বরিশালের বোর্ডে শতভাগ পাস ১৭ স্কুল, ফেল ১৬টি


বরিশালের বোর্ডে শতভাগ পাস ১৭ স্কুল, ফেল ১৬টি

বরিশাল মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড থেকে পরীক্ষায় অংশ নেওয়া ১৭টি বিদ্যালয় থেকে এবার শতভাগ পাস করেছে। তবে শতভাগ ফেল করেছে ১৬টি বিদ্যালয়। গত বছর শতভাগ পাস করা বিদ্যালয়ের সংখ্যা ছিল ২২টি। তবে ওই বছর ছিল না শতভাগ ফেল করা প্রতিষ্ঠান।

বরিশাল মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. ইউনুস আলী সিদ্দিকী জানান, তাদের বোর্ডের আওতাধীন ১ হাজার ৫০২টি বিদ্যালয়ের মধ্যে ১৭টি বিদ্যালয়ের পরীক্ষার্থীরা শতভাগ পাস করেছে, যার মধ্যে পিরোজপুর জেলায় সর্বোচ্চ ৭টি, এরপর বরিশাল জেলায় ৬টি, পটুয়াখালীতে ৩টি ও ভোলায় একটি বিদ্যালয় রয়েছে। বোর্ডের আওতায় ৭৩২টি বিদ্যালয় ৫০ শতাংশের ওপরে শত ভাগের নিচে পাস করেছে। আর ৫০ শতাংশের নিচে পাস করেছে ৭৩৭টি বিদ্যালয়।

এ ছাড়া বোর্ডের আওতায় ৬ জেলায় ১৬টি বিদ্যালয় থেকে একজনও পাস করেনি। যার মধ্যে পটুয়াখালীতে ৪টি, ঝালকাঠিতে ৪টি, ভোলায় ৩টি, বরগুনায় ২টি, পিরোজপুরে ২টি ও বরিশালে ১টি বিদ্যালয় রয়েছে। বিদ্যালয়গুলোর মধ্যে পটুয়াখালী জেলা সদরের মিয়াবাড়ি মডেল উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১ জন, মির্জাগঞ্জের কিসমতপুর বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ২ জন, দশমিনার পূর্ব আলিপুর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ৮ জন, দুমকির জালিশা সেকেন্ডারি গার্লস স্কুল থেকে ১ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিল।

ঝালকাঠি জেলার নলছিটির ভেরণবাড়িয়া সি.এস.ইউ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ৭ জন, মাটিভাঙ্গা সেকেন্ডারি স্কুল থেকে ১৭ জন, জুরাকাঠি সেকেন্ডারি গার্লস স্কুল থেকে ১১ জন ও দিলদুয়ার গার্লস সেকেন্ডারি স্কুল থেকে ১৩ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিল।

ভোলা জেলার তজুমদ্দিনের নিশ্চিন্তপুর সিকদার বাজার সেসডিপি মডেল উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২৯ জন, চরফ্যাশনের ফরিদাবাদ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২৪ জন ও শামিম মেমোরিয়াল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ৬ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিল।

বরগুনা জেলা সদরের পুরাকাটা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৭ জন, বেতাগীর কাজিরাবাদ মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ১৯ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিল।

পিরোজপুর জেলা সদরের জুজখোলা সম্মিলিত মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় থেকে ৫ জন ও ভান্ডারিয়ার মধ্য চড়াইল মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ৫ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিল। এছাড়া বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলা নাজমুল আলম সিদ্দিকী মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ৯ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিল।

বরিশাল মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. ইউনুস আলী সিদ্দিকী বলেন, এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে সর্বোচ্চ ২৯ জন থেকে সর্বনিম্ন একজন পর্যন্ত পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিল। তাদের মধ্যে কেউ পাস করেনি। স্কুলগুলোতে কেন একজনও পাস করতে পারল না সে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। প্রয়োজনে বিদ্যালয়গুলোর বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন [email protected] ঠিকানায়।
×