আগে আমার দেশের মানুষ ইলিশ খাবে তারপর অন্য দেশ: ফরিদা আখতার
- ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি
- প্রকাশঃ ০৭:২৮ পিএম, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ভারতের অনুরোধে ইলিশ রপ্তানির সিদ্ধান্ত হলেও দেশের মানুষকে অগ্রাধিকার দেওয়ার বিষয়টি আবারও জোর দিয়ে জানালেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।
দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে প্রতিবেশী ভারতের পক্ষ থেকে একাধিকবার অনুরোধের পর বাংলাদেশ থেকে ১,২০০ টন ইলিশ রপ্তানির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে এ সিদ্ধান্তের পেছনে কিছুটা অনিচ্ছার সুরও ছিল অন্তর্বর্তী সরকারের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতারের কণ্ঠে।
তিনি স্পষ্ট করে বলেন, “আগে আমার দেশের মানুষ ইলিশ খাবে, তারপর অন্য দেশ।”
শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ঠাকুরগাঁওয়ে বুড়ির বাঁধ সংলগ্ন একটি জলাশয়ে মৎস্যসম্পদ বৃদ্ধির লক্ষ্যে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ফরিদা আখতার। এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসন ও মৎস্য অধিদপ্তর।
তিনি জানান, এর আগেও একই অবস্থান থেকে কথা বলেছেন এবং এবারও সেই অবস্থানেই অটল রয়েছেন। তবে ভারতের সঙ্গে প্রতিবেশী সম্পর্কের কথা বিবেচনায় নিয়ে পূর্বেও কিছু ইলিশ পাঠাতে হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
ফরিদা আখতার বলেন, “এর আগেও একই কথা বলেছিলাম। তবে দুর্ভাগ্যবশত প্রতিবেশী দেশ হিসেবে তাদের পাঠাতে হয়েছে। তবে চাহিদার চেয়ে কম পাঠানো হয়েছিল। এবারে দাম বাড়িয়ে রাখা হয়েছে।”
রিং জাল ব্যবহারের বিরুদ্ধে চলমান অভিযান নিয়েও বক্তব্য দেন তিনি। শুধু জেলেদের নয়, এই অভিযানের আওতায় রয়েছে রিং জাল প্রস্তুতকারী ও বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলোও।
তিনি বলেন, “অভিযান শুধু জেলেদের জন্য নয়। প্রতিষ্ঠানগুলোতে অভিযান পরিচালনা করছি। এসব রিং জাল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ও বিক্রেতাদের কোনো ছাড় নেই।”
এই মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন মৎস্য অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক ড. মো. আবদুর রউফ, ঠাকুরগাঁওয়ের জেলা প্রশাসক ইশরাত ফারজানা, পুলিশ সুপার শেখ জাহিদুল ইসলাম, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আরাফাত হোসেনসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা, মৎস্যজীবী এবং স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীরা।