
জয়পুরহাট স্টেশনে একটি যাত্রীর বিরুদ্ধে হেনস্তার অভিযোগ উঠেছে, যেখানে তিনি দাবি করেছেন যে, ঈশ্বরদীর উদ্দেশে দ্রুতযান ট্রেনে যাওয়ার জন্য টিকিট নেয়ার সময় বুকিং সহকারী মনিরুল করিম ওরফে মুন তাকে জোর করে কাউন্টারের ভেতরে নিয়ে যান, শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন এবং পরিধেয় বস্ত্র ছিঁড়ে ফেলেন। অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, এই ঘটনার সময় তার ট্রাভেল ব্যাগ ও পকেটে থাকা ৩০ হাজার টাকা হারিয়ে গেছে।
যাত্রীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ঘটনাস্থলে উপস্থিত সাংবাদিকরা ভিডিও ধারণ করেছেন, যা প্রমাণ হিসেবে উপস্থাপন করা হবে। তিনি অভিযোগ করেছেন, মনিরুল করিম নিয়মিতভাবে যাত্রীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন, টিকিটের অতিরিক্ত টাকা নেন এবং কালোবাজারির সঙ্গে জড়িত।
ট্রেনযাত্রী আব্দুর রাজ্জাক আকন্দ বলেন, “আমি একজন সাধারণ যাত্রী। খুচরা টাকা না থাকায় আমাকে লাঞ্ছিত করা হয়েছে। এ কারণে দ্রুতযান ট্রেনে যাওয়া হয়নি। বুকিং সহকারীর শাস্তি দাবি করছি।”
অন্যদিকে, হেড বুকিং সহকারী মনিরুল করিম মুন অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে বলেন, “আমি কাউকে টেনে নিয়ে আসিনি, এমন সুযোগও ছিল না। টিকিটের দাম ১৩৫ টাকা, তিনি ২০০ টাকা দিতে চাচ্ছিলেন, কিন্তু তখন কাউন্টারে খুচরা ছিল না। তাই তাকে সামান্য পাশে দাঁড়াতে বলেছিলাম যাতে অন্য যাত্রীর থেকে খুচরা পাওয়া যায়। তিনি জোর করে তা এখনই দিতে দাবী করেন, আর এ নিয়েই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে।”
জয়পুরহাট স্টেশন মাস্টার রফিক চৌধুরী বলেন, “বুকিং সহকারী মনিরুল করিম মুন যা করেছেন তা ঠিক হয়নি। আমি যাত্রীর কাছে ক্ষমা চেয়েছি।”
বাংলাদেশ রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক ফরিদ আহমেদ জানিয়েছেন, “যাত্রী হেনস্থার বিষয়ে একটি অভিযোগপত্র আমরা পেয়েছি। এটি তদন্তের জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগে প্রেরণ করা হয়েছে।”