
রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে হওয়া কোনো সমঝোতা সনদ কখনোই সংবিধানের ঊর্ধ্বে স্থান নিতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক। তাঁর মতে, সংবিধানই একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থার মূল ভিত্তি, আর সমঝোতা সনদকে এর ওপর স্থান দেওয়ার চেষ্টা হবে গুরুতর ভুল। এতে সংবিধানের মর্যাদা ক্ষুণ্ন হবে এবং দুর্বল হয়ে পড়বে।
সোমবার (২৫ আগস্ট) রাজধানীতে দলের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ বক্তব্য দেন তিনি।
সাইফুল হক বলেন, ফেব্রুয়ারিতে সম্ভাব্য নির্বাচনের সময়সূচি ঘোষণার পর সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যে মানসিক দূরত্ব ছিল, তা কমে এসেছে। এতে সরকারের প্রতি জনআস্থা কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই সরকারের উচিত নির্বাচন কমিশন, ভোটার, রাজনৈতিক দল ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে একসঙ্গে নিয়ে নির্বাচনের প্রস্তুতি এগিয়ে নেওয়া।
তিনি আরও বলেন, সরকারের নিরপেক্ষতা নিয়ে যে প্রশ্ন আছে, তা দূর করতে বিতর্কিত উপদেষ্টাদের সরাতে হবে। বর্তমানে সরকারের ভেতরে একাধিক সমান্তরাল প্রশাসন চলছে, যেগুলো অবিলম্বে ভেঙে দিতে হবে। ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের আগ পর্যন্ত আমরা কেবল একটি সরকারই দেখতে চাই, মন্তব্য করেন তিনি।
নির্বাচন কমিশনের সমালোচনা করে এই নেতা বলেন, আরপিও বা আচরণবিধি চূড়ান্ত করার আগে রাজনৈতিক দল ও অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করা প্রয়োজন। অথচ কমিশন তা করছে না।
জুলাই মাসে স্বাক্ষরিত রাজনৈতিক সনদের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, দীর্ঘ আলোচনার পর এ সনদে স্বাক্ষর হয়েছে। এর বাইরে আর নতুন কোনো অঙ্গীকারনামার প্রয়োজন নেই। তারপরও যদি অধিকাংশ দল মনে করে, তাহলে আগের আট দফার মধ্যে যেগুলোতে আমরা একমত হয়েছি, সেগুলো পরবর্তী সংসদে কার্যকর করব এবং প্রয়োজনে সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করব।
এ সময় পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দারের বক্তব্যেরও তীব্র প্রতিবাদ জানান সাইফুল হক। তিনি বলেন, ইসহাক দার বলেছেন, বাংলাদেশের মানুষকে হৃদয় পরিষ্কার করতে হবে। অথচ পাকিস্তানই ১৯৭১ সালে ভয়াবহ গণহত্যা চালিয়েছিল। তাদের প্রথম দায়িত্ব হচ্ছে নিঃশর্তভাবে ক্ষমা চাওয়া। তারপর অন্য কোনো আলোচনার প্রসঙ্গ আসতে পারে।