ইরাকে ১৫ দিন ধরে নিখোঁজ রাজবাড়ীর দুই যুবক
- রাজবাড়ী প্রতিনিধি
- প্রকাশঃ ১০:৩৩ এম, ০১ অক্টোবর ২০২৫
 
                                রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার দুই তরুণ আবির হোসেন ও মেহেদী হাসানকে নিয়ে চরম উদ্বেগে রয়েছেন তাদের স্বজনরা। গত ১৭ সেপ্টেম্বর থেকে ইরাকে অবস্থানরত এই দুই যুবকের সঙ্গে পরিবারের কারো কোনো যোগাযোগ হয়নি। নিখোঁজ থাকার ১৫ দিন পেরিয়ে গেলেও এখনো তাদের কোনো খোঁজ মেলেনি।
নবাবপুর ইউনিয়নের বনগ্রাম এলাকার বাসিন্দা আবির হোসেনের বয়স ২০ বছর এবং মেহেদী হাসানের বয়স ৩০। আবিরের বাবা গওছেল আজম ও মেহেদীর বাবা মাজেদ মণ্ডল জানান, তারা একরকম অসহায় অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন।
আবিরের পরিবার সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের জুলাই মাসের মাঝামাঝি সময়ে শ্রমিক ভিসায় ইরাকে যান আবির। পদমদী গ্রামের এক ব্যক্তি টিটনের মাধ্যমে প্রায় সাড়ে ৮ লাখ টাকা খরচ করে তাকে পাঠানো হয় বিদেশে। প্রথমে কারবালা শহরের একটি নির্মাণসামগ্রীর দোকানে কাজ করলেও পরে তিনি বাগদাদে চলে যান মেহেদীর সঙ্গে যোগ দিতে।
মেহেদী হাসান ইরাক পৌঁছান গত আগস্টের মাঝামাঝি সময়ে। প্রাথমিকভাবে তিনি রাজধানী বাগদাদেই অবস্থান করছিলেন। পরে আবিরের সঙ্গে যোগাযোগ হলে, দুজন মিলে বাগদাদে একটি কমিউনিটি সেন্টারে কাজ শুরু করেন। সব ঠিকঠাক চলছিল, কিন্তু হঠাৎ করেই ১৬ সেপ্টেম্বর ফজরের নামাজের আজানের পর আবির পরিবারের সঙ্গে শেষবার যোগাযোগ করেন। এরপর থেকেই দুজনের কারো সঙ্গে আর কোনো যোগাযোগ সম্ভব হয়নি।
আবিরের মা ইয়াসমিন আক্তার বলেন, "আমার বড় ছেলে আলমগীর কিরগিজস্তানে থাকে। ১৫ দিন ধরে আবিরের কোনো খবর নেই। প্রতিদিন দুশ্চিন্তায় কাটে। টিটনের সঙ্গেও যোগাযোগ করেছি, কিন্তু সেও কিছু বলতে পারছে না।"
আবিরের বাবা গওছেল আজম জানান, "আমার বড় ছেলে আলমগীর আবিরের একটি টিকটক ভিডিও দেখে লোকেশন ট্র্যাক করে তার মালিকের সঙ্গে যোগাযোগ করে। ওই ব্যক্তি জানিয়েছেন, তিনি এখন দেশের বাইরে। তবে তিনি ধারণা করেছেন, কোনো কারণে পুলিশ তাদের ধরে নিয়ে যেতে পারে। আমরা ভেবে শান্তি পাই, যদি সত্যি পুলিশ নিয়ে থাকে, তাহলে হয়তো একদিন সে ফিরে আসবে।"
প্রিয়জনের খোঁজে উৎকণ্ঠিত পরিবার এখন কেবল অপেক্ষা করছে কোনো এক আশার আলো দেখার। পরিবারগুলো কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে দ্রুত খোঁজ নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
 
                        
                     
                             
                             
                             
                                                                                     
                                                                                     
                                                                                     
                                                                                     
                                                                                    