
রাজধানীর হাজারীবাগ থানার বারইখালী এলাকায় বিকট শব্দের একটি বিস্ফোরণ ঘটেছে। ঘটনাস্থলেই উপস্থিত ছিলেন মুফতি জসিম উদ্দিন রাহমানি, তবে তিনি কোনো ধরনের আঘাত পাননি। পুলিশ এটিকে একটি শক্তিশালী পটকা বিস্ফোরণ হিসেবে বিবেচনা করছে।
সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) স্থানীয়রা জানান, ঘটনা ঘটে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ১৪ নম্বর গলির মুখে, যেখানে মুফতির ফাউন্ডেশনের নির্মাণাধীন ভবনের কাজ চলছিল। মুফতি জসিম উদ্দিন রাহমানি সাংবাদিকদের বলেন, “আমি সাড়ে ১১টার দিকে নির্মাণাধীন ভবনে ঢোকার সময় পাঁচ থেকে সাত হাত দূরে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। আমি ওখানে প্রায়ই যাতায়াত করি এবং আমার আত্মীয়-স্বজনও সেখানে থাকেন।”
তিনি বিস্ফোরণটি ককটেল ছিল কিনা জানতে চাইলে বলেন, “ককটেল না অন্য কিছু সেটা আমি চিনি না। পুলিশ ভালো বলতে পারবে।”
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, জসিম উদ্দিন রাহমানি বেলা ১১:৩৮ মিনিটে ৯৯৯-এ কল দিয়ে বিস্ফোরণের তথ্য জানান। এরপর পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত শুরু করে।
হাজারীবাগ থানার পরিদর্শক (অপারেশন) মো. দেলোয়ার হোসেন জানান, “আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসেছি। মুফতি জসিম উদ্দিন রাহমানি এ ঘটনায় আহত হননি। স্থানীয়ভাবে আমরা যেটি জানতে পেয়েছি, এটি পটকা জাতীয় কিছু ফাটিয়েছে। আওয়াজটি বেশ বিকট ছিল। আমরা তদন্ত করছি, এটার পেছনে অন্য কোনো ঘটনা আছে কি না।”
মুফতি জসিম উদ্দিন রাহমানি গত বছর ২৬ আগস্ট জামিনে মুক্তি পান। তিনি সন্ত্রাসবিরোধী মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কাশিমপুর হাই-সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি ছিলেন। রাহমানি বরগুনা সদর থানার খাজুরতোলা গ্রামের নুর মোহাম্মদের ছেলে।
তার বিরুদ্ধে ২০০৮ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি উত্তরা পশ্চিম থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা করা হয়। ওই মামলায় গত বছরের ২৫ আগস্ট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত থেকে তিনি জামিন পান। এছাড়া তার বিরুদ্ধে দায়ের করা আরও তিনটি মামলা পরবর্তীতে প্রত্যাহার করা হয়েছে।