চাপের মুখে নতি স্বীকার করে নির্বাচনের ডেডলাইন দিয়েছেন ড. ইউনূস: ফরহাদ মজহার
- কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
- প্রকাশঃ ০৬:০৫ পিএম, ২৩ আগস্ট ২০২৫

কবি, লেখক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক ফরহাদ মজহার বলেছেন, রাজনীতিবিদদের চাপের মুখে নতি স্বীকার করে নির্বাচনের ডেডলাইন দিয়েছেন ডক্টর ইউনুস। সব রাজনৈতিক দলের চাপে তিনি বাধ্য হয়েছেন।
শনিবার (২৩ আগস্ট) দুপুরে কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়াম হলরুমে জ্ঞানতরু সাহিত্য ও সংস্কৃতি পরিষদ আয়োজিত ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশের রাজনীতি’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে তিনি এসব মন্তব্য করেন।
ফরহাদ মজহার বলেন, আমাদের প্রথম কাজ হলো নতুন রাষ্ট্র গঠন করা। সবাইকে এক হয়ে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় কাজ করতে হবে। আগে রাষ্ট্রের কাঠামো ঠিক করতে হবে, তারপর নির্বাচন করা সম্ভব।
তিনি দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সবাই শুধু ভোট চায়, নির্বাচনে জিতে ক্ষমতায় যেতে চায়। কেউ দেশের কথা, জনগণের কথা ভাবে না। সবাই ক্ষমতায় গিয়ে লুটপাট করার পরিকল্পনা করে।
বর্তমান রাষ্ট্র ব্যবস্থার তীব্র সমালোচনা করে তিনি বলেন, গণ-অভ্যুত্থানের পর আমরা চাইছিলাম স্থানীয়ভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণের অধিকার। কিন্তু রাষ্ট্র তা দেয় না; সিদ্ধান্ত নেয় ঢাকায় বসে। আমার করের টাকায় রাষ্ট্র চলে, কিন্তু আমার উপকার হয় না।
জনবান্ধব রাষ্ট্রের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে ফরহাদ মজহার বলেন, জনগণ আগে, রাষ্ট্র পরে। রাষ্ট্র কখনও জনগণের অধিকার খর্ব করতে পারবে না। রাষ্ট্র এমন কোনো আইন প্রণয়ন করতে পারবে না যা প্রাণ, প্রকৃতি, পরিবেশ বা সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য নষ্ট করে।
রাষ্ট্র সংস্কারের গুরুত্বের দিকে ইঙ্গিত দিয়ে তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার আপসহীন সংগ্রাম ছাড়া এই গণ-অভ্যুত্থান সম্ভব হতো না। আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জামায়াত, এনসিপিসহ সব দলকে নিয়ে একটি নতুন গঠনতন্ত্র তৈরি করতে হবে যা সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হবে। বিদেশ থেকে লোক এনে কমিশন গঠন করে রাষ্ট্র সংস্কার সম্ভব নয়; দেশের মানুষের হাতে কমিশন তুলে দিয়ে কাজ এগিয়ে নিতে হবে।
সভায় আরও বক্তব্য রাখেন জ্ঞানতরু সাহিত্য ও সংস্কৃতি পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নেছারউদ্দীন আহমেদ, সাংবাদিক শাহরিন আরাফাত, উলিপুর বণিক সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ইকবাল হোসেন চাঁদ, জুলাই যোদ্ধা আবদুল্লাহ আল নাহিন, অধ্যাপক আব্দুল বারী এবং সহকারী অধ্যাপক মিজানুর রহমান। সভা সভাপতিত্ব করেন পরিষদের সভাপতি প্রভাষক সাখাওয়াত হোসেন।