছু নয়। হুটহাট ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে আলোচনা–সমালোচনার জন্ম দেন তারা। কৌশলে কেউ কারো থেকে কম যান না। শুক্রবার দুপুরে নিজের ফেসবুকে একটি ছবি পোস্ট করেন শবনম বুবলী। সেই ছবির ক্যাপশনে অভিনেত্রী লিখেছেন, ‘যখন মানুষ তোমার কাজ নকল করতে শুরু করে, তখনই বুঝে নিও—তারা তোমার প্রতিভায় ঈর্ষান্বিত। তাই উপেক্ষা করো, আর নিজের সময়টা উপভোগ করো।’বুবলী এমন ক্যাপশনে কাকে খোঁচা দিলেন, তা যেন বুঝতে বাকি নেই নেটিজেনদের। ছবিটির জন্য প্রশংসা কুড়ালেও ক্যাপশন দেখে অনেকেই বলছেন, এটি নিশ্চয় অপু বিশ্বাসকে উদ্দেশ্যে করে লিখেছেন তিনি! কারণ, এই দুই অভিনেত্রীর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভার্চুয়াল যুদ্ধ নিয়ে অবগত নেটিজেনরাও। কিছুদিন আগে শাহরুখ খানের ছেলে আব্রাহাম খানের জন্মদিনে নিজেদের সন্তানের সঙ্গে তাদের বাবা শাকিব খানের একান্ত মুহূর্তের কিছু ছবি তুলে ফেসবুকে পোস্ট করেন অপু-বুবলী দুজনেই। দুজনেই সেই পোস্টে সন্তানের জন্য বাবার ভালোবাসা কতটা গভীর, সেটা বোঝানোর চেষ্টা করেছেন। আর সেখানেই যেন বাধে বিপত্তি। বুবলী পোস্ট দেওয়ার কিছুক্ষণ পর একইরকম পোস্ট দেন অপুও। তবে সেখানে তিনি বুবলীকে খোঁচাও দেন তার ক্যাপশনে। নেটিজেনরা সেসব নিয়েই দুইয়ে দুইয়ে চার মেলাচ্ছেন!।

নতুন দলগুলো পুরনো পথেই হাঁটছে, শুধু মুখগুলো বদলেছে: বাঁধন
অনেক দিন ধরেই পর্দায় দেখা নেই আজমেরী হক বাঁধনের। তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশ সবর তিনি। সেখানে নিজের মতামত প্রকাশ করেন। কোনো কিছুই তোয়াক্কা করেন না। এবার দেশের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেছেন বাঁধন। শুক্রবার (৩০ মে) এক পোস্টে অভিনেত্রী লিখেছেন, 'নতুন দলগুলো সেই পুরনো পথেই হাঁটছে, শুধু মুখগুলো বদলেছে।' তিনি আরও লেখেন, 'দেশের আসল পরিবর্তনের জন্য শুধু নতুন নেতা নয়, নতুন চিন্তাধারাও দরকার। যখন নতুন রাজনৈতিক দলগুলো উঠতে শুরু করল তখন অনেকেই আশা করেছিল এবার কিছু পরিবর্তন আসবে। নতুন ধরণের চিন্তা-ভাবনা আসবে। দেশের জন্য ভালো পরিকল্পনা হবে। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে, সেই আশাগুলো ধীরে ধীরে বিলীন হয়ে যাচ্ছে!' বাঁধন যোগ করেন, 'নতুন দলগুলোর অনেকেই এখন পুরনো পথেই হাঁটছে। একই কৌশল, একই ক্ষমতার খেলা। শুধু মুখগুলো বদলেছে। এটি তো আমরা চায়নি। দেশের জন্য এটার প্রয়োজন নেই। পরিবর্তন মানে শুধু এক দলকে সরিয়ে অন্য দলকে বসানো নয়। আসল পরিবর্তন তখনই আসে, যখন নতুন চিন্তা, ভালো কৌশল আর সৎ নেতৃত্ব থাকেন। এটি কোনো নির্দিষ্ট দলের প্রতি অভিযোগ নয়, এটা সবার যারাই রাজনীতিতে আছেন।' সবশেষে অভিনেত্রী লিখেছেন, 'আমরা যদি সত্যিই দেশকে এগিয়ে নিতে চাই, তাহলে আমাদের ভিন্নভাবে কাজ করতে হবে। ক্ষমতা অর্জনই যেন একমাত্র লক্ষ্য না হয়। অগ্রগতিই হোক লক্ষ্য। আর সেই অগ্রগতি আসে বিচক্ষণ ব্যক্তির সিদ্ধান্ত থেকে। আমরা যদি আবারও পুরনো পথ ধরি তাহলে পুরনো ফল পাব। আমরা ভালো কিছু চাই। আর ভালো কিছুর শুরুটা হয় নতুন চিন্তা থেকে।'

কাকে উদ্দেশ্যে করে স্ট্যাটাস দিলেন তাসনিয়া ফারিন?
