কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ে সক্ষমতা বাড়াতে লালদিয়ার চরেই আস্থা চট্টগ্রাম বন্দরের


April 2025/Laldiar chor.png

দুই বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিদেশি বিনিয়োগের পাশাপাশি ২০৩০ সালের মধ্যে বাড়তি ১৫ লাখ কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় লালদিয়ার চরেই ভরসা খুঁজছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ (চবক)। আর তাই চরের একটি অংশ ডেনমার্কভিত্তিক প্রতিষ্ঠান মার্কস লাইনকে দিলেও অপর অংশে নিজস্ব কনটেইনার ইয়ার্ড করার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।

স্বাধীনতার পর মাত্র ছয়টি কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ের মাধ্যমে যাত্রা শুরু করা চট্টগ্রাম বন্দর এখন বছরে ৩২ লাখ কনটেইনার হ্যান্ডলিং করছে। একইভাবে বন্দরের কনটেইনার ধারণক্ষমতা দাঁড়িয়েছে ৫৩ হাজারে। কিন্তু ২০৩০ সালের মধ্যে বাড়তি ১৫ লাখ কনটেইনার হ্যান্ডলিং সক্ষমতার চ্যালেঞ্জ সামাল দিতে লালদিয়ার চরকেই বেছে নিতে যাচ্ছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ।
 
চবকের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এসএম মনিরুজ্জামান বলেন, ‘বে টার্মিনাল এবং মাতারবাড়ি বন্দর চালু হওয়ার আগে নতুন করে কনটেইনার ইয়ার্ড তৈরি করতেই হবে। এর জন্য লালদিয়ার চর খুবই সহায়ক হবে।’
  
একেবারে কর্ণফুলী নদীর তীর ঘেঁষে নগরীর পতেঙ্গা এলাকায় এই লালদিয়ার চরের অবস্থান। এরই মধ্যে চরের ৬৪ একর জায়গাকে দুইটি অংশে বিভক্ত করে উন্নয়ন পরিকল্পনা সাজিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। বিশেষ করে ৩২ একরের প্রথম অংশে বন্দরের জন্য তৈরি হবে নিজস্ব কনটেইনার ইয়ার্ড। যেখানে কনটেইনার ধারণক্ষমতা হবে ১৫ হাজারের বেশি। আর দ্বিতীয় অংশে বিনিয়োগ করতে যাচ্ছে ডেনমার্ক ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান মার্কস লাইন।
 
চবকের সচিব মোহাম্মদ ওমর ফারুক বলেন, ‘কনটেইনার সুবিধা বাড়ানোর জন্য গ্রাউন্ড ডেভেলপমেন্ট কাজ চলমান রয়েছে। বেশকিছু কাজ এরই মধ্যে হয়ে গেছে। বাকিগুলোও দ্রুতগতিতে চলছে।’
 
বিশ্বজুড়ে ৫০ শতাংশের বেশি কনটেইনার পরিবহন এবং হ্যান্ডলিং করছে মার্কস লাইন। আর তাই চট্টগ্রাম বন্দরে মার্কস লাইনের বিনিয়োগকে দেশের আমদানি-রফতানি বাণিজ্যের জন্য ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন শিপিং ব্যবসায়ীরা
 
বাংলাদেশ শিপিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সহ সভাপতি শফিকুল আলম জুয়েল বলেন, ‘মার্কস লাইনের বিনিয়োগের ফলে দেশের আমদানি-রফতানির পরিমাণ অনেক বাড়বে। যা দেশের জন্য ইতিবাচক।’
  
এর আগে দেড় হাজার কোটি টাকা খরচ করে নির্মিত পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল পরিচালনার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে সৌদি আরবভিত্তিক প্রতিষ্ঠান রেড সী গেটওয়েকে। লালদিয়ার চরে ক্ষেত্রে রেডিমেড টার্মিনাল হস্তান্তরের পরিবর্তে বিদেশি বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানকে দিয়েই টার্মিনাল নির্মাণের কথা বলছেন ব্যবসায়ীরা।
 
বাংলাদেশ শিপিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সৈয়দ মোহাম্মদ আরিফ বলেন, ‘তৈরি টার্মিনাল না দিয়ে বিনিয়োগকারীকেই দিয়ে যদি টার্মিনাল নির্মাণ করানো যায়, সেটি দেশের জন্য বেশি উপকারী হবে।’
 
চলতি বছরেই লালদিয়ার চর কনটেইনার ইয়ার্ড ও টার্মিনাল নির্মাণের প্রাথমিক চুক্তিসহ সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে চবক।

ঢাকাওয়াচ২৪ এর খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন ।
ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন [email protected] ঠিকানায়।
×