৭ দফা দাবিতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রশিবিরের বিক্ষোভ
- বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
- প্রকাশঃ ০৬:৫২ পিএম, ১৯ মে ২০২৫

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) পঞ্চম সমাবর্তনে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার শিক্ষার্থীদের শতভাগ আবাসন নিশ্চিতসহ সংশ্লিষ্ট যৌক্তিক দাবিগুলো প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নিকট উপস্থাপন না করায় বিক্ষোভ করেছেন ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীরা। সোমবার (১৯ মে) দুপুরে চবি ছাত্রশিবির আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে ৭ দফা দাবি জানানো হয়।
সমাবেশে চবি ছাত্রশিবিরের সভাপতি মোহাম্মদ ইব্রাহিম বলেন, উপাচার্য স্যার বলেছেন, ‘তোমাদের দাবির সাথে আমার দাবিগুলো যুক্ত করো।’ আমরা আপনার দাবিগুলো কাকে জানাবো? আপনিই তো এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিভাবক। আপনার দাবি যদি থাকতো, তাহলে আমাদের দাবির সাথে যুক্ত করে কেন সেটা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে উপস্থাপন করেননি? এর জবাব আপনাকে দিতে হবে।
তিনি বলেন, আপনি বলেছেন যারা অবৈধ ও টাকার মাধ্যমে নিয়োগ হয়েছে, তাদের কারণে ৪০ বছর এই বিশ্ববিদ্যালয় অকেজো থাকবে। তাহলে তারা কেন শিক্ষকের পদে থাকবে? যারা আমাদের ভাইকে হত্যা করেছে, শহীদ মিনারে রক্ত ঝড়িয়েছে, তারা কেন এখনো বিভিন্ন পদে পদায়ন হচ্ছে? কেন তাদেরকে বহিষ্কার করা হচ্ছে না? তাদেরকে সাথে নিয়ে আপনারা কিসের কনফারেন্স-সেমিনার করেন?
বিক্ষোভ সমাবেশে চট্টগ্রাম মহানগর দক্ষিণের সভাপতি ইব্রাহিম হোসেন রনি, মহানগর উত্তরের সাংগঠনিক সম্পাদক খুররাম মুরাদ, চবি শাখা সেক্রেটারি মোহাম্মদ আলী, শাখা শিক্ষা সম্পাদক পারভেজ উদ্দিন, অর্থ সম্পাদক মুজাহিদুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
ছাত্রশিবিরের ঘোষিত ৭ দফা দাবি হচ্ছে শতভাগ আবাসন নিশ্চিত করতে হবে এবং আবাসন নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত অনাবাসিক সকল শিক্ষার্থীকে আবাসন ভাতা প্রদান করতে হবে, সকল বিভাগ ও ইনস্টিটিউটে অনতিবিলম্বে সেশনজট নিরসন এবং শিক্ষার আধুনিকায়ন নিশ্চিত করতে হবে, পর্যাপ্ত ও নিরাপদ যাতায়াত সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে, অনতিবিলম্বে চাকসু নির্বাচন দিতে হবে, দ্রুত সময়ের মধ্যে টিএসসি স্থাপন, সেন্ট্রাল অডিটোরিয়াম নির্মাণ, কেন্দ্রীয় মসজিদ পুনর্নির্মাণ এবং আবাসিক হল ও অন্যান্য স্থাপনাসমূহ সংস্কার করতে হবে, জুলাই বিপ্লব ও ফ্যাসিবাদী শাসনামলে শিক্ষার্থীদের নির্যাতনে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত শিক্ষার্থীদের স্থায়ী বহিষ্কার এবং জড়িত শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীদের চাকরিচ্যুত করতে হবে এবং বিগত ফ্যাসিবাদী শাসনামলে অবৈধ নিয়োগের সাথে জড়িত সকলের বিচার এবং নিয়োগপ্রাপ্তদের চাকরিচ্যুত করতে হবে।