হাইকোর্টের বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারকে অপসারণ

রাষ্ট্রপতি সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের সুপারিশের ভিত্তিতে হাইকোর্টের বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারকে তার পদ থেকে অপসারণ করেছেন। গুরুতর অসদাচরণের প্রমাণের পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার (৫ নভেম্বর) আইন মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সংবিধানের পুনর্বহালকৃত অনুচ্ছেদ ৯৬-এর দফা (৬)-এর বিধান অনুযায়ী বিচারপতিকে অপসারণ করা হয়েছে। এতে উল্লেখ করা হয়েছে, সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের তদন্তে দেখা গেছে যে মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকার তার দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে অযোগ্য হয়ে গিয়েছেন।

এর আগে গত ২৭ আগস্ট, অনিয়মের অভিযোগের ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য তাকে ছুটিতে পাঠানো হয়। সেই সময় প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল তার উপস্থিতি তলব করেছিল।

২০২৪ সালের ১৬ অক্টোবর প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ১২ জন হাইকোর্টের বিচারপতিকে ছুটিতে পাঠান। তাদের মধ্যে ছিলেন—বিচারপতি নাইমা হায়দার, শেখ হাসান আরিফ, আশীষ রঞ্জন দাস, মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকার, এস এম মনিরুজ্জামান, আতাউর রহমান খান, শাহেদ নূর উদ্দিন, মো. আক্তারুজ্জামান, মো. আমিনুল ইসলাম, এস এম মাসুদ হোসেন দোলন, খিজির হায়াত এবং খোন্দকার দিলীরুজ্জামান। তাদের হাইকোর্ট বেঞ্চে বিচারকাজ পরিচালনার দায়িত্বও স্থগিত রাখা হয়।

এরপর প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল তাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগগুলো তদন্ত শুরু করে। রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর, ২০২৪ সালের ২০ অক্টোবর পুনর্গঠিত এই তিন সদস্যের কাউন্সিল আবারও বিচারপতিদের বিষয়টি পর্যালোচনা করে। নতুন কাউন্সিলের নেতৃত্বে ছিলেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ, অপর দুই সদস্য ছিলেন—আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম এবং জুবায়ের রহমান চৌধুরী।