
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সম্মুখসারির যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির হত্যার বিচার দাবিতে রাজধানীর শাহবাগ চত্বর পরিণত হয়েছে প্রতিবাদের কেন্দ্রবিন্দুতে। জুমার নামাজের পর থেকেই হাজারো ছাত্র-জনতা সেখানে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভে অংশ নিচ্ছেন।
শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) বিকেলে শাহবাগে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে ডাকসুর ভিপি ঘোষণা দেন, এখন থেকে শাহবাগের নাম হবে শহীদ ওসমান হাদি চত্বর। তিনি বলেন, ওসমান হাদির হত্যাকারীদের বিচার না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলনকারীরা ঘরে ফিরবেন না। একই সঙ্গে ফ্যাসিবাদবিরোধী সব শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
হাদির হত্যার প্রতিবাদে শাহবাগে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক মতাদর্শের মানুষ জড়ো হয়েছেন। কেউ মিছিল নিয়ে, কেউ স্বতঃস্ফূর্তভাবে এসে অংশ নিচ্ছেন আন্দোলনে। হাতে পতাকা, কণ্ঠে স্লোগান—‘ফ্যাসিবাদের কালো হাত ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও’, ‘আওয়ামী লীগের আস্তানা এই বাংলায় হবে না’, ‘হাদি ভাইয়ের রক্ত বৃথা যেতে দেব না’, ‘আমরা সবাই হাদি হবো যুগে যুগে লড়ে যাবো’—এসব স্লোগানে মুখর হয়ে ওঠে শাহবাগ।
এর আগে বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাত পৌনে ১০টার দিকে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে রাজধানীজুড়ে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে এবং ছাত্র-জনতা বিক্ষোভে ফেটে পড়ে।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম সংগঠক শরিফ ওসমান হাদি গত ১২ ডিসেম্বর রাজধানীর বিজয়নগরে গণসংযোগে অংশ নেওয়ার সময় চলন্ত রিকশায় থাকা অবস্থায় দুর্বৃত্তদের গুলিতে আহত হন। প্রথমে ঢাকায় এবং পরে সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার রাতে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।