বিএনপি কমিটিতে সহসভাপতি পদে মৃত ব্যক্তি


বিএনপি কমিটিতে সহসভাপতি পদে মৃত ব্যক্তি

প্রায় তিন বছর আগে স্ট্রোক করে মারা যাওয়া কুষ্টিয়ার কুমারখালীর সাহিদকে বিএনপির নবগঠিত ওয়ার্ড কমিটিতে সহসভাপতির পদে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সামনে আসার পর স্থানীয়ভাবে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনা শুরু হয়েছে।

মৃত সাহিদ কুমারখালী উপজেলার চাপড়া ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের সাওতা গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। তিনি কৃষিকাজ করতেন এবং প্রায় তিন বছর আগে স্ট্রোক করে মারা যান। এরপরও ২৪ জুলাই ঘোষিত ৫১ সদস্যের ওয়ার্ড বিএনপি কমিটিতে তার নাম সহসভাপতি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

মৃত সাহিদের ভাই মো. ফজলু, যিনি একই কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক, বলেন, “তিন বছর আগে আমার ভাই স্ট্রোক করে মারা গেছেন। কিন্তু ওয়ার্ড কমিটিতে সহসভাপতি পদে তার নাম থাকাটা ভুলবশত হয়েছে।”

এ ঘটনায় স্থানীয় ত্যাগী নেতাকর্মীদের মধ্যে অসন্তোষ বিরাজ করছে। ইউনিয়ন বিএনপির পদবঞ্চিত নেতা আব্দুর রাজ্জাক রাজা অভিযোগ করে বলেন, “মৃত ব্যক্তিকে পদ দেওয়া হয়েছে। আত্মীয়স্বজন এবং কাছের লোকদের পদ দেওয়া হয়েছে। অথচ জেল-জুলুমের শিকার ও ত্যাগী নেতাদের বাদ দেওয়া হয়েছে। নেতারা তাদের স্বার্থ হাসিলের জন্য এসব বিতর্কিত কার্যকলাপ চালিয়ে যাচ্ছেন।”

চাপড়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রেজাউল হক বলেন, “নবগঠিত ওয়ার্ড কমিটিতে মৃত ব্যক্তি রয়েছেন কি-না তা জানি না। খোঁজ নিয়ে জানাতে পারব।”

৫নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি শহিদ মিয়া বলেন, “আমার পছন্দের লোক নিয়ে কমিটি গঠনের অভিযোগ সঠিক নয়। কমিটিতে মৃত ব্যক্তি রয়েছেন কি-না সেটা জানি না। খোঁজ নিয়ে দেখতে হবে।”

উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব লুৎফর রহমান বলেন, “ওয়ার্ড কমিটি গঠনের সময় সার্চ কমিটি, জেলা কমিটি ও থানা কমিটির নেতারা উপস্থিত ছিলেন। আমি ছিলাম কো-অর্ডিনেটর। কমিটিতে মৃত কেউ আছেন জানতে পারলে তা হতে দিতাম না।”

এই বিষয়ে কথা বলার জন্য কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কুতুব উদ্দিন আহমেদকে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন [email protected] ঠিকানায়।
×