ওরা দেশে ফিরলে ঠিকানা হবে কেরানীগঞ্জ কারাগার: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
- মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি
- প্রকাশঃ ০৭:৫৬ পিএম, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জানিয়েছেন, মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ার গুয়াগাছিয়ায় অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্পে হামলার ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত নৌ-ডাকাত নয়ন-পিয়াসসহ বেশ কয়েকজন অভিযুক্ত প্রতিবেশী দেশে পালিয়েছে। তিনি বলেন, “ওরা দেশে ফিরলে ঠিকানা হবে কেরানীগঞ্জ কারাগার।”
শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ার দুর্গম জামালপুর গ্রামে নবনির্মিত অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, “এ অঞ্চলে দীর্ঘদিন ধরেই নৌ-ডাকাতদের তৎপরতা ছিল। আমি নিজেও মুন্সীগঞ্জের বাসিন্দা হিসেবে তাদের সম্পর্কে পূর্ব থেকেই অবহিত।” তিনি জানান, থানায় হামলার সময় দুর্বৃত্তরা অস্ত্র লুট করেছিল এবং ধারণা করা হচ্ছে, সেগুলো এখনো তাদের কাছে রয়েছে। এ সব অস্ত্র উদ্ধারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সর্বোচ্চ তৎপরতা চালাচ্ছে বলে জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, প্রাথমিকভাবে অস্থায়ী ভিত্তিতে স্থাপিত এ ক্যাম্পটি ভবিষ্যতে স্থায়ী থানায় রূপান্তরের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
পরিদর্শনের সময় স্থানীয় সাংবাদিকরা মুন্সীগঞ্জের আলু চাষিদের সমস্যার বিষয়টি তুলে ধরলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জানান, “আলু চাষিদের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিতে সরকার ইতোমধ্যে আলুর মূল্য নির্ধারণ করেছে। বিষয়টি মনিটরিং করা হচ্ছে।”
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি রেজাউল করিম মল্লিক, মুন্সীগঞ্জের জেলা প্রশাসক ফাতেমা তুল জান্নাত, পুলিশ সুপার মুহাম্মদ শামসুল আলম সরকার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মোহাম্মদ কাজী হুমায়ুন রশীদ এবং গজারিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আশরাফুল আলম।
উল্লেখ্য, নৌ-ডাকাতদের দমন এবং নিরাপত্তা পরিস্থিতি উন্নয়নের লক্ষ্যে ২২ আগস্ট গজারিয়ার জামালপুর গ্রামে একটি অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প স্থাপন করা হয়। তবে ক্যাম্প চালুর মাত্র তিন দিন পর, ২৫ আগস্ট নয়ন-পিয়াস বাহিনীর সদস্যরা ক্যাম্প লক্ষ্য করে শতাধিক রাউন্ড গুলি ছোড়ে এবং একাধিক ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। এ ঘটনায় নয়নের বড় ভাই রিপনসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।