জনপ্রিয় অভিনেত্রী তাসনিয়া ফারিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন, যা ইতোমধ্যেই নেটিজেনদের মধ্যে ব্যাপক আলোচনা সৃষ্টি করেছে। সোমবার (২৬ মে) নিজের অফিসিয়াল ফেসবুক প্রোফাইলে তিনি লেখেন, ‘বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করসে, ভালো কাজ করসে, কিন্তু অসম্মানিত হয় নাই — এমন একটা মানুষ দেখান তো !’ এই সংক্ষিপ্ত অথচ গভীর বার্তাটি দেশের শিল্প-সংস্কৃতি অঙ্গনে বিরাজমান এক ধরনের চিরচেনা বাস্তবতাকেই যেন সামনে এনে দাঁড় করিয়েছে। বহু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ফারিনের এই পোস্টকে ঘিরে নানা প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। অনেকেই এটিকে শিল্পী সমাজের প্রতি অবমূল্যায়ন, সমালোচনার কড়া চেহারা এবং প্রশংসার অভাবের প্রতিবাদ হিসেবে দেখছেন। এ বিষয়ে ফারিন নিজে কোনো ব্যাখ্যা দেননি, তবে তার স্ট্যাটাসটি ইঙ্গিতবহ বলেই মনে করছেন অনেক ভক্ত ও বিশ্লেষক। কেউ কেউ এটিকে সাম্প্রতিক কোনো ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার প্রতিফলন বলেও ধরে নিচ্ছেন।
.png)
ছোট ছেলেকেও বিয়ে করাচ্ছেন গায়ক আসিফ,পাত্রী ব্রাহ্মণবাড়িয়ার
বাংলা গানের যুবরাজ খ্যাত জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী আসিফ আকবর বরাবরই ছেলেমেয়েদের দ্রুত বিয়ে দেওয়া নিয়ে খোলামেলা মতামত দিয়ে থাকেন। একাধিকবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অভিভাবকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন সন্তানদের দ্রুত বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ করতে। নিজের ছেলেদের ক্ষেত্রেও সেই নীতি মেনেই চলছেন এই গায়ক। তিন বছর আগে বড় ছেলে শাফকাত আসিফ রণের বিয়ে দিয়েছিলেন আসিফ। এবার জানালেন ছোট ছেলে শাফায়াত আসিফ রুদ্রর বিয়ের খবর। যদিও তার বাগদান সম্পন্ন হয়েছে গত জানুয়ারিতেই, তা প্রকাশ্যে আনলেন মঙ্গলবার (২৭ মে) বিকালে। ফেসবুকে ছেলের দুটি ছবি শেয়ার করে আসিফ লেখেন, আমাদের ছোট ছেলে শাফায়াত আসিফ রুদ্র। একটু ভুলে যাওয়া রোগ আছে, এমনিতে ইউনিক একটা ছেলে। মুহূর্তেই মানুষের ভালোবাসা অর্জনের বিরল যোগ্যতা তার রয়েছে। নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি থেকে স্টাডি শেষ করে এখন বিজনেস করার চেষ্টায় আছে, প্রশিক্ষণ নিচ্ছে। সে ভালো একজন ফুটবলার, তবে ক্যারিয়ার সেদিকে নিয়ে যায়নি। এরপর ছেলের বিয়ের খবর জানিয়ে আসিফ লেখেন, রুদ্র ২৬ বছরে পদার্পণ করলো আজ। সেই সঙ্গে এটাই তার শেষ স্বাধীন বসন্ত, আগামী ডিসেম্বরেই সে বিয়ে করতে যাচ্ছে। বিয়েশাদির সমস্ত আয়োজন সম্পন্ন। অ্যানগেজমেন্ট হয়েছে জানুয়ারিতে, পাবলিকলি জানানোর অনুমতি ছিল না। এবারের গন্তব্য- দি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা, এর বেশি কিছু বলা যাচ্ছে না। সবশেষে ছেলের আগামী দিনের জন্য দোয়া চেয়ে আসিফ লিখেছেন, আজ রুদ্রর শুভ জন্মদিন। সবার কাছে আমার ছেলের সরল এবং সুন্দর ভবিষ্যতের জন্য দোয়া চাই। শুভ জন্মদিন বাবা, আনন্দে বাঁচো। ভালোবাসা অবিরাম...।

অপমানিত হয়ে ভারত ছাড়লেন মিস ইংল্যান্ড
সুন্দরী প্রতিযোগিতা মিস ওয়ার্ল্ডের এবারের আসরটি অনুষ্ঠিত হচ্ছে ভারতের হায়দরাবাদে। ১০ মে থেকে শুরু হওয়া এ প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্ব হওয়ার কথা ৩১ মে, শহরের হাইটেক্স এক্সিবিশন সেন্টারে। এতে যোগ দিতে ৭ মে ভারতে গিয়েছিলেন মিস ইংল্যান্ড বিজয়ী মডেল মিলা ম্যাগি। কিন্তু আয়োজক কর্তৃপক্ষের কর্মকাণ্ডে অপমানিত ও বিরক্ত হয়ে প্রতিযোগিতা থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন তিনি। মিলার অভিযোগ, সৌন্দর্য প্রতিযোগিতার আড়ালে এতে আসলে প্রতিযোগীদের শোষণ করা হয়। ১৬ মে তিনি প্রতিযোগিতা ছেড়ে ভারত থেকে নিজের দেশে ফিরে যান। মিস ওয়ার্ল্ডের ৭৪ বছরের ইতিহাসে কোনো প্রতিযোগীর সরে দাঁড়ানোর ঘটনা এবারই প্রথম ঘটল। দেশে ফিরে এ প্রতিযোগিতা থেকে সরে দাঁড়ানোর কারণ জানিয়েছেন মিলা ম্যাগি। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য সানের কাছে মুখ খুলেছেন প্রতিযোগিতার অন্ধকার দিকগুলো নিয়ে। মিস ওয়ার্ল্ডের নানা অনিয়মের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন তিনি। দ্য সানকে মিলা জানান, মিস ওয়ার্ল্ডের পাবলিসিটি ইভেন্টে যোগ দিতে ৭ মে হায়দরাবাদে যান তিনি। কিন্তু দ্রুতই বুঝতে পারেন, সেখানে তাঁদের কেবল প্রদর্শনের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চড়া মেকআপ করিয়ে, গাউন পরিয়ে বসিয়ে রাখা হতো প্রতিযোগীদের। একসময় কয়েকজন মধ্যবয়সী লোক আসেন, যাঁরা প্রতিযোগিতায় স্পনসর করেছেন। আয়োজকদের পক্ষ থেকে প্রতিযোগীদের বলা হয়, সেই লোকজনের মনোরঞ্জন করতে। মিলা ম্যাগি বলেন, ‘জোড়ায় জোড়ায় বেছে নেওয়া হয় প্রতিযোগীদের। প্রতি টেবিলে ছয়জন করে পুরুষ বসে থাকেন। তাঁদের কাছে দুজন করে প্রতিযোগীকে পাঠানো হয়, তাঁদের মনোরঞ্জন করতে বলা হয়। কারণ তাঁরা এতে টাকা দিয়েছেন। আমার কাছে সেই মুহূর্তটি খুবই অবিশ্বাস্য লাগছিল। ওই লোকগুলোর কথাবার্তায় অস্বস্তি বোধ হচ্ছিল। ওখানে নিজেকে যৌনকর্মী বলে মনে হচ্ছিল। বাঁদরকে যেভাবে নাচানো হয়, সেভাবেই আমাদের পারফর্ম করতে হচ্ছিল। আমি তো কারও মনোরঞ্জনের পাত্রী হতে যাইনি। মিস ওয়ার্ল্ডের একটা মূল্যবোধ আছে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, এই প্রতিযোগিতা এখনো সেই পুরোনো ধ্যানধারণাতেই আটকে আছে।’ মিস ওয়ার্ল্ডের এবারের আসরে পৃষ্ঠপোষকতা করছে তেলেঙ্গানা সরকার। তাই মিলা ম্যাগির এমন বিস্ফোরক অভিযোগের পর বিষয়টি নিয়ে জোর চর্চা চলছে রাজনৈতিক অঙ্গনেও। তেলেঙ্গানার একাধিক রাজনীতিবিদ অবিলম্বে এ ঘটনার তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। তেলেঙ্গানা সরকারের বিশেষ মুখ্য সচিব জয়েশ রঞ্জন সংবাদমাধ্যম পিটিআইকে জানিয়েছেন, এ ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। তবে এখনো মিলার অভিযোগের সপক্ষে কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

লাল গালিচায় ছিড়ে গেল আলিয়ার ডায়মন্ডের নেকলেস, যেভাবে সামাল দিলেন
