
সাবেক বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীকে রাজধানীর শাহবাগ থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চ তার জামিন মঞ্জুর করে আদেশ দেন। এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন সহকারি অ্যাটর্নি জেনারেল ইব্রাহিম খলিল।
এর আগে, গত ২৯ আগস্ট শাহবাগ থানায় দায়ের করা মামলায় লতিফ সিদ্দিকীসহ ১৬ জনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সারাহ ফারজানা হকের আদালত এই আদেশ দেন। মামলাটি দায়ের করেন শাহবাগ থানার এসআই মো. আমিরুল ইসলাম।
মামলার অন্য আসামির মধ্যে রয়েছেন মো. আব্দুল্লাহ আল আমিন (৭৩), মঞ্জুরুল আলম (৪৯), কাজী এটিএম আনিসুর রহমান বুলবুল (৭২), গোলাম মোস্তফা (৮১), মো. মহিউল ইসলাম ওরফে বাবু (৬৪), মো. জাকির হোসেন (৭৪), মো. তৌছিফুল বারী খাঁন (৭২), মো. আমির হোসেন সুমন (৩৭), মো. আল আমিন (৪০), মো. নাজমুল আহসান (৩৫), সৈয়দ শাহেদ হাসান (৩৬), মো. শফিকুল ইসলাম দেলোয়ার (৬৪), দেওয়ান মোহম্মদ আলী (৫০) ও মো. আব্দুল্লাহীল কাইয়ুম (৬১)।
মামলার এদিন তদন্তকারী কর্মকর্তা ও শাহবাগ থানার উপ-পরিদর্শক তৌফিক হাসান আসামিদের কারাগারে রাখার আবেদন করেন। আসামিপক্ষের আইনজীবী জামিন আবেদন করলে রাষ্ট্রপক্ষের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর শামসুদ্দোহা সুমন তা বিরোধিতা করেন। শুনানির পর বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
মামলার অভিযোগ অনুযায়ী, ২৮ আগস্ট সকাল ১০টায় ঢাকার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির অডিটরিয়ামে ‘মঞ্চ ৭১’ এর ব্যানারে একটি গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে অংশগ্রহণকালে আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী দেশকে সশস্ত্র সংগ্রামের মাধ্যমে অস্থিতিশীল করার এবং বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্রমূলক বক্তব্য দেন এবং অন্যদের প্ররোচিত করেন। পরে ওই বৈঠকে উপস্থিত ৭০ থেকে ৮০ জনের মধ্যে ১৬ জনকে পুলিশ আটক করে।
জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ জানতে পারে, ৫ আগস্ট আত্মপ্রকাশ করা সংগঠন ‘মঞ্চ ৭১’-এর লক্ষ্য ছিল মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতির ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে জনগণকে আত্মত্যাগের জন্য প্রস্তুত করা। তবে পুলিশের অভিযোগ, এই প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করা হচ্ছিল।