
জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে ষড়যন্ত্র চলছে এবং এর মূল পরিকল্পনাকারী আওয়ামী লীগ এমন অভিযোগ তুলেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু। তিনি বলেন, যেকোনো মূল্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, এর কোনো বিকল্প নেই।
বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে নার্সেস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
শামসুজ্জামান দুদু অভিযোগ করে বলেন, “দেশে নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র হচ্ছে। সেই ষড়যন্ত্রের উদ্যোক্তা আওয়ামী লীগ। একটি ভালো নির্বাচন হোক, আওয়ামী লীগ তা চায় না। যত বড় ষড়যন্ত্রই হোক, ফ্যাসিস্টরা যত টাকাই বিনিয়োগ করুক না কেন, নির্বাচন হতে হবে, এর কোনো বিকল্প নেই।”
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে দেশের যে পরিস্থিতি বিরাজ করছে, তাতে অতীতের তুলনায় দায়িত্বশীল মহলকে আরও বেশি দায়িত্বশীল হতে হবে। বিএনপির বিশ্বাস, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হবে। কারণ, “ড. ইউনূস নিজেই জাতির কাছে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, তিনি একটি ঐতিহাসিক জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করবেন।”
দুদুর দাবি, গত তিনটি নির্বাচনে শেখ হাসিনা গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছেন। তিনি বলেন, “সেই ধ্বংসস্তূপের ওপর গণতন্ত্রের পতাকা ওড়ানোর দায়িত্ব বর্তমান সরকারের। বিএনপি সেই সরকারের পাশে আছে।”
তিনি অভিযোগ করেন, “কেউ কেউ নির্বাচন ঠেকাতে চায়, যাতে বিএনপি ক্ষমতায় না আসে, যাতে তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রী হতে না পারেন। এজন্য নির্বাচন বানচালের চেষ্টা হচ্ছে, দেশে অস্থিতিশীলতা তৈরির চেষ্টা চলছে। জাতীয় পার্টির অফিসের সামনে ভিপি নুরকে পেটানো, জাগপার সভাপতি খন্দকার লুৎফর রহমানকে কুপিয়ে আহত করা— এসবের একটাই উদ্দেশ্য, নির্বাচন নস্যাৎ করা। কিন্তু এসব করে কোনো লাভ হবে না। জনগণ যদি জেগে ওঠে, তাহলে এসব আঘাতকারীরা রেহাই পাবে না।”
সভায় সংগঠনের সভাপতি জাহানারা খাতুনের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) মহাসচিব কাদের গনি চৌধুরী, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আব্দুস সাত্তার পাটোয়ারীসহ অনেকে।