নাটোরে হাঁস খামারে দুর্বৃত্তদের হামলা, লুটে নিলো ৮০০ হাঁস


নাটোরে হাঁস খামারে দুর্বৃত্তদের হামলা, লুটে নিলো ৮০০ হাঁস

নাটোরের সিংড়া উপজেলার ইটালি ইউনিয়নের তুলাপাড়া বাঁশবাড়িয়া গ্রামে একটি হাঁসের খামারে দুর্বৃত্তদের ব্যাপক লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় খামারি আজমল হকের খামার থেকে সোমবার (১৮ আগস্ট) দুপুরে প্রায় ৮০০ হাঁস লুট হয়ে গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

স্থানীয়রা জানান, ঘটনার সময় খামারের মালিকসহ গ্রামের মানুষজন একটি জানাজায় অংশ নিতে বাইরে ছিলেন। সেই সুযোগে খোলাবাড়িয়া গ্রামের শায়বারের নেতৃত্বে ৭-৮ জন খামারে ঢুকে পড়ে। তারা প্রথমে খামারের দুই কর্মচারীকে বেধড়ক মারধর করে আটকে রাখে এবং পরে হাঁসগুলো বের করে নিয়ে যায়।

খামারের কৃষাণ বাবু বলেন, আমি খামারেই ছিলাম। হঠাৎ দেখি কয়েকজন গেট দিয়ে হাঁস বের করছে। আমি বাধা দিলে তারা আমাকে পানির মধ্যে ডুবিয়ে হত্যার চেষ্টা করে।

আরেক কর্মচারী শফি জানান, খামারে ঢুকে দেখি সর্বত্র মারধরের চিহ্ন। আমি নিজ চোখে শায়বারকে হাঁস তাড়াতে দেখেছি। পুলিশ এলে সেও স্বীকার করেছে হাঁস নিয়েছে, কিন্তু ফেরত দিতে অস্বীকার করে।

খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য অনুযায়ী, অভিযুক্ত শায়বার পুলিশের সামনেই হাঁস নেওয়ার কথা স্বীকার করলেও ফেরত না দেওয়ার ঘোষণা দেয়। এতে পরিস্থিতি উত্তেজনাকর হয়ে উঠলে পুলিশ ও ভুক্তভোগীরা সেখান থেকে সরে যান। পরে খামারের মালিক আজমল হক থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তবে অভিযুক্তদের প্রকাশ্য স্বীকারোক্তির পরও লুট হওয়া হাঁসগুলো উদ্ধার করা যায়নি।

খামারের মালিক আজমল হক বলেন, আমার হাঁসগুলো প্রতিদিন প্রায় ৫০০টি ডিম দিত। এত সংখ্যক হাঁস লুট হওয়ায় আমি চরম আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছি।

ঘটনার পর স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, প্রকাশ্যে স্বীকারোক্তি দেওয়ার পরও অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তারা এলাকায় অবাধে ঘুরে বেড়াচ্ছে, যা সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ ও আতঙ্ক তৈরি করেছে।

অভিযুক্ত শায়বার অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি হাঁস নেইনি, আমার ছেলেরা শুধু খামারে গিয়েছিল।

সিংড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুজ্জামান জানান, খামারের মালিক একটি লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন। সাধারণত অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ প্রাথমিক তদন্ত করে। তদন্তে অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হলে মামলা রুজু করা হয়।

ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন [email protected] ঠিকানায়।
×