বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে এক তরুণীকে ধর্ষণ ও গর্ভপাতের অভিযোগ
- সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
- প্রকাশঃ ০৫:৫৫ পিএম, ০২ জুন ২০২৫

সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার ধুকুরিয়াবেড়া ইউনিয়নের এক তরুণীকে ধর্ষণের পর অবৈধভাবে গর্ভপাত ঘটানো হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় জড়িত স্থানীয় ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি ও ৭ নং ওয়ার্ডের সদস্য বাবর আলী প্রভাবশালী হওয়ায় মামলা করতে পারছে না ভুক্তভোগীর পরিবার। বাবর আলী অবৈধ গর্ভপাতের সময় সাথে থাকার কথা স্বীকার করলেও ধর্ষণের ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছেন। স্থানীয়রা প্রশাসনকে ভুক্তভোগী পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন।
ভুক্তভোগীর স্বজন ও স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা যায়, ওই তরুণীর মা অন্যের বাড়িতে ও ধানের চাতালে কাজ করেন। বাবা শ্রমিকের কাজের সুবাদে সিরাজগঞ্জের বাইরে থাকেন। ধুকুরিয়াবেড়া ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি ও ইউপির ৭ নং ওয়ার্ডের সদস্য বাবর আলীর ওই বাড়িতে যাতায়াত ছিল। এ অবস্থায় গত রমজান মাসের আগে বাবর আলী ওই তরুণীকে ধর্ষণ করেন।
সম্প্রতি ওই তরুণী গর্ভবতী হওয়ার বিষয়টি জানাজানি হয়। এরপর বাবর আলী পেটের বাচ্চা নষ্ট করার জন্য ওষুধপত্র কিনে দেন। ২৯ মে বাচ্চা নষ্ট হওয়ায় ওই তরুণীর পেটে প্রচণ্ড ব্যথা শুরু হয়। তখন বাবর আলী তাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে অবৈধভাবে গর্ভপাত ঘটিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন।
বাবর আলী প্রভাবশালী হওয়ায় ভুক্তভোগীর পরিবার এ বিষয়ে মামলা করতে সাহস পাচ্ছে না। সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
এ বিষয়ে বেলকুচি থানার এসআই আইনুল হক বলেন, ওই তরুণীকে ধর্ষণ ও অবৈধ গর্ভপাতের সংবাদ পেয়ে তাদের বাড়িতে গিয়েছিলাম। কিন্তু মেয়েটিকে তারা অন্য বাড়িতে রেখে দেওয়ায় তার সাথে কথা বলতে পারিনি। তবে মেয়েটির মা দাবি করেছেন ইউপি মেম্বর বাবর আলীর ধর্ষণ করার কারণেই তার মেয়ের পেটে বাচ্চা হয়েছিল।
মামলা করার তাগিদ দেওয়ায় মেয়েটির মা বলেছে আমরা মুরব্বিদের সাথে পরামর্শ করে তারপর আপনাকে জানাব।
এ বিষয়ে বাবর আলী বলেন, ওই মেয়েটি অসুস্থ হয়ে পড়ায় প্রথমে বেলকুচির একটি ক্লিনিক ও পরে সিরাজগঞ্জ মাতৃসদনে নিয়ে গিয়ে গর্ভপাত ঘটানো হয়েছে। জনপ্রতিনিধি হওয়ার কারণে এ কাজে আমি তাদের পাশে থেকে সহযোগিতা করেছি। কিন্তু এখন আমার বিরুদ্ধেই ধর্ষণের অভিযোগ করা হচ্ছে। মেয়েটি আগে স্থানীয় একটি মাদরাসায় ভাত রান্না করে দিত, সেখানে কিছু হয়েছে কি না কে জানে।