
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) মো. আবু জাফরের সঙ্গে তর্কে জড়ানোর পর শোকজের সন্তোষজনক জবাব দেওয়ায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক ধনদেব চন্দ্র বর্মণকে ক্ষমা করে তার পূর্ববর্তী পদে পুনর্বহাল করা হয়েছে। সম্প্রতি এই বিতর্কিত বাক্যুদ্ধের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপকভাবে ভাইরাল হয়েছিল।
মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) বিকেলে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল গোলাম ফেরদৌস স্বাক্ষরিত এক আদেশে ধনদেব চন্দ্র বর্মণকে পুনর্বহাল করা হয়। পরদিন (১১ ডিসেম্বর) দুপুরে সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) মাইনউদ্দিন খান বিষয়টি নিশ্চিত করেন এবং জানান যে আদেশটি ইতিমধ্যেই কার্যকর হয়েছে।
আদেশে উল্লেখ করা হয়, ৬ ডিসেম্বর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পরিদর্শনকালে হাসপাতালের আবাসিক সার্জন (ক্যাজুয়ালটি) ও সহকারী অধ্যাপক (সার্জারি) ইনসিটু ডা. ধনদেব চন্দ্র বর্মন মহাপরিচালকের সঙ্গে অশালীন ও অসৌজন্যমূলক আচরণের কারণে কারণ দর্শানোর নোটিশ পেয়েছিলেন এবং সেই সঙ্গে ক্যাজুয়ালটি ওটি ইনচার্জের দায়িত্ব থেকে তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। ধনদেব চন্দ্র বর্মণ পরে ক্ষমা চেয়ে লিখিত জবাব দাখিল করেন এবং ভবিষ্যতে এমন আচরণ না করার অঙ্গীকার করেন।
পরবর্তীতে তার দাখিলকৃত জবাব স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে পাঠানো হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কাছে প্রেরিত জবাব সন্তোষজনক হওয়ায় মহাপরিচালক ধনদেব চন্দ্র বর্মনকে ক্ষমা প্রদর্শন করেন এবং তাকে পূর্বের পদে, অর্থাৎ ক্যাজুয়ালটি ওটি ইনচার্জ হিসেবে পুনর্বহাল রাখার নির্দেশ দেন। আদেশ অনুযায়ী তাকে পুনরায় সেই পদে দায়িত্বভার গ্রহণ করতে বলা হয়।
বাক্যুদ্ধের ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর ধনদেব চন্দ্র বর্মণের আরও একটি বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এতে তিনি নিজেকে বঞ্চিত দাবি করে স্বাস্থ্য বিভাগের পদোন্নতির প্রক্রিয়া সমালোচনা করেন। জানা গেছে, চাকরিতে যোগদানের পর তিনি ফাউন্ডেশন ট্রেনিং সম্পন্ন করেননি, ডিপার্টমেন্টাল পরীক্ষা ও সিনিয়র স্কেল পরীক্ষা দেননি, তাই পদোন্নতির প্রয়োজনীয় মানদণ্ড পূরণ করেননি। চাকরির শেষের দিকে এবং সিনিয়র চিকিৎসক হিসেবে বিবেচিত হওয়ার সময় অন্তবর্তীকালীন সরকার তাকে রাষ্ট্রপতির প্রোমার্জনা দিয়ে পদোন্নতি দেয়। চলতি বছরের ২৯ জুলাই বর্তমান ডিজি মো. আবু জাফরের সময়ে তিনি সহকারী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি পান।
ডা. ধনদেব চন্দ্র বর্মণ এই বিষয়ে জানান, "কর্তৃপক্ষ আমাকে পূর্বের পদে বহাল করেছেন। এর বেশি আমার কোন বক্তব্য নেই।"