
২০২৬ সালের হজ কার্যক্রমে অংশ নিতে ষষ্ঠ পর্যায়ে আরও ৪৮টি হজ এজেন্সিকে অনুমোদন দিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। সোমবার (৬ অক্টোবর) প্রাথমিকভাবে এই তালিকা প্রকাশ করা হয়।
এর আগে ২৭ জুলাই প্রথম পর্যায়ে ১৫৫টি এজেন্সির নাম প্রকাশ করা হয়।
নতুন তালিকাভুক্ত এজেন্সিগুলোকে নির্ধারিত হজযাত্রী পাঠাতে হবে। যৌক্তিক কারণ ছাড়া কোনো এজেন্সি হজযাত্রী নিবন্ধন না করলে তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।
মক্কা-মদিনায় সেবাদানের বিষয়ে হজযাত্রীদের সঙ্গে লিখিত চুক্তি বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এছাড়া, প্রতি ৪৬ জন হজযাত্রীর জন্য একজন আরবি ভাষায় দক্ষ ও অভিজ্ঞ গাইড নিয়োগের শর্ত আরোপ করা হয়েছে।
ধর্ম মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তালিকাভুক্ত কোনো এজেন্সি দণ্ডিত হলে বা যোগ্যতার ঘাটতি দেখা দিলে তাদের তালিকা থেকে বাতিল করা হবে।
শর্ত অনুযায়ী, এসব এজেন্সির লাইসেন্স আগামী বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নবায়ন করতে হবে। যাদের লাইসেন্স মেয়াদ ওই সময়ের আগে শেষ হবে, তাদের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নবায়নের জন্য আবেদন করতে হবে, অন্যথায় তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হবে।
এজেন্সিগুলোকে হালনাগাদ হজ লাইসেন্স, ট্রাভেল লাইসেন্স, ট্রেড লাইসেন্স ও আয়কর সনদ জমা দিয়ে হজ পরিচালকের সঙ্গে চুক্তি সম্পাদন করতে হবে।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী বছরের মে মাসের শেষ সপ্তাহে পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। চলতি বছরের মতো আগামী বছরও বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজে অংশ নিতে পারবেন।