
এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের দাবিতে দেশজুড়ে থেকে আসা হাজারো শিক্ষক জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জড়ো হয়েছেন।
বুধবার সকাল থেকে সচিবালয়ের মোড় থেকে কদম ফোয়ারা পর্যন্ত অবস্থান নেন তারা। এর ফলে তোপখানা রোডে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে এবং গাড়িগুলো বিকল্প পথে ঘুরানো হচ্ছে।
আন্দোলনের আয়োজক সংগঠন ‘এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোট’ জানিয়েছে, ২০১৮ সালে সরকারের দেওয়া প্রতিশ্রুতি এখনও বাস্তবায়ন হয়নি।
সিলেটের কানাইঘাট থেকে আসা শিক্ষক আলী রহমান বলেন, “বারবার আশ্বাস নিয়ে ফিরে গেছি। এবার আর আশ্বাসে কাজ হবে না। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এখানেই থাকব।”
সংগঠনের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৮ সালের আন্দোলনের পর সরকার বার্ষিক ৫% প্রবৃদ্ধি, ২০% বৈশাখী ভাতা এবং জাতীয়করণের প্রতিশ্রুতি দেয়। চলতি বছরের বাজেটে নতুন কিছু ভাতা যুক্ত হলেও এখনও প্রজ্ঞাপন জারি হয়নি।
তারা ১০ আগস্টের মধ্যে প্রজ্ঞাপন চেয়েছিল, না হলে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেয়।
জোটের সদস্য সচিব অধ্যক্ষ দেলাওয়ার হোসেন আজিজী বলেন, “আমরা দীর্ঘদিন ধরে এই দাবিগুলো জানিয়ে আসছি। ২০১৮ সালে সরকারের দেওয়া প্রতিশ্রুতি এখনো পূরণ হয়নি। আর বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টাও আমাদের আশ্বাস দিয়েছেন। তবে বাস্তবায়নের কোনো সুনির্দিষ্ট অগ্রগতি নেই।”
তিনি আরও বলেন, “এটা শুধু একটি কর্মসূচি নয়, বরং ন্যায্য অধিকার আদায়ের সংগ্রাম। আমরা চাই সরকার অবিলম্বে প্রজ্ঞাপন জারি করে জাতীয়করণের সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ দিক। যদি এবারও দাবি পূরণ না হয়, তবে আমরা আরও বৃহত্তর ও কঠোর কর্মসূচি নিতে বাধ্য হবো।”