
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এতে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল সাতজন।
শুক্রবার (২৯ আগস্ট) রাত ১১টার দিকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আসমা নামে এক নারী মারা যান। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের আবাসিক সার্জন শাওন বিন রহমান।
তিনি জানান, ৩৫ বছর বয়সী আসমা আইসিইউতে ভর্তি ছিলেন। তার শরীরের প্রায় ৫০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল।
গত ২২ আগস্ট গভীর রাতে সিদ্ধিরগঞ্জের হিরাঝিল আবাসিক এলাকার একটি টিনশেড বাড়িতে রেফ্রিজারেটরের কম্প্রেসার বিস্ফোরণ ঘটে। এতে একই পরিবারের নয়জন দগ্ধ হন। তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিট এবং জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহীনুর আলম জানিয়েছেন, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত পরিবারের সাতজন প্রাণ হারিয়েছেন।
প্রথমে বিস্ফোরণের পরদিন মারা যায় এক মাস বয়সী শিশু ইমাম উদ্দিন। এরপর সোমবার মারা যান তাহেরা আক্তার, বৃহস্পতিবার সকালে মারা যান হাসান এবং দুপুরে তার মেয়ে জান্নাত। শুক্রবার দুপুরে সালমা আক্তার, বিকেলে তৃষা আক্তার এবং রাত ১১টায় মারা যান সালমার বোন আসমা।
ফায়ার সার্ভিসের প্রাথমিক ধারণা, শর্ট সার্কিট থেকে রেফ্রিজারেটরের কম্প্রেসার বিস্ফোরণে এ দুর্ঘটনা ঘটে। তবে স্থানীয়দের দাবি, তিতাসের গ্যাস লাইনের লিকেজ হয়ে জমে থাকা গ্যাস থেকেই বিস্ফোরণ ঘটে থাকতে পারে।