দুটি ট্রলারসহ আরও ১৪ জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে ‘আরাকান আর্মি’


দুটি ট্রলারসহ আরও ১৪ জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে ‘আরাকান আর্মি’

কক্সবাজারের টেকনাফ উপকূলে বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে যাওয়া আরও ১৪ জেলে ও দুটি ট্রলার অপহৃত হয়েছে। স্থানীয় সূত্র এবং ট্রলার মালিকদের অভিযোগ, এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত মিয়ানমারের সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি (এএ)।

টেকনাফ কায়ুকখালী বোট মালিক সমিটির পরিচালক সাজেদ আহমেদ মঙ্গলবার সকালে জানান, “ঘাট থেকে কিছু মাঝিমাল্লা ট্রলার সাগরে মাছ ধরতে বের হন। এর মধ্যে দুটি ট্রলারসহ ১৪ জেলেকে ধরে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি আমরা শুনেছি। বারবার এ ধরনের ঘটনার কারণে মাছ ব্যবসায়ী এবং জেলেদের মধ্যে ভয় সৃষ্টি হয়। তাই সরকারের সহযোগিতা একান্ত প্রয়োজন।”

এর আগে, ১২ সেপ্টেম্বর, ৫টি ট্রলারে থাকা ৪০ মাঝিমাল্লাকে আরাকান আর্মি অপহরণ করেছিল। এদের মধ্যে একটি ট্রলারের ১৭ জন জেলে কৌশলে পালিয়ে আসেন। এছাড়া বিভিন্ন সময়ে আরও ১১৪ জেলে তাদের হাতে বন্দি রয়েছেন এবং ১৯টি ট্রলারের নিয়ন্ত্রণও তারা হাতে নিয়েছে।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ এহসান উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, “আরও দুটি ট্রলারসহ ১৪ জেলেকে ধরে নেওয়ার খবর পাচ্ছি। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। ধরার পরের পরিস্থিতি মোকাবিলায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কার্যক্রম পরিচালনা করছে।”

স্থানীয় জেলে নুর কালাম বলেন, “কায়ুকখালী ঘাটের আবুল কালম এবং সৈয়দ আলমের মালিকাধীন দুটি ট্রলার সাগরে মাছ শিকারে যায়। ধাওয়া করে ওই দুটি ট্রলারসহ ১৪ মাঝিমাল্লাকে ধরে নিয়ে গেছে আরাকান আর্মি। জেলেরা ভয়ে রয়েছে। প্রায়ই এ ধরনের ঘটনা ঘটছে।”

বিজিবি জানিয়েছে, গত আট মাসে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত এবং নাফ নদ সংলগ্ন এলাকা থেকে কমপক্ষে ৩১৪ জেলে অপহরণ করেছে আরাকান আর্মি। চলতি বছরের মার্চ থেকে ২৩ আগস্ট পর্যন্ত ২০০ জন জেলে অপহৃত হন। বিজিবির সহায়তায় কয়েক দফায় প্রায় ২০০ জনকে মুক্ত করা হয়েছে। বর্তমানে ১১৪ জেলে এখনও আরাকান আর্মির হেফাজতে রয়েছে, যার ফলে অনেক জেলে সাগরে মাছ শিকারে যেতে ভয় পাচ্ছেন।

ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন [email protected] ঠিকানায়।
×