কান চলচ্চিত্র উৎসবে আলিয়া ভাটের প্রতিটি সাজই প্রশংসিত হয়েছে। প্রথমবার আন্তর্জাতিক প্রসাধনী সংস্থার হয়ে এই আয়োজনে যোগ দিলেন কাপুর-পুত্রবধূ। তিন দিন ছিলেন সেখানে। কখনও লাখো গোলাপ পাপড়ি মেলেছে তার গাউনে। কখনও আবার কালো পোশাকে আলো ছ়ড়িয়েছে নক্ষত্রপুঞ্জ। কখনও আবার দেখা গেছে বহুমূল্য পাথর বসানো শাড়িতে শোভিত হতে। তবে শেষ দিনের বেইজ রঙের পাথর দিয়ে জালবোনা শাড়িতে যেন সকলকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন অভিনেত্রী। একটি আন্তর্জাতিক পোশাক প্রস্তুতকারক সংস্থা প্রথম বার শাড়ি তৈরি করল আলিয়ার জন্য। সেই শাড়ির সঙ্গে কানে গলায় হাতে ছিল মানানসই গয়না। আর তাতেই ঘটল বিপত্তি। কান-এর লাল গালিচায় তখন নেমেছেন আলিয়া। আলোকচিত্রীদের উদ্দেশে হাত নাড়ছেন। হাসছেন ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে। কখনও আবার দর্শকদের কাছে গিয়ে স্বাক্ষর দিচ্ছেন। প্রথমবার কান চলচ্চিত্র উৎসবে গিয়েই আলিয়া বুঝিয়ে দিয়েছেন, তিনি কতটা খুশি। এমন সময় হঠাৎ ছিড়ে গেল তার গলায় ঝুলানো মূল্যবান ডায়মন্ডের নেকলেস। প্রথমে বিষয়টি বুঝতেই পারেননি অভিনেত্রী। তাই খুব একটা পাত্তা দেননি। কিন্তু তারপর বিষয়টি টের পেতেই অভিনেত্রী সঙ্গে সঙ্গে হাতে দিয়ে চেপে ধরেন গলার হার। অথচ এমন ভঙ্গিতে আলিয়া গলায় হাত রাখেন যে প্রাথমিকভাবে সকলেই ভেবেছিলেন এটা ক্যামেরার জন্যই কোনো পোজ দিয়েছেন। পরে অবশ্য দেখা যায়, একাংশ ভেঙে গলায় ঝুলে রয়েছে আলিয়ার হার। অভিনেত্রীর এমন উপস্থিত বুদ্ধির প্রশংসা পেয়েছে নেটিজেনদের কাছে। কিন্তু নিন্দুকেরও অভাব নেই। নেকলেস প্রস্তুতিকারক সংস্থার বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন অনেকেই। যদিও গোটা বিষয়টা সুন্দরভাবে সামলেছেন আলিয়া।

যে কঠিন অসুখে আক্রান্ত নায়িকা মিমি
টলিউড অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী অভিনয় দিয়ে বরাবরই প্রশংসিত হয়েছেন। তার অভিনয় মুগ্ধ করে হল ভর্তি দর্শকদের। অভিনয়ের পাশিপাশি সামাজিকমাধ্যমেও বেশ সরব অভিনেত্রী। শরীরচর্চা থেকে শুরু করে ঘুরাঘুরি ছবি, প্রতিদিনের বাহারি খাবার, পোষ্যদের সঙ্গে খুনসুটির মুহূর্তগুলো অনুরাগীদের সঙ্গে ভাগ করেন। শনিবার (২৪ মে) ইনস্টাগ্রামে একগুচ্ছ ছবি শেয়ার করেছেন নায়িকা। যেখানে নিজের কঠিন রোগের কথা জানিয়েছেন তিনি। অভিনেত্রীর পোস্টে একগুচ্ছ ছবির মধ্যে জায়গা পেয়েছে তার শরীরচর্চা ছবি। ওই পোস্টে অভিনেত্রী সূর্যমুখী ফুলের ছবিও ভাগ করে নিয়েছেন। সঙ্গে আছে বেরি ফল ও বাহারি খাবারের ছবিও। এসব ছবির মধ্যেই মিমি আরও একটি ছবি পোস্ট করেছেন। ওই ছবিতে দেখা গেছে চোখের ওপর আইস প্যাক লাগানো। ছবির ওপর লিখেছেন ‘মাইগ্রেনের তুমি কঠিনভাবে আঘাত করেছ।’ ছবিতে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে মাইগ্রেনের যন্ত্রণায় অসুস্থ হয়ে গেছেন। বলে রাখা ভালো, বহু বছর ধরেই অভিনেত্রী মাইগ্রেনের সমস্যায় ভুগছেন। গত বছরও এক পোস্টে লিখেছিলেন মাইগ্রেন থেকে বাঁচা কেবল কঠিন নয়, অসম্ভব। মাইগ্রেন মূলত একটি ক্রনিক রোগ। যা অনেক সময় বংশ পরম্পরায় হয়। আবার অতিরিক্ত টেনশন, কাজের চাপ, মানসিক চাপ, দীর্ঘক্ষণ না খেয়ে থাকা, রোদ বা ঠাণ্ডা ইত্যাদি বিভিন্ন কারণেই মাইগ্রেনে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। মাইগ্রেনে আক্রান্ত রোগীদের তীব্র মাথাব্যথা হয়।

