যেটি দেশ ও জাতির জন্য শ্রেষ্ঠ, সেটিই করবেন প্রধান উপদেষ্টা: প্রেস সচিব

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, দেশের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে সিদ্ধান্ত তা প্রধান উপদেষ্টা নিজেই নেবেন। তিনি আরও নিশ্চিত করেছেন, গণভোট সংক্রান্ত যে সিদ্ধান্তই নেওয়া হোক না কেন, জাতীয় নির্বাচন আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারির আগে অনুষ্ঠিত হবে।

শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) দুপুরে নোয়াখালীতে এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এই তথ্য জানিয়েছেন।

প্রেস সচিব বলেন, "গণভোট ইস্যুতে প্রধান উপদেষ্টা সিদ্ধান্ত দেবেন। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল তাদের মতামত প্রকাশ করছে, আমরা এটাকে হুমকি হিসেবে দেখছি না। যেটি দেশ ও জাতির জন্য শ্রেষ্ঠ, সেটিই করবেন প্রধান উপদেষ্টা।"

তিনি নোবিপ্রবি, নোয়াখালীতে জুলাই কন্যা ফাউন্ডেশন আয়োজিত ‘মাইন্ডব্রিজ ও নলেজ কম্পিটিশন ২০২৫’-এর সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এই মন্তব্য করেন।

অনুষ্ঠানে তিনি বিশেষভাবে উল্লেখ করেন, স্বৈরাচার পতনের সময় গণঅভ্যুত্থানে নারীরাও পুরুষদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়েছে। তিনি বলেন, "এখন আর নারীরা পিছিয়ে নেই, সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে তারা নেতৃত্ব দিচ্ছে। আমরা যেন জুলাই যোদ্ধাদের অবদান কখনও ভুলে না যাই। জুলাই আন্দোলনের নারীরা সমাজ পরিবর্তনের অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন। আমাদের লক্ষ্য এমন একটি বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়া, যেখানে ধর্ম, জাতি, বর্ণ নির্বিশেষে সবার সমান অধিকার নিশ্চিত হবে।"

এর আগে সকালে নোবিপ্রবি কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত ‘মাইন্ডব্রিজ ও নলেজ কম্পিটিশন ২০২৫’-এ তরুণদের জ্ঞান ও মেধার বিকাশে উৎসাহ দেওয়ার জন্য জুলাই কন্যা ফাউন্ডেশন উদ্যোগ নেয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ফাউন্ডেশনের সভাপতি জান্নাতুল নাঈম প্রমি, প্রধান পৃষ্ঠপোষক ছিলেন নোবিপ্রবির উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ইসমাইল, এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রেস সচিবের স্ত্রী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ড. নাবিলা ইদ্রিস।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নোবিপ্রবির উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজওয়ানুল হক, প্রক্টর এএফএম আরিফুর রহমান, নোয়াখালীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. ইসমাইল হোসেন, জেলা শিক্ষা অফিসার নুরুদ্দিন মো. জাহাঙ্গীর, জুলাই কন্যা ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক নাফিজা শাইমা এবং জুলাই শহিদ নাসিমা আক্তারের বোন কোহিনুর আক্তার।

প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয় এবং আয়োজনের পক্ষ থেকে অতিথিদের ধন্যবাদ জানিয়ে ভবিষ্যতে তরুণদের জ্ঞান, মানবিকতা ও নেতৃত্ব বিকাশে এ ধরনের উদ্যোগ অব্যাহত রাখার প্রত্যাশা প্রকাশ করা হয়।