
সিরাজগঞ্জের কাশিয়াহাটার নলিচাপাড়া এলাকার কলাবাগান থেকে উদ্ধার হওয়া বিকৃত মরদেহ ঘিরে রহস্যের অবসান ঘটেছে। পুলিশ নিশ্চিত করেছে যে মরদেহটি মোছা. মরিয়ম বেগমের, যাকে নৃশংসভাবে হত্যা করে ড্রেনে ফেলে রাখা হয়। ঘটনাটির সঙ্গে জড়িত সন্দেহে মো. সোহেল রানা নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাজরান রউফ জানান, নিহত মরিয়ম বেগমের বয়স ৪৮ বছর। তিনি সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার খোকসাবাড়ী এলাকার বাসিন্দা এবং দীর্ঘদিন প্রবাসে ছিলেন। গ্রেপ্তার সোহেল রানা গুনেরগাঁতী গ্রামের মো. আসাদুল্লাহর ছেলে। প্রায় দুই থেকে তিন বছর আগে মরিয়ম ও সোহেলের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সোহেল তাকে বিয়ের চাপ দিলে মরিয়ম সময় চান। এতে তাদের সম্পর্কে টানাপোড়েন শুরু হয় এবং মরিয়ম অন্যত্র সম্পর্ক তৈরি করেন বলে ধারণা করছে পুলিশ।
তদন্ত কর্মকর্তারা জানান, ৫ ডিসেম্বর কাশিয়াহাটা এলাকায় দুজনের দেখা হলে কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে সোহেল মরিয়মকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন। পরে কলাবাগানের পাশে ড্রেনে লাশ ফেলে পালিয়ে যান। প্রযুক্তিগত অনুসন্ধানের মাধ্যমে মাত্র আট ঘণ্টার মধ্যেই সোহেলকে আটক করা হয়। নিহতের ছেলে মানিক হোসেন সদর থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
এর আগের দিন রোববার দুপুরে স্থানীয়রা কলাবাগানে মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন। সদর থানা-পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।
ঘটনা ও গ্রেপ্তারের বিষয়টি সোমবার দুপুরে সদর থানা প্রাঙ্গণে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে নিশ্চিত করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাজরান রউফ।