‘র’-এর এজেন্ট ছিলেন বাঁধন, যা জানালেন অভিনেত্রী
অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন, ছাত্র আন্দোলনের শুরু থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে থেকে শুরু রাজপথে সরব ছিলেন। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একমত প্রকাশ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও সরব ছিলেন অভিনেত্রী। সবসময় সাধারণ মানুষের পক্ষে কথা বলেছেন। সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে অভিনেত্রীকে ভারতীয় গয়েন্দা সংস্থা ‘র’-এর এজেন্ট বলে দাবি তুলেছেন অনেকেই। এরপরই মুখ খুলেছেন অভিনেত্রী। আজ রোববার (২৫ মে) নিজের ফেসবুক দেওয়া এক পোস্টে হতাশা প্রকাশ করে লিখেছে, আবারও ‘র’ এজেন্ট হয়ে গেলাম কী দারুণ এক যাত্রা! ওই পোস্টে ভারতীয় গয়েন্দা সংস্থা ‘র’ হয়ে ওঠা তুলে ধরেছেন। তিনি লিখেছেন, ২০২১ সালে আমি একজন গর্বিত ‘র’ এজেন্ট ছিলাম। তবে সেটা বিশাল ভরদ্বাজ পরিচালিত বলিউড ছবি ‘খুফিয়া’-তে। ওই সিনেমায় আমার সহশিল্পী ছিলেন বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী টাবু। যারা দেখেননি, দেখে ফেলেন! ওটিটি প্লাটফর্ম নেটফ্লিক্সে আছে। এখানেই শেষ না অভিনেত্রী আরও লিখেছেন, ওই সিনেমায় অভিনয়ের পর ঘটনা নতুন মোড় নেয়। আমি ‘খুফিয়া’ ছবির প্রিমিয়ারে পর্যন্ত যেতে পারিনি। কারণ, ভারতীয় হাই কমিশন আমার ভিসা আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছিল একবার নয়, পাঁচবার। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিপি নুরের (নুরুল হক নুর) সঙ্গে আমার একটা ছবি দেখে ভারতীয় হাইকমিশন খুব চিন্তিত ছিল। ছবিটি আমি নিজেই সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিলাম। শেষমেশ, ভিসার জন্য দেশের পরিচিত প্রভাবশালী মানুষদের সাহায্য নিতে হয়। হাই প্রোফাইল কিছু লোকজনের হাসাহাসির মাঝেই এক মাসের সিঙ্গেল-এন্ট্রি ভিসা পাই। তিনি যোগ করেন, দুইজন প্রভাবশালী সূত্র থেকে জেনেছি, সিনেমার অন্যতম একজন নায়িকাও আমার ভিসা জটিলতায় জড়িত ছিলেন। সে ব্যক্তি কে ছিল তা অনুমান করা যেতে পারে! ভিসা জটিলতার কারণে টলিউড এবং বলিউডে অনেক ভালো কাজের সুযোগ হারিয়ে ফেলি। তবে থেমে থাকিনি। বাঁধন আরও বলেন, জুলাই মাসের আন্দোলনের সময় আমাকে বলা হলো সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি (সিআইএ)-এর এজেন্ট। আমি নাকি ইউএসএআইডি থেকে টাকা নিয়ে ‘ঐতিহাসিক বিপ্লব’ চালিয়েছি। তারপর হলাম জামায়াতের এজেন্ট। কারণ, আমি তাদের এক নেতার ভিডিও আমার পেজে শেয়ার করেছিলাম। সবশেষে অভিনেত্রী লিখেছেন, আমার এক বন্ধু বলল, আমি নাকি মোসাদের হয়েও কাজ করছি। আর গতকাল রাতে আবারও ‘র’ এজেন্ট হয়ে গেলাম! বর্তমান সরকারের ঘনিষ্ঠ একজন আমার কাছে সিরিয়াসভাবে জিজ্ঞেস করে বসল, টাকা খাইছো নাকি? আমাদের কী দারুণ একটা সমাজ! যে ব্যক্তি দেশকে ভালোবাসে না, সে ভাবে আর কেউ দেশকে ভালোবাসতে পারে না। এই লেখাটা আসলে মজা করে বলা ‘আরাম কর, হাস, আর একটু ভাব।’

