সহিংসতায় তৃতীয় পক্ষের উস্কানি ছিল; দাবি সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থীদের
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- প্রকাশঃ ০৬:১৭ পিএম, ২৬ নভেম্বর ২০২৪

ঢাকা ন্যাশনাল হাসপাতালে শিক্ষার্থীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে কবি নজরুল সরকারি কলেজ, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ ও ডা. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজসহ ঢাকার বিভিন্ন কলেজের মধ্যে সহিংসতার পেছনে তৃতীয় পক্ষের উস্কানি ছিল বলে দাবি করেছেন সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) বিকালে সোহরাওয়ার্দী কলেজের ক্যাম্পাসে ‘সাধারণ শিক্ষার্থীর’ ব্যানারে সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা এ দাবি করেন।
সংবাদ সম্মেলনে সোহরাওয়ার্দী কলেজের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ২০২০-২১ বর্ষের শিক্ষার্থী লিখন ইসলাম বলেন, ‘সোহরাওয়ার্দী কলেজে প্রথম ও চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা চলাকালীন কয়েকটি কলেজ একত্রিত হয়ে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় আমরা তীব্র নিন্দা প্রকাশ করছি। এরপরও সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থীরা দায়িত্বশীল ও সহনশীলতার পরিচয় দিতে পারত। কিন্তু তৃতীয় পক্ষের উস্কানি ও সংঘাতে অংশগ্রহণে তা সম্ভব হয়নি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমারা বিশ্বাস করি, যে কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হামলা করা চরম নিন্দনীয় কাজ। এ জন্য আমাদের সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থীদের সহনশীল মনোভাব পোষণ করার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি। একইসঙ্গে আহ্বান জানাচ্ছি, আমরা যেন তৃতীয় পক্ষের উস্কানিতে দেশে সহিংসতার সৃষ্টি না করি। এই উস্কে দেওয়া তৃতীয় পক্ষের মানুষদের চিহ্নিত করে দ্রুত আইনের আওতায় আনার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও অন্তর্বর্তী সরকারকে বিশেষভাবে অনুরোধ করছি।’
সোহরাওয়ার্দী কলেজের অর্থনীতি বিভাগের ২০২০-২১ বর্ষের শিক্ষার্থী ফাহিম শাহরিয়ার বলেন, ‘কলেজ সহিংসতায় তৃতীয় পক্ষের বা অন্য মানুষদের উস্কানি ছিল। আমরা এই তৃতীয় পক্ষকে মনে করছি ইউসিবি নামের একটি সংগঠনকে। এই সংগঠনের প্রতিনিধি ঢাকার সব কলেজেই আছে। মূলত তাদের উস্কানিতে এই ধরনের সহিংসতার সূত্রপাত। সহিংসতার শুরু থেকেই কবি নজরুল বা সোহরাওয়ার্দীর কোন শিক্ষার্থীরা জড়িত ছিল না। আমাদের নাম ভাঙিয়ে বা সোহরাওয়ার্দী, কবি নজরুলের শিক্ষার্থী ছদ্মবেশে এমন সহিংসতার সৃষ্টি হয়।’