ফরেক্স রিজার্ভে শক্তি জোগাতে আরও ৪৫ মিলিয়ন ডলার কিনল কেন্দ্রীয় ব্যাংক
- ফরিদ শ্রাবণ
- প্রকাশঃ ০৯:১০ পিএম, ০৭ আগস্ট ২০২৫
বিনিময় হারের অস্থিরতা কমিয়ে বাজারে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ধারাবাহিকভাবে ডলার কেনার পদক্ষেপ নিচ্ছে। এর অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) বাংলাদেশ ব্যাংক আরও ৪৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার কিনেছে।
বাজারে স্থিতিশীলতা ফেরাতে বাংলাদেশ ব্যাংক ১৩ জুলাই থেকে আন্তঃব্যাংক মুদ্রা বাজারে হস্তক্ষেপ শুরু করেছে। এ সময়ের মধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংক মোট ৫৩৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার কিনেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ঢাকাওয়াচ কে বলেন, প্রাথমিক সিদ্ধান্ত ছিল ২০ মিলিয়ন কেনার পরবর্তী তা বাড়িয়ে পাঁচটি বাণিজ্যিক ব্যাংকের কাছে থেকে ৪৫ মিলিয়ন ডলার (প্রতি ডলার ১২১.৫০ টাকা) কেনার বিপরীতে প্রায় ৫৫০ কোটি টাকা কিনে নেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
গত চার সপ্তাহে কেন্দ্রীয় ব্যাংক চার দফা নিলামের মাধ্যমে মোট ৫৩৯ মিলিয়ন ডলার কিনেছে। এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য হচ্ছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ শক্তিশালী করা, যা আমদানি ব্যয় বৃদ্ধি এবং বৈশ্বিক অর্থনৈতিক চাপে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একজন উর্ধতন কর্মকর্তা ঢাকাওয়াচ কে বলেন, বিনিময় হার সহনীয় পর্যায় রাখতে প্রয়োজন অনুযায়ী আমরা বাজার হস্তক্ষেপ করেছি।
তিনি আরও জানান, যদি মার্কিন ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়ন অব্যাহত থাকে, তাহলে প্রয়োজন হলে বাংলাদেশ ব্যাংক একই ব্যবস্থায় বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে ডলার বিক্রিও করতে পারে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এই কর্মকর্তা বলেন, “বাংলাদেশি টাকার বিপরীতে ডলারের অবমূল্যায়ন ঠেকানো এবং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ শক্তিশালী করতেই এমন হস্তক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। এটি আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)-এর ৫.৫০ বিলিয়ন ডলারের ঋণ কর্মসূচির আওতায় দেশের সামষ্টিক অর্থনীতিকে স্থিতিশীল করতে গৃহীত পদক্ষেপগুলোর অংশ।”
১৩ জুলাই হস্তক্ষেপ শুরুর পর থেকে মার্কিন ডলারের বিপরীতে টাকা ০.৮৫ টাকা মূল্য হারিয়েছে। প্রথম দিন টাকার রেফারেন্স রেট ছিল প্রতি ডলারে ১২০.৬৭ টাকা। বৃহস্পতিবার দিনের শেষে এই হার দাঁড়িয়েছে ১২১.৫২ টাকায়।