কানে ইতিহাস গড়ল বাংলাদেশের সিনেমা 'আলী'
নির্মাতা আদনান আল রাজীবের ‘আলী’ বাংলাদেশের সিনেমাকে নিয়ে গেল নতুন উচ্চতায়! ৭৮তম কান চলচ্চিত্র উৎসবে স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র শাখার বিচারকদের রায়ে ‘স্পেশাল মেনশন’ পেল সিনেমাটি। এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের কোনো সিনেমা প্রথমবারের মত কান চলচ্চিত্র উৎসবের মূল প্রতিযোগিতা বিভাগে স্বীকৃতি পেল। শনিবার (২৪ মে) কান আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের মূল ভেন্যু পালে দে ফেস্টিভ্যাল ভবনের গ্র্যান্ড থিয়েটার লুমিয়েরে সমাপনী আয়োজনে বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়। উৎসবের স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র বিভাগে সেরার পুরস্কার 'স্বর্ণপাম' জিতেছে ইসরায়েলের তৌফিক বারহোম পরিচালিত ‘আই অ্যাম গ্ল্যাড ইউ আর ডেড নাউ’। এই বিভাগের প্রধান বিচারক জার্মান নির্মাতা মারেন আদে মঞ্চে দাঁড়িয়ে ‘আলী’কে স্পেশাল মেনশন দেওয়ার কথা জানান। অতিথি সারিতে বসা নির্মাতা আদনান আল রাজীব উঠে দাঁড়ালে সবাই করতালি দিয়ে তাকে অভিনন্দন জানান। পরে এক ফেসবুক পোস্টে আদনান আল রাজীব লেখেন, 'এটা বাংলাদেশের জন্য।' এই অর্জনের পর বিনোদন অঙ্গনের অভিনয়শিল্পী ও নির্মাতারা রাজীবকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছেন। পরিচালকের স্ত্রী ও অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী লিখেছেন, 'বাংলাদেশ প্রথমবারের মত কান চলচ্চিত্র উৎসব থেকে পুরস্কার পেল! অভিনন্দন আদন আল রাজীব ও ‘আলী’ টিমকে!!' নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরী লিখেছেন, 'বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম কান চলচ্চিত্র উৎসব থেকে এসেছে গৌরবের স্পেশাল মেনশন অ্যাওয়ার্ড। বাংলা সিনেমার ইতিহাসে নতুন রেকর্ড গড়ল টিম ‘আলী’। সবাইকে অভিনন্দন।' নির্মাতা রেদোয়ান রনি লিখেছেন, 'তোমরা ইতিহাস গড়েছ, আমাদের স্বপ্নকে পৌঁছে দিয়েছ বিশ্বমঞ্চে, আর আমাদের হৃদয় ভরিয়ে দিয়েছ ভালোবাসা আর গর্বে। বাংলাদেশ এগিয়ে চলুক।' কানে স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র বিভাগে অংশ নেওয়া বাংলাদেশের প্রথম সিনেমা আলী প্রদর্শিত হয় গত শুক্রবার। সিনেমার কেন্দ্রীয় চরিত্র আলী উপকূলীয় এলাকার এক কিশোর। যেখানে সে থাকে, সেখানে নারীদের গান গাইতে দেওয়া হয় না। শহরে যাওয়ার সুযোগ পেতে আলী একটি গানের প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। ব্যতিক্রমী বিষয় হল, সে নারীকণ্ঠেও গান গাইতে পারে। ১৫ মিনিট দৈর্ঘ্যের এ সিনেমায় আলী চরিত্রে অভিনয় করেছেন আল আমিন। গত বছরের নভেম্বরে সিলেটে ‘আলী’র দৃশ্যধারণ হয়। নির্মাতা আদনান আল রাজীব প্রায় দুই দশক ধরে বিজ্ঞাপন ও নাটক বানিয়েছেন। আলী নির্মাণ নিয়ে তার ভাষ্য, 'ব্যক্তিজীবনের ভেতর দিয়ে আমরা একটা অনিবার্য সত্যকে আবিষ্কার করার চেষ্টা করেছি। সহজ-সরল-সুন্দর ঢঙেই কাজটি করার চেষ্টা ছিল আমাদের।' স্বল্পদৈর্ঘ্য সিনেমাটির প্রযোজনা করেছেন বাংলাদেশের তানভীর হোসেন ও ফিলিপাইনের ক্রিস্টিন ডি লিওন। সিনেমাটির লাইন প্রোডাকশন কোম্পানি ‘রানআউট ফিল্মস’।
.png)
বিয়ের পর ভাগ্য খুলে গেছে : মেহজাবীন
চলতি বছরের শুরুতেই বিয়ের পিঁড়িতে বসেছেন ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী। দীর্ঘ ১৩ বছর প্রেম করার পর নির্মাতা আদনান আল রাজীবকে বিয়ে করেছেন তিনি। বিয়ের পর থেকেই একের পর এক সুখবর ধরা দিচ্ছে মেহজাবীনের জীবনে। এই অভিনেত্রী অভিনীত ‘প্রিয় মালতী’ দেশ-বিদেশের বিভিন্ন চলচ্চিত্র উৎসবে বেশ প্রশংসা কুড়িয়েছে। গেল ডিসেম্বরে দেশের সবচেয়ে বড় চলচ্চিত্র উৎসব ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে সেরা ছবির পুরস্কার জিতে নেয় ‘প্রিয় মালতী’। এরপর লন্ডন বাঙালি চলচ্চিত্র উৎসবের অষ্টম আসরে দর্শক পুরস্কার অর্জন করেছে এই ছবি। এসবকিছুর পরে সম্প্রতি মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার ২০২৪–এর সেরা চলচ্চিত্রের (পূর্ণদৈর্ঘ্য কাহিনিচিত্র/চলচ্চিত্র) পুরস্কার পায় ‘প্রিয় মালতী’। শুধু তাই নয়, সমালোচক ও তারকা জরিপ—দুই বিভাগেই ‘প্রিয় মালতী’র জন্য সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। এদিন মঞ্চে উঠে জোড়া পুরস্কার হাতে পেয়ে স্বামীকে মিস করেছেন অভিনেত্রী। কারণ ;নির্মাতা আদনান আল রাজীব বর্তমানে নিজের সিনেমা ‘আলী’র প্রদর্শনী নিয়ে এই ফ্রান্সের কান চলচ্চিত্র উৎসবে রয়েছেন। স্বামীকে মিস করলেও পুরস্কার হাতে নিয়ে মেহজাবীন জানালেন, বিয়ের পর তার ভাগ্য খুলে গেছে। অভিনেত্রী বললেন, ‘আমার মনে হয় বিয়ের পর আমার ভাগ্য খুলে গেছে।’ এসময় পুরস্কার হাতে দেশে আরও বেশি নারীপ্রধান চরিত্র কেন্দ্রীক সিনেমা বানানোর আহ্বান জানান তিনি। পাশাপাশি দর্শকদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা ও ভালোবাসা প্রকাশ করেন।

সংকট কাটিয়ে আবারও দ্রুত ফিরবেন—এমনই প্রত্যাশা নুসরাত ফারিয়ার
গত কয়েকটা দিনের ঘটনা নিশ্চয়ই ভুলে যেতে চাইবেন চিত্রনায়িকা নুসরাত ফারিয়া। গ্রেপ্তার, আদালত, কারাগার—সব মিলিয়ে একটা ট্রমার মধ্যে ছিলেন। মানসিকভাবে ভেঙে পড়ার পাশাপাশি শারীরিকভাবেও অসুস্থ হয়ে পড়েছেন অভিনেত্রী। গতকাল ফেসবুকে ফারিয়া জানান, এখন তিনি আছেন চিকিৎসকের পর্যবেক্ষণে। জীবনের কঠিন সময় পার করে শিগগিরই স্বরূপে ফিরতে পারবেন বলেই বিশ্বাস তাঁর। মঙ্গলবার (২০ মে) জামিনে মুক্তি পেয়ে কাশিমপুর কারাগার থেকে বাসায় ফেরার সময় আঁচ করা গিয়েছিল ফারিয়ার মানসিক অবস্থা। গাড়ির ভেতর কপালে হাত দিয়ে চুপচাপ বসে ছিলেন। দেখেই বোঝা যাচ্ছিল কতটা বিমর্ষ তিনি। রুপালি পর্দায় অভিনয়ের সুবাদে আদালতের কাঠগড়া, কারাগার দেখলেও বাস্তবে এই প্রথম এমন অভিজ্ঞতা হলো তাঁর। আদালতে যখন ফারিয়াকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, সে সময় তাঁর মাথায় ছিল হেলমেট। পরানো হয়েছিল বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট। কাঠগড়ায় একসময় ফারিয়াকে চোখ মুছতেও দেখা গিয়েছিল! সবকিছুই ছিল তাঁর কাছে দুঃস্বপ্নের মতো। কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে বাসায় যাওয়ার পর ফেসবুকে ফারিয়া জানিয়েছিলেন, জীবনের সবচেয়ে মুমূর্ষু সময় পার করেছেন তিনি। ভেঙে পড়েছেন মানসিকভাবে। এবার জানালেন অসুস্থতার কথা। ফেসবুকে গতকাল ফারিয়া লিখেছেন, ‘বর্তমানে আমি গুরুতর অসুস্থতায় ভুগছি, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের নিবিড় পর্যবেক্ষণে আছি। চিকিৎসার অংশ হিসেবে এখন কিছু সময়ের জন্য বাইরের সঙ্গে সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ রাখা হয়েছে। ফোন ব্যবহারের ওপরও রয়েছে কড়াকড়ি। এই পরিস্থিতিতে কারও সঙ্গে কথা বলতে না পারার জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখিত। আমি বিশ্বাস করি, এই কঠিন সময়টা দ্রুতই পেরিয়ে আবার সুস্থভাবে আপনাদের মাঝে ফিরে আসতে পারব।’ গ্রেপ্তার হওয়ার পর থেকে সহকর্মীদের পাশে পেয়েছেন ফারিয়া। ভক্তরাও তাঁকে জুগিয়েছেন সাহস। ভেঙে পড়লেও সবার ভালোবাসা ও সমর্থনে এগিয়ে যাওয়ার শক্তি পেয়েছেন বলে জানান অভিনেত্রী। সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন তিনি। গত রোববার থাইল্যান্ডে যাওয়ার উদ্দেশে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গেলে নুসরাত ফারিয়াকে আটক করা হয়। পরবর্তী সময়ে তাঁকে জুলাই অভ্যুত্থানের এক হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। গত সোমবার অভিনেত্রীকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত। এর এক দিন পর মঙ্গলবার জামিনে মুক্তি দেওয়া হয় তাঁকে।

বলিউড অভিনেতা মুকুল দেব আর নেই
বলিউড অভিনেতা মুকুল দেব মারা গেছেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৫৪ বছর। ভারতীয় গমাধ্যমের খবর, শুক্রবার গভীর রাতে দিল্লিতে মৃত্যু হয় তাঁর। বেশ কিছু দিন ধরেই তিনি শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছিলেন বলে জানা গিয়েছে। মুকুলের মৃত্যুর খবর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রথম জানান অভিনেতা মনোজ বাজপায়ী। মুকুল দেবের অকস্মাৎ মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমেছে বলিউডে। ১৯৯৬ সালে ‘দস্তক’ সিনেমার মাধ্যমে চলচ্চিত্রে আত্মপ্রকাশ করেন মুকুল। মুম্বাইয়ের টেলিভিশন ইন্ডাস্ট্রি থেকে ফিল্মি দুনিয়ায় অতি পরিচিত মুখ মুকুল। কাজ করেছেন পাঞ্জাবি, দক্ষিণী সিনেদুনিয়াতেও। ‘সন অফ সর্দার’, ‘ইয়ামলা পাগলা দিওয়ানা’, ‘আর রাজকুমার’ এবং ‘জয় হো’ সহ একাধিক হিন্দি ও আঞ্চলিক ভাষার সিনেমায় অভিনয় করেছেন মুকুল। টেলিভিশনেও তিনি ‘ঘরওয়ালি উপরওয়ালি’, ‘কাহানি ঘর ঘর কী’র মতো জনপ্রিয় ধারাবাহিকে অভিনয় করেছেন। এমনকী বাংলা বেশকিছু সিনেমাতে খল নায়কের চরিত্রে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। তার মধ্যে অন্যতম জিৎ এর ‘আওয়ারা’।