ছাত্রদের বেহুদা আবদারের কাছে সরকার মাথা নত করায় অস্থির শিক্ষাঙ্গন


November 25/Mahbubur Rahman.jpg

দেশের শিক্ষাঙ্গন অশান্ত হয়ে উঠেছে। টানা বিভিন্ন ছাত্র আন্দোলন আর সংঘর্ষের মুখে অচল হয়ে পড়েছে বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এ অবস্থায় শিক্ষার্থীদের আরো বিনয়ী হওয়ার পরামর্শ দিয়ে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ‘ছাত্রদের অন্যায্য দাবির কাছে সরকার মাথানত করায় দেশে এমন পরিস্থিতি।’

বাসে ওঠা নিয়ে বাগ্‌বিতণ্ডার জেরে বুধবার (২০ নভেম্বর) ঢাকার সায়েন্সল্যাব এলাকায় সংঘর্ষে জড়ান ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজের শিক্ষার্থীরা। এতে কার্যত অচল হয়ে পড়ে পুরো ঢাকা সিটির সড়কপথ।
 
এর ঠিক দুই দিন আগেই সরকারি তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবিতে রেললাইন অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। এতে ব্যাহত হয় রেল যোগাযোগ।
 
এ ছাড়া বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) হলের সিট বরাদ্দের জেরে চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে শিক্ষার্থীদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে অচল হয়ে পড়ে প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম।
  
এমন নানা বাস্তবতায় গেল ৫ আগস্ট ক্ষমতার পালাবদলে সারা দেশের শিক্ষাঙ্গনেই চলছে অস্থিরতা। সবশেষ রোববার (২৪ নভেম্বর) থেকে তিন কলেজের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনায় হতবাক দেশবাসী। দিন পেরিয়ে রাত তবুও শেষ হয়নি সংঘর্ষ।
 
নিয়মিত আন্দোলন, সড়ক অবরোধ, সচিবালয় ঘেরাও এবং নানা দাবিতে শিক্ষার্থীদের সড়কে নামা যেন এখন রোজকার ঘটনা, যার ফলাফল অস্থিরতা বেড়েই চলেছে শিক্ষাঙ্গনে।
 
চলমান এই সংঘাতের পেছনে অবশ্য অন্তর্বর্তী সরকারের পরিকল্পনার অভাবকেই দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা। ছাত্রদের নানা অন্যায্য দাবির কাছে মাথা নত করেছে সরকার এমন মন্তব্য করে অপরাধ বিশেষজ্ঞ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েল (ঢাবি) আইন বিভাগের অধ্যাপক শেখ হাফিজুর রহমান কার্জন বলছেন, ‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সক্রিয় না হলে পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ হতে পারে।’
 
তিনি আরো বলেন, ‘ছাত্রদের উচিত ছিল পড়াশোনায় ফিরে যাওযা। কিন্তু, পড়াশোনায় ফিরে না গিয়ে ছাত্রদের একটি অংশ রাজনীতি বা রাষ্ট্রপরিচালনার ক্ষেত্রে বেশি আগ্রহী হয়েছেন। ছাত্রদের অন্যায্য দাবির কাছে সরকারের নতি স্বীকার করা ঠিক হয়নি।’
 
দেশের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে শিক্ষার্থীদের আরো বিনয়ী হওয়া প্রয়োজন ছিল বলেও মনে করেন এ বিশেষজ্ঞ।

ঢাকাওয়াচ২৪ এর খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন ।
ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন [email protected] ঠিকানায